ETV Bharat / bharat

পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ছে ছেলেমেয়ে ? কাজে আসতে পারে শিশু সহায়ক অ্যাপ

IIT Kanpur App for Cute Brain: পড়াশোনায় দুর্বল ছেলেমেয়ে জন্য নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে আইআইটি কানপুর ৷ এটি এমন একটি অ্যাপ যার মাধ্যমে শিশুদের মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ হবে। তারা ক্লাসে এগিয়ে থাকবে । কোথায় পাবেন অ্য়াপটি জেনে নিন ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 16, 2024, 8:01 PM IST

IIT Kanpur App
IIT Kanpur App

কানপুর, 16 মার্চ: ছেলেমেয়ের পড়াশোনা নিয়ে আজকের দিনে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত থাকেন বাবা-মা ৷ অনেক ছেলেমেয়ে রয়েছে যারা পড়াশোনায় দুর্বল ৷ সহজে কোনও কিছু শিখে উঠতে পারে না ৷ তাদের বাবা-মা আরও বেশি সন্তানদের নিয়ে চিন্তায় থাকেন ৷ তবে এবার সেই সমস্ত অভিভাবকদের স্বস্তি মিলতে চলেছে ৷ কারণ লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়াদের জন্য নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কার করল আইআইটি কানপুর ৷

কী এই প্রযুক্তি ?

আইআইটি-এর ইনকিউবেটেড কোম্পানি কিউট ব্রেইন প্রাইভেট লিমিটেডের সহায়তায় এমন একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে যেকোন ব্যক্তি সহজেই যেকোন কিছু জানতে, বুঝতে এবং শিখতে পারবেন । প্রফেসর ব্রিজভূষণ 2019 সালে ডিসলেক্সিয়া এবং ডিসগ্রাফিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করেছিলেন ৷ ওই অ্যাপের ব্যবহার এখন শুরু হয়েছে । বর্তমানে এই অ্যাপটি বাচ্চাদের হিন্দি ভাষার মাধ্যমে পড়াশোনা করতে সাহায্য করবে ৷ পাশাপাশি অ্যাপটি অন্য পাঁচটি ভাষায় প্রস্তুত করার চেষ্টা চলছে ।

অ্যাপটি কীভাবে শিশুদের সহায়ক ?

আইআইটি কানপুরের মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক ব্রিজভূষণ বলেছেন, "ডিসলেক্সিয়া বা অন্য গুরুতর রোগে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে যে স্নায়ুবিক বিকাশ ঘটে তা সাধারণ শিশুদের মতো নয় । এমন পরিস্থিতিতে কিউট ব্রেইনের প্রতিনিধিরা শিশুদের একটি টাচস্ক্রিন ডিভাইস দেন । যার উপর বাচ্চাদের টেক্সট লিখতে বা শব্দ লেখার জন্য আঙুল নাড়াতে হয় । এখানে অডিয়ো-ভিডিয়ো ভিজ্যুয়ালের সাহায্যে বাচ্চাদের হ্যাপটিক লার্নিং (বারবার আঙুলের নড়াচড়া) শেখানো হয় ।"

তাঁর কথায়, "এই অ্যাপের গবেষণার সময় আমরা লক্ষ্য করেছি যে 60 দিন ধরে একটানা অনুশীলন করার পরে, এমনকী গুরুতর রোগে আক্রান্ত শিশুরাও সহজেই পড়াশোনা শুরু করেছে । বর্তমানে এই অ্যাপ এবং প্রযুক্তি প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিশুদের জন্য কার্যকর । এই অ্যাপটি সারা দেশের যেকোনো স্কুলে সহজেই ব্যবহার করা যাবে ।"

কিউট ব্রেইনের ওয়েবসাইট

অধ্যাপক ব্রিজভূষণ আরও জানিয়েছেন, যে কেউ কিউট ব্রেইনের ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন । অভিভাবকরা সাইটে গিয়ে একটি ফর্ম পানৃবেন, যা তাদের পূরণ করতে হবে এবং জমা দিতে হবে । এরপরে কিউট ব্রেইনের প্রতিনিধিরা নিজেরাই যোগাযোগ করবে আপনাদের সঙ্গে । তাদের ন্যূনতম ফিও রয়েছে । একই সময়ে প্রথমে প্রতিটি শিশুর ক্লিনিক্যাল স্ক্রিনিং করা হবে । যদি শিশুটি এমন জায়গা থেকে হয় যেখানে ক্লিনিকাল স্ক্রীনিং করা যায় না, তাহলে কিউট ব্রেইনের প্রতিনিধিরা ক্লিনিকাল স্ক্রীনিংয়ের সুবিধা প্রদান করবে ।

আরও পড়ুন:

  1. শরীরের ক্ষুদ্র গতিবিধি অনুধাবন করতে আইআইটি গুয়াহাটির নয়া আবিষ্কার
  2. ব্রিথ সেন্সরের মাধ্যমে শুধু মদ্যপানের মাত্রা নয়, নির্ধারণ করা যাবে রোগও
  3. প্রয়োজন পড়বে না রক্তপরীক্ষার, শ্বাসপ্রশ্বাসেই ধরা পড়বে ডায়াবেটিস, নয়া যন্ত্রের আবিষ্কার আইআইটি মান্ডির

কানপুর, 16 মার্চ: ছেলেমেয়ের পড়াশোনা নিয়ে আজকের দিনে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত থাকেন বাবা-মা ৷ অনেক ছেলেমেয়ে রয়েছে যারা পড়াশোনায় দুর্বল ৷ সহজে কোনও কিছু শিখে উঠতে পারে না ৷ তাদের বাবা-মা আরও বেশি সন্তানদের নিয়ে চিন্তায় থাকেন ৷ তবে এবার সেই সমস্ত অভিভাবকদের স্বস্তি মিলতে চলেছে ৷ কারণ লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়াদের জন্য নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কার করল আইআইটি কানপুর ৷

কী এই প্রযুক্তি ?

আইআইটি-এর ইনকিউবেটেড কোম্পানি কিউট ব্রেইন প্রাইভেট লিমিটেডের সহায়তায় এমন একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে যেকোন ব্যক্তি সহজেই যেকোন কিছু জানতে, বুঝতে এবং শিখতে পারবেন । প্রফেসর ব্রিজভূষণ 2019 সালে ডিসলেক্সিয়া এবং ডিসগ্রাফিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করেছিলেন ৷ ওই অ্যাপের ব্যবহার এখন শুরু হয়েছে । বর্তমানে এই অ্যাপটি বাচ্চাদের হিন্দি ভাষার মাধ্যমে পড়াশোনা করতে সাহায্য করবে ৷ পাশাপাশি অ্যাপটি অন্য পাঁচটি ভাষায় প্রস্তুত করার চেষ্টা চলছে ।

অ্যাপটি কীভাবে শিশুদের সহায়ক ?

আইআইটি কানপুরের মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক ব্রিজভূষণ বলেছেন, "ডিসলেক্সিয়া বা অন্য গুরুতর রোগে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে যে স্নায়ুবিক বিকাশ ঘটে তা সাধারণ শিশুদের মতো নয় । এমন পরিস্থিতিতে কিউট ব্রেইনের প্রতিনিধিরা শিশুদের একটি টাচস্ক্রিন ডিভাইস দেন । যার উপর বাচ্চাদের টেক্সট লিখতে বা শব্দ লেখার জন্য আঙুল নাড়াতে হয় । এখানে অডিয়ো-ভিডিয়ো ভিজ্যুয়ালের সাহায্যে বাচ্চাদের হ্যাপটিক লার্নিং (বারবার আঙুলের নড়াচড়া) শেখানো হয় ।"

তাঁর কথায়, "এই অ্যাপের গবেষণার সময় আমরা লক্ষ্য করেছি যে 60 দিন ধরে একটানা অনুশীলন করার পরে, এমনকী গুরুতর রোগে আক্রান্ত শিশুরাও সহজেই পড়াশোনা শুরু করেছে । বর্তমানে এই অ্যাপ এবং প্রযুক্তি প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিশুদের জন্য কার্যকর । এই অ্যাপটি সারা দেশের যেকোনো স্কুলে সহজেই ব্যবহার করা যাবে ।"

কিউট ব্রেইনের ওয়েবসাইট

অধ্যাপক ব্রিজভূষণ আরও জানিয়েছেন, যে কেউ কিউট ব্রেইনের ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন । অভিভাবকরা সাইটে গিয়ে একটি ফর্ম পানৃবেন, যা তাদের পূরণ করতে হবে এবং জমা দিতে হবে । এরপরে কিউট ব্রেইনের প্রতিনিধিরা নিজেরাই যোগাযোগ করবে আপনাদের সঙ্গে । তাদের ন্যূনতম ফিও রয়েছে । একই সময়ে প্রথমে প্রতিটি শিশুর ক্লিনিক্যাল স্ক্রিনিং করা হবে । যদি শিশুটি এমন জায়গা থেকে হয় যেখানে ক্লিনিকাল স্ক্রীনিং করা যায় না, তাহলে কিউট ব্রেইনের প্রতিনিধিরা ক্লিনিকাল স্ক্রীনিংয়ের সুবিধা প্রদান করবে ।

আরও পড়ুন:

  1. শরীরের ক্ষুদ্র গতিবিধি অনুধাবন করতে আইআইটি গুয়াহাটির নয়া আবিষ্কার
  2. ব্রিথ সেন্সরের মাধ্যমে শুধু মদ্যপানের মাত্রা নয়, নির্ধারণ করা যাবে রোগও
  3. প্রয়োজন পড়বে না রক্তপরীক্ষার, শ্বাসপ্রশ্বাসেই ধরা পড়বে ডায়াবেটিস, নয়া যন্ত্রের আবিষ্কার আইআইটি মান্ডির
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.