জলগাঁও, 27 এপ্রিল: আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে মেয়ে-জামাইয়ের উপর হামলা চালালেন অবসরপ্রাপ্ত সিআরপিএফ জওয়ান ৷ মেয়েকে গুলি করে খুন করেন তিনি ৷ গুরুতর আহত জামাই ৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তাঁর কথা না শুনেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মেয়ে ৷ আর তার জেরেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন আধা সামরিক বাহিনীর ওই প্রাক্তন জওয়ান ৷ গুলি চালানোর ঘটনায় আরও একজন মহিলা আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্রের জলগাঁও জেলার চোপড়া শহরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত জওয়ান তাঁর মেয়েকে গুলি করে খুন করেছেন ৷ ঘটনায় জামাই গুরুতর আহত হয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত সিআরপিএফ জওয়ানের নাম কিরণ মাঙ্গল ৷ তাঁর মেয়ে তৃপ্তি মাঙ্গলের সঙ্গে অবিনাশ ওয়াঘে নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ৷ প্রায় এক বছর আগে তাঁদের বিয়েও হয় ৷
খুনের খবর পেয়ে জলগাঁওয়ের পুলিশ সুপার মহেশ্বর রেড্ডি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ৷ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, "এক বছর আগে কিরণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর মেয়ে তৃপ্তি অবিনাশকে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। ঘটনার দিন দু'জন চোপড়ায় এক আত্মীয়ের বিয়েতে এসেছিলেন। কিরণও সেখানে উপস্থিত হন ৷ মেয়ে এবং জামাইয়ের উপর গুলি চালান। ঘটনাস্থলেই তৃপ্তির মৃত্যু হয়েছে ৷ গুরুতর আহত অবিনাশ ৷"
ঘটনার পর, ক্ষুব্ধ জনতা কিরণের উপর চড়াও হয় ৷ গণপিটুনিতে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন ৷ গুরুতর অবস্থায় পরে তাকে জলগাঁও সরকারি মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, চিকিৎসার জন্য গুলিবিদ্ধ অবিনাশকেও ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, "বিয়ের অনুষ্ঠানে পৌঁছনোর পর ওই ব্যক্তি জানতে পারেন যে তার মেয়ে-জামাই সেখানে আছেন। তাঁদের সন্ধান করে গুলি চালান ৷ গুলি চালানোর পরই আশেপাশের লোকেরা তাঁকে মারধর করতে শুরু করে। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। মাঙ্গলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।" কেন তিনি এই কাজটি করেছেন তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার রেড্ডি ৷