ETV Bharat / bharat

ফের উত্তপ্ত মণিপুর, ঘুমন্ত ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা, জঙ্গিদের লড়াইয়ে নিহত 4 - Manipur Violence

Manipur Violence: ফের উত্তপ্ত মণিপুর ৷ জঙ্গি হামলায় এক সাধারণ নাগরিক নিহত হন শনিবার সকালে ৷ পরে পাহাড়ের উপর দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইয়ে চারজন নিহত হয়েছে ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 7, 2024, 1:03 PM IST

Updated : Sep 7, 2024, 2:18 PM IST

Manipur Violence
ফের উত্তপ্ত মণিপুর, ঘুমন্ত ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা, জঙ্গিদের লড়াইয়ে নিহত 4 (এএনআই)

বিষ্ণুপুর (মণিপুর), 7 সেপ্টেম্বর: মণিপুরে ফের হিংসা ছড়াল ৷ শনিবার সকালে মণিপুরের জিরিবাম জেলায় নতুন করে ছড়ানো হিংসার ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন ৷ পুলিশ জানিয়েছে, একজনকে ঘুমের মধ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ৷ পরে অন্য একটি ঘটনায় পাহাড়ের উপর গুলি বিনিময়ে চারজন সশস্ত্র ব্যক্তি নিহত হয়েছে ৷

মণিপুরের এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, জঙ্গিরা জেলা সদর থেকে প্রায় 5 কিলোমিটার দূরে একটি বিচ্ছিন্ন স্থানে একা বসবাসকারী এক ব্যক্তির বাড়িতে প্রবেশ করে এবং ঘুমের মধ্যে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে । এর পর জেলা সদর থেকে 7 কিলোমিটার দূরে পাহাড়ে সশস্ত্র দু’টি পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় শুরু হয় ৷ এর ফলে তিনজন জঙ্গি-সহ চারজন সশস্ত্র ব্যক্তি নিহত হয় ৷

গত বছরের মে মাস থেকে হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয় উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্য মণিপুরে ৷ মূলত, কুকি ও মেইতেইদের মধ্যে গোলমালের জেরেই এই ঘটনা ঘটে ৷ শুরুর দিকে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলমাল হলেও পরে তা কমে যায় ৷ আপাত শান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় ৷ কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে রকেট হামলা-সহ একাধিকবার আক্রমণের ঘটনায় নতুন করে উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছিল মায়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন এই রাজ্যে ৷ এবার প্রাণহানির ঘটনায় নতুন করে ওই রাজ্যে হিংসা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন ৷

উল্লেখ্য, চলতি মাসের প্রথম দিন সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিরা ড্রোন ব্যবহার করে রকেট পরিচালিত গ্রেনেড দিয়ে হামলা চালায় ৷ সেই হামলায় 31 বছর বয়সী এনগাংবাম সুরবালা নামে এক ব্যক্তি নিহত হন ৷ ইম্ফল পশ্চিম জেলার কৌর্তুকে এই ঘটনাটি ঘটেছিল ৷ সেই হামলায় সুরবালার আট বছরের মেয়ে-সহ দুই পুলিশ কর্মী ও তিনজন সাধারণ ব্যক্তি আহত হন ৷ পরদিন, 2 সেপ্টেম্বরও এই ধরনের ড্রোন হামলা হয় ৷ তবে সেই ঘটনায় কেউ মারা যাননি ৷ বরং আহত হন তিনজন ৷

এই হামলাকে অভূতপূর্ব বলেই দাবি করেছিল মণিপুর পুলিশ ৷ কারণ, এই ধরনের ড্রোন হামলায় কাউকে মেরে ফেলের ঘটনা আগে ঘটেনি ৷ মণিপুর পুলিশ মনে করছে এই হামলাগুলির নেপথ্যে প্রযুক্তি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান আছে, এমন কেউ রয়েছেন ৷

তার পর চার দিনের আপেক্ষিক শান্তির পরিস্থিতি থাকার পর শুক্রবার ফের হিংসা বৃদ্ধি পায় ৷ ওইদিন কুকি জঙ্গিরা নজিরবিহীনভাবে রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী মাইরেম্বাম কোইরেং সিং-এর বাড়িতে হামলা হয় ৷ তাঁর বাড়ি বিষ্ণুপুর জেলার ময়রাং শহরে ৷

এছাড়া আরও দু’টি জায়গায় হামলা হয় ৷ একজন নিহত হন ৷ আহত হন আরও ছ’জন । কুকি জঙ্গিরা চুরাচাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী পাহাড় থেকে রকেটটি ছুঁড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে । পুলিশ জানিয়েছে যে মুয়ালসাং গ্রামে দু’টি বাঙ্কার এবং চুরাচাঁদপুরের লাইকা মুয়ালসাউ গ্রামে একটি বাঙ্কার হামলার পরে নিরাপত্তা বাহিনী ধ্বংস করে দেয় । নতুন করে হিংসা ছড়াতে শুরু করায় শনিবার মণিপুরে সব স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল ৷

এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ৷ রাতে অনেক বাড়িতে আলো নিভিয়ে রাখা হয় ৷ এই নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে মণিপুর ইন্টিগ্রিটির সমন্বয় কমিটি ৷

বিষ্ণুপুর (মণিপুর), 7 সেপ্টেম্বর: মণিপুরে ফের হিংসা ছড়াল ৷ শনিবার সকালে মণিপুরের জিরিবাম জেলায় নতুন করে ছড়ানো হিংসার ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন ৷ পুলিশ জানিয়েছে, একজনকে ঘুমের মধ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ৷ পরে অন্য একটি ঘটনায় পাহাড়ের উপর গুলি বিনিময়ে চারজন সশস্ত্র ব্যক্তি নিহত হয়েছে ৷

মণিপুরের এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, জঙ্গিরা জেলা সদর থেকে প্রায় 5 কিলোমিটার দূরে একটি বিচ্ছিন্ন স্থানে একা বসবাসকারী এক ব্যক্তির বাড়িতে প্রবেশ করে এবং ঘুমের মধ্যে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে । এর পর জেলা সদর থেকে 7 কিলোমিটার দূরে পাহাড়ে সশস্ত্র দু’টি পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় শুরু হয় ৷ এর ফলে তিনজন জঙ্গি-সহ চারজন সশস্ত্র ব্যক্তি নিহত হয় ৷

গত বছরের মে মাস থেকে হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয় উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্য মণিপুরে ৷ মূলত, কুকি ও মেইতেইদের মধ্যে গোলমালের জেরেই এই ঘটনা ঘটে ৷ শুরুর দিকে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলমাল হলেও পরে তা কমে যায় ৷ আপাত শান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় ৷ কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে রকেট হামলা-সহ একাধিকবার আক্রমণের ঘটনায় নতুন করে উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছিল মায়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন এই রাজ্যে ৷ এবার প্রাণহানির ঘটনায় নতুন করে ওই রাজ্যে হিংসা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন ৷

উল্লেখ্য, চলতি মাসের প্রথম দিন সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিরা ড্রোন ব্যবহার করে রকেট পরিচালিত গ্রেনেড দিয়ে হামলা চালায় ৷ সেই হামলায় 31 বছর বয়সী এনগাংবাম সুরবালা নামে এক ব্যক্তি নিহত হন ৷ ইম্ফল পশ্চিম জেলার কৌর্তুকে এই ঘটনাটি ঘটেছিল ৷ সেই হামলায় সুরবালার আট বছরের মেয়ে-সহ দুই পুলিশ কর্মী ও তিনজন সাধারণ ব্যক্তি আহত হন ৷ পরদিন, 2 সেপ্টেম্বরও এই ধরনের ড্রোন হামলা হয় ৷ তবে সেই ঘটনায় কেউ মারা যাননি ৷ বরং আহত হন তিনজন ৷

এই হামলাকে অভূতপূর্ব বলেই দাবি করেছিল মণিপুর পুলিশ ৷ কারণ, এই ধরনের ড্রোন হামলায় কাউকে মেরে ফেলের ঘটনা আগে ঘটেনি ৷ মণিপুর পুলিশ মনে করছে এই হামলাগুলির নেপথ্যে প্রযুক্তি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান আছে, এমন কেউ রয়েছেন ৷

তার পর চার দিনের আপেক্ষিক শান্তির পরিস্থিতি থাকার পর শুক্রবার ফের হিংসা বৃদ্ধি পায় ৷ ওইদিন কুকি জঙ্গিরা নজিরবিহীনভাবে রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী মাইরেম্বাম কোইরেং সিং-এর বাড়িতে হামলা হয় ৷ তাঁর বাড়ি বিষ্ণুপুর জেলার ময়রাং শহরে ৷

এছাড়া আরও দু’টি জায়গায় হামলা হয় ৷ একজন নিহত হন ৷ আহত হন আরও ছ’জন । কুকি জঙ্গিরা চুরাচাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী পাহাড় থেকে রকেটটি ছুঁড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে । পুলিশ জানিয়েছে যে মুয়ালসাং গ্রামে দু’টি বাঙ্কার এবং চুরাচাঁদপুরের লাইকা মুয়ালসাউ গ্রামে একটি বাঙ্কার হামলার পরে নিরাপত্তা বাহিনী ধ্বংস করে দেয় । নতুন করে হিংসা ছড়াতে শুরু করায় শনিবার মণিপুরে সব স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল ৷

এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ৷ রাতে অনেক বাড়িতে আলো নিভিয়ে রাখা হয় ৷ এই নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে মণিপুর ইন্টিগ্রিটির সমন্বয় কমিটি ৷

Last Updated : Sep 7, 2024, 2:18 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.