সিকর (রাজস্থান), 4 নভেম্বর: কন্যাসন্তানের জন্মের পর বড় উদ্যোগ পরিবারের ৷ মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করলেন ছয় সদস্য ৷ সন্তানের জন্মের সময় বাড়িতে টাকা, শস্য, জামাকাপড় বা অন্যান্য জিনিস দান করার একটি পুরানো প্রথা রয়েছে রাজস্থানের সিকরে । তবে দেহদানের অঙ্গীকার বিরল ! চাঁদপুরার একটি পরিবার ঘরে কন্যা সন্তানের জন্মকে কেন্দ্র করে এমন দানের অঙ্গীকার করেছে, যা মানবজাতির কল্যাণে অংশীদার হওয়ার বড় উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
এই পরিবারে কন্যা সন্তান জন্মের পর দাদু ও ঠাকুমা-সহ ছয়জন দেহদান করার শপথ নিয়েছেন । রবিবার গ্রামের বাড়িতেই সম্মিলিতভাবে রেজুলেশন ফর্ম পূরণ করেন তাঁরা । ঘরে কন্যা সন্তানের জন্ম হলে দাদা রামেশ্বরলাল পাচার, রামচন্দ্র সিং পাচার এবং দাদি গীতা দেবী প্রথমে দেহ দান করার সিদ্ধান্ত নেন । তাঁদের অনুপ্রেরণায় পরিবারের সদস্য সুমন বাহেতি এবং সানওয়ালির বাসিন্দা রামপ্রসাদ এবং স্ত্রী অঞ্জুও দেহ দান করার প্রতিশ্রুতি নেন । সকলেই একসঙ্গে রেজুলেশন পেপার ফিলাপ করেন ৷
মানবতা ও মেডিক্যাল কলেজের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে দেহ দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবার । কয়েক মাস আগে, যখন রামচন্দ্র মেডিক্যাল কলেজে দেহের সংকটের খবর শুনেছিলেন তাঁরা ৷ তখনই দেহ দান করার কথা ভেবেছিলেন । কিন্তু, ঘরে কন্যা সন্তানের জন্ম হলে মানবতা ও মেডিক্যাল কলেজের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে দেহদান করার সংকল্প নেন তিনি ।
চাঁদপুরা গ্রামেই হয়েছে দেহদানের রেজুলেশন ফর্ম পূরণ । এই সময়ে, অল ইন্ডিয়া কিষান কংগ্রেস কমিটির রাজ্য সভাপতি, শিবভগবান নাগা, শ্রী কল্যাণ মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান, ডাঃ সর্যু সাইন এবং ডাঃ দীপক যাদবের উপস্থিতি হিসেবে রেজুলেশন ফর্মগুলি পূরণ করেন । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কংগ্রেস জেলা সভাপতি সুনীতা গাথালা, ধোদ ব্লক সভাপতি রাজেন্দ্র সমোতা, রণবীর সিং বর্ধক ।