নয়ডা, 7 এপ্রিল: হাতুড়ির আঘাতে স্ত্রীকে হত্যা করার পর থানায় গিয়ে আত্মসমপর্ণ করলেন স্বামী ৷ এমনই ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী নয়ডা ৷ স্ত্রী পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন বলে তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পেরেছে। স্বামীকে গ্রেফতারে পাশাপাশি মহিলার দেহ ময়নাতদন্তের জন্যও পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে স্বামীও পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ৷ তবে আপাতত তিনি কোথাও কর্মরত ছিলেন না ৷
নয়ডার ডিসিপি রামবদন সিংয়ের দাবি, বিহারের চম্পারণের বাসিন্দা ওই মহিলার সঙ্গে 2005 সালে দিল্লির জামিয়া নগরের এক ব্যক্তির বিয়ে হয়। এরপর স্বামী, এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে নয়ডার সেক্টর 15-এর সি ব্লকের তিনতলা বাড়িতে থাকতেন ওই মহিলা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দু'জনের মধ্যে প্রবল ঝগড়া হয় বলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সেই খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল 10টা নাগাদ কয়েকজন আত্মীয় তাঁদের বাড়িতে আসেন ৷ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মিটমাট করাতেই তাঁরা এসেছিলেন বলে পুুলিশ জানতে পেরেছে ।
পুলিশ সূত্রে খবর, আত্মীয়স্বজনরা দু'জনকে বুঝিয়ে চলে যান ৷ কিন্তু শান্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি ৷ কিছুক্ষণ পর আবারও দু'জনের মধ্যে প্রবল ঝগড়া শুরু হয়। দুপুর একটা নাগাদ স্ত্রীকে ঘরের মেঝেতে ঠেলে ফেলে দেন স্বামী ৷ অভিযোগ, এরপরই হাতুড়ি দিয়ে স্ত্রীর কপালে ও মাথায় আঘাত করে খুন করেন ।
ঘটনার সময়,মহিলার মা ওই বাড়িতেই হাজির ছিলেন। প্রায় 20 মিনিট পর আশেপাশের লোকজন খুনের কথা জানতে পারেন। ঘটনায় মহিলার ছেলে একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার আরও বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার পর বাড়ির বাইরে ভিড় জমে যায়। অতিরিক্ত ডিসিপি সুমিত কুমার শুক্লা এবং পুলিশ সুপার বিবেক রঞ্জন রাই-সহ অন্যান্য আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে যান। সমস্ত দিক মাথায় রেখে বিষয়টির তদন্ত শুরু করা হয়েছে। নিহত মহিলার মায়ের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ ৷ নিছকই মুহূর্তের রাগ থেকে স্বামী স্ত্রীকে খুন করেছেন নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও ঘটনা আছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷