ETV Bharat / bharat

সরকারি চাকরিতে 5 শতাংশ সংরক্ষণের দাবি, ট্রেন থামিয়ে প্রতিবাদ গুর্জরদের - GURJAR AGITATION IN RAJASTHAN

ট্রেন থামিয়ে প্রতিবাদে নামল গুর্জর সম্প্রদায় ৷ সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ-সহ একাধিক দাবি তুলেছে তারা ৷ সরকারের তরফে ইতিবাচক ইঙ্গিত পেলেও রেল অবরোধ করে তারা ৷

GURJAR AGITATION IN RAJASTHAN
ট্রেন থামিয়ে গুর্জর সম্প্রদায়ের প্রতিবাদ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : June 8, 2025 at 9:40 PM IST

3 Min Read

ভরতপুর, 8 জুন: সরকারি চাকরিতে 5 শতাংশ সংরক্ষণের দাবিতে রেল অবরোধ করল গুর্জর সম্প্রদায় ৷ রবিবার রাজস্থানের ভরতপুরে বায়ানার কাছে পিলুপুরায় ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে গুর্জর নেতারা ৷ এদিন এই বিক্ষোভের আগে কারওয়ারি গ্রামে গুর্জর মহাপঞ্চায়েত সভা শেষ হয় ৷ তারপরই একের পর এক গুর্জর নেতা পিলুপুরায় জমায়েত করেন এবং কোটা-মথুরা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি থামিয়ে দেন ৷ ওই ট্র্যাক দিয়ে দিল্লি-মুম্বই রুটে ট্রেনও চলাচল করে ৷

মহাপঞ্চায়েতের সময় বিজয় বৈঁসলা ঘোষণা করেন, রাজ্য সরকারের পাঠানো খসড়াটি ইতিবাচক এবং সাতটি দাবিতে সম্মতি দিয়েছে রাজ্য সরকার ৷ তিনি বলেন, "সরকারের তরফে মন্ত্রিসভা স্তরে একটি প্রস্তাব তৈরি করে তা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাছে পাঠানো হবে ৷ সংবিধানের নবম তফসিলে 5 শতাংশ এমবিসি সংরক্ষণের অন্তর্ভুক্ত করা যায় ৷ এই ঘোষণার পর, মহাপঞ্চায়েতের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় ৷"

গুর্জর নেতা বিজয় বৈঁসলার এই ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকজন যুবক মহাপঞ্চায়েত সভাস্থল ত্যাগ করে দিল্লি-মুম্বই রেললাইনে পৌঁছে যান ৷ এই যুবকরা রেললাইনের ফিশ প্লেট খুলে ভিওয়াড়ি থেকে সাওয়াই মাধোপুরগামী ট্রেনটি থামিয়ে দেন ৷ ট্রেনের ইঞ্জিনে পাথর ছোড়েন ৷ দু'ঘণ্টা ধরে রেললাইনে বিক্ষোভ দেখানোর পর, বিধায়ক অতুল প্রধানের পরামর্শে গুর্জরা সম্প্রদায়ের তরুণরা ট্র্যাক থেকে সরে যান ৷ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার পর যাত্রীবাহী ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়া হয় ৷

এর আগে গুর্জর আরক্ষণ সংঘর্ষ সমিতির সভাপতি বিজয় বৈঁসলা সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা আমাদের অধিকার পেয়ে তবেই বাড়ি ফিরব ৷ সরকার যদি সাড়া না দেয়, আমাদের কাছে বৃহত্তর আন্দোলন ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না ৷ 2008 সালের আন্দোলনের পর 17 টি বছর কেটে গিয়েছে ৷ আমাদের একাধিক দাবি এখনও পূরণ হয়নি ৷"

বৈঁসলা পরিষ্কার জানান, ভবিষ্যতে সরকারের সঙ্গে যে আলোচনাই হোক না কেন, তা আমাদের সম্প্রদায়ের সকলের সামনে হবে ৷ তিনি বলেন, "রুদ্ধ ঘরে কোনও বৈঠক নয় ৷ আমরা সরকারকে আমাদের রুট চার্ট দিয়ে দিয়েছি ৷ তারা যদি কথা বলতে চায়, তাহলে তারা আসুক এবং খোলাখুলি করুক ৷ সমাজে সকলের উপস্থিতিতে আলোচনা হোক ৷"

গুর্জর সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি, তাদের পড়াশোনা ও অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য দেবনারায়ণ যোজনা প্রকল্প ৷ এই প্রকল্প কার্যকর না-করায় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে তারা ৷ বৈঁসলার কথায়, "দেবনারায়ণ যোজনা প্রকল্পটি আমাদের কাছে গীতার সমতুল ৷ কিন্তু এটা ঠিক করে কার্যকর করা হয়নি ৷ আমাদের সন্তানরা লেখাপড়ার জন্য সংগ্রাম করছে ৷ 2008 সালের আন্দোলনের পরে এখনও আমরা বিচার পাইনি ৷"

গুর্জর নেতা বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে বড় হয়েছেন ৷ আমি বিশ্বাস করি, তিনি আমাদের ইস্যুগুলি বুঝতে পারবেন ৷ যদিও, মহাপঞ্চায়েতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সমাজ ৷ এখন বলটা মুখ্যমন্ত্রীর কোর্টে ৷" এদিকে রাজস্থানের স্বরাষ্ট্র দফতরের মন্ত্রী জওহর সিং বেধাম জানিয়েছেন, বিজয় বৈঁসলা কখনও আলোচনা করতে আসেননি ৷ সরকার সবসময় তৈরি ৷ কিন্তু সংঘর্ষ সমিতিকে এগিয়ে আসতে হবে ৷ মন্ত্রী এর আগে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন ৷

এই মহাপঞ্চায়েত উপলক্ষ্যে ভরতপুরের বায়ানা এলাকায় নিরাপত্ত ব্যবস্থা জোরদার করা হয় ৷ শনিবার সন্ধ্যায় আইজি রাহুল প্রকাশ এবং করৌলির কালেক্টর নীলাভ সাক্সেনা বিজয় বৈঁসলার সঙ্গে দেখা করেন ৷ পুলিশ, প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থাকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে ৷ মহাপঞ্চায়েতে অংশ নেওয়ার জন্য গুর্জর নেতা বৈঁসলা-সহ অন্যরা এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে আর্জি জানিয়েছেন ৷ আমন্ত্রণের প্রতীক হিসাবে 300টি গ্রামে হলুদ চাল বিতরণ করা হয় ৷

ভরতপুর, 8 জুন: সরকারি চাকরিতে 5 শতাংশ সংরক্ষণের দাবিতে রেল অবরোধ করল গুর্জর সম্প্রদায় ৷ রবিবার রাজস্থানের ভরতপুরে বায়ানার কাছে পিলুপুরায় ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে গুর্জর নেতারা ৷ এদিন এই বিক্ষোভের আগে কারওয়ারি গ্রামে গুর্জর মহাপঞ্চায়েত সভা শেষ হয় ৷ তারপরই একের পর এক গুর্জর নেতা পিলুপুরায় জমায়েত করেন এবং কোটা-মথুরা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি থামিয়ে দেন ৷ ওই ট্র্যাক দিয়ে দিল্লি-মুম্বই রুটে ট্রেনও চলাচল করে ৷

মহাপঞ্চায়েতের সময় বিজয় বৈঁসলা ঘোষণা করেন, রাজ্য সরকারের পাঠানো খসড়াটি ইতিবাচক এবং সাতটি দাবিতে সম্মতি দিয়েছে রাজ্য সরকার ৷ তিনি বলেন, "সরকারের তরফে মন্ত্রিসভা স্তরে একটি প্রস্তাব তৈরি করে তা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাছে পাঠানো হবে ৷ সংবিধানের নবম তফসিলে 5 শতাংশ এমবিসি সংরক্ষণের অন্তর্ভুক্ত করা যায় ৷ এই ঘোষণার পর, মহাপঞ্চায়েতের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় ৷"

গুর্জর নেতা বিজয় বৈঁসলার এই ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকজন যুবক মহাপঞ্চায়েত সভাস্থল ত্যাগ করে দিল্লি-মুম্বই রেললাইনে পৌঁছে যান ৷ এই যুবকরা রেললাইনের ফিশ প্লেট খুলে ভিওয়াড়ি থেকে সাওয়াই মাধোপুরগামী ট্রেনটি থামিয়ে দেন ৷ ট্রেনের ইঞ্জিনে পাথর ছোড়েন ৷ দু'ঘণ্টা ধরে রেললাইনে বিক্ষোভ দেখানোর পর, বিধায়ক অতুল প্রধানের পরামর্শে গুর্জরা সম্প্রদায়ের তরুণরা ট্র্যাক থেকে সরে যান ৷ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার পর যাত্রীবাহী ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়া হয় ৷

এর আগে গুর্জর আরক্ষণ সংঘর্ষ সমিতির সভাপতি বিজয় বৈঁসলা সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা আমাদের অধিকার পেয়ে তবেই বাড়ি ফিরব ৷ সরকার যদি সাড়া না দেয়, আমাদের কাছে বৃহত্তর আন্দোলন ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না ৷ 2008 সালের আন্দোলনের পর 17 টি বছর কেটে গিয়েছে ৷ আমাদের একাধিক দাবি এখনও পূরণ হয়নি ৷"

বৈঁসলা পরিষ্কার জানান, ভবিষ্যতে সরকারের সঙ্গে যে আলোচনাই হোক না কেন, তা আমাদের সম্প্রদায়ের সকলের সামনে হবে ৷ তিনি বলেন, "রুদ্ধ ঘরে কোনও বৈঠক নয় ৷ আমরা সরকারকে আমাদের রুট চার্ট দিয়ে দিয়েছি ৷ তারা যদি কথা বলতে চায়, তাহলে তারা আসুক এবং খোলাখুলি করুক ৷ সমাজে সকলের উপস্থিতিতে আলোচনা হোক ৷"

গুর্জর সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি, তাদের পড়াশোনা ও অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য দেবনারায়ণ যোজনা প্রকল্প ৷ এই প্রকল্প কার্যকর না-করায় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে তারা ৷ বৈঁসলার কথায়, "দেবনারায়ণ যোজনা প্রকল্পটি আমাদের কাছে গীতার সমতুল ৷ কিন্তু এটা ঠিক করে কার্যকর করা হয়নি ৷ আমাদের সন্তানরা লেখাপড়ার জন্য সংগ্রাম করছে ৷ 2008 সালের আন্দোলনের পরে এখনও আমরা বিচার পাইনি ৷"

গুর্জর নেতা বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে বড় হয়েছেন ৷ আমি বিশ্বাস করি, তিনি আমাদের ইস্যুগুলি বুঝতে পারবেন ৷ যদিও, মহাপঞ্চায়েতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সমাজ ৷ এখন বলটা মুখ্যমন্ত্রীর কোর্টে ৷" এদিকে রাজস্থানের স্বরাষ্ট্র দফতরের মন্ত্রী জওহর সিং বেধাম জানিয়েছেন, বিজয় বৈঁসলা কখনও আলোচনা করতে আসেননি ৷ সরকার সবসময় তৈরি ৷ কিন্তু সংঘর্ষ সমিতিকে এগিয়ে আসতে হবে ৷ মন্ত্রী এর আগে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন ৷

এই মহাপঞ্চায়েত উপলক্ষ্যে ভরতপুরের বায়ানা এলাকায় নিরাপত্ত ব্যবস্থা জোরদার করা হয় ৷ শনিবার সন্ধ্যায় আইজি রাহুল প্রকাশ এবং করৌলির কালেক্টর নীলাভ সাক্সেনা বিজয় বৈঁসলার সঙ্গে দেখা করেন ৷ পুলিশ, প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থাকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে ৷ মহাপঞ্চায়েতে অংশ নেওয়ার জন্য গুর্জর নেতা বৈঁসলা-সহ অন্যরা এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে আর্জি জানিয়েছেন ৷ আমন্ত্রণের প্রতীক হিসাবে 300টি গ্রামে হলুদ চাল বিতরণ করা হয় ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.