মেরঠ, 8 সেপ্টেম্বর: ফের গণধর্ষণের শিকার 16 বছরের এক নাবালিকা ৷ শনিবার রাত যখন সাড়ে আটটা তখন ওই কিশোরীকে জোর করে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় তিন যুবক ৷ উত্তরপ্রদেশের মেরঠের লোহিয়ানগর এলাকায় ওই ছাত্রীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে অভিযুক্তরা ৷ মেয়ে বাড়ি না-আসায় আশপাশে খোঁজ করা শুরু করে পরিবারের সদস্যরা ৷ এদিকে ওই কিশোরী শারীরিক যন্ত্রণায় চিৎখার করতে থাকে ৷ পরিবারের সদস্যরা সেই আওয়াজ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে ভরতি করেন ৷ তারপরই পুলিশের দ্বারস্থ হয় নির্যাতিতার পরিবার ৷
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোতোয়ালির থানার সিও আশুতোষ সিং। কিশোরীর কাছ থেকে জেলা হাসপাতালেই অভিযুক্তদের সমস্ত তথ্য নেয় পুলিশ। এরপর সিও কোতোয়ালি আশুতোষ সিং জানিয়েছেন, নির্যাতিতার পরিবারের তরফে অভিযোগ পেয়েই আমরা কিশোরীর কাছে যায় ৷ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। খুব শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার বিষয়ে প্রতিবেশীরা জানান, মেয়েটি প্রতিদিন সেলাই শিখতে যেত। শনিবার সকালে তার মা ও দাদা কাজে চলে যায় ৷ সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে তাঁরা মেয়েকে দেখতে না-পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন ৷
এরপরই আশপাশে খোঁজখবর শুরু করে ৷ খানিক দূরেই একটি তালাবন্ধ ঘর থেকে মেয়ের চিৎকার শুনতে পান ৷ দরজা ভেঙে দেখতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা ৷ তড়িঘড়ি পুলিশে খবর দেওয়া হয় ৷ তারপরই পুলিশ সেখানে পৌঁছয় ৷ প্রতিবেশী এক যুবক জানান, মেয়েটিকে গণধর্ষণ করা হয়েছে ৷ ওই ঘরটির মালিকও পলাতক ৷ তিনিও এই কুর্কমে লিপ্ত থাকতে পারেন ৷ তবে অভিযুক্তরা সকলেই শ্রমিক ৷