বিজনৌর (উত্তরপ্রদেশ), 17 অক্টোবর: চাষের ক্ষেতে কাজ করার সময় আচমকা চিতাবাঘের হামলা ৷ আত্মরক্ষার জন্য বন্যপ্রাণ ও মানুষের মধ্যে চলল তুমুল লড়াই ৷ প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে লড়াই চলার পর আওয়াজ শুনে স্থানীয় কৃষকরা ছুটে এসে লাঠিসোটা নিয়ে চিতাবাঘকে আক্রমণ করেন ৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চিতাবাঘটির ৷ রক্তাক্ত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাশীপুর হাসপাতালে ভর্তি প্রাক্তন সেনাকর্মী ৷
খবর পেয়ে অনেকটা দেরিতে প্রায় কয়েকঘণ্টা পর বন দফতরের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়ে ৷ তাঁদের দাবি, গ্রামটি জিম করবেট জাতীয় উদ্যানের কাছেই ৷ এখানে সকাল-দুপুর-বিকেল-রাত যেকোনও সময় এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে ৷ প্রশাসনের উচিত এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা ৷
জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের কাশীপুর সংলগ্ন ভিক্কাওয়ালা গ্রামে বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বছর ষাটেকের প্রাক্তন সেনাকর্মী তাকভীর সিং জঙ্গলে পাশে ক্ষেতের ফসল কাটা দেখতে গিয়েছিলেন। আফজালগড় এলাকায় সেই ক্ষেতের কাছে একটি ড্রেনে বেড়ে ওঠা ঝোপঝাড় পরিষ্কার করতে শুরু করার সময় হঠাৎ চিতাবাঘটি তাঁকে আক্রমণ করে । সাহস করে চিতাবাঘের মুখোমুখি হন তাকভীর । সেই সময় তিনি নীচে পড়ে গেলে চিতাবাঘটি তাঁকে আক্রমণ করে ৷
উঠোনে খেলার ফাঁকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গেল চিতাবাঘ ! মৃত্যু দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়ার
আওয়াজ শুনে আশেপাশের মাঠে কাজ করা লোকজন ছুটে আসেন । বৃদ্ধ তাকভীরকে চিতাবাঘের কবল থেকে বাঁচাতে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে । কিন্তু চিতাবাঘটি তবুও তাকভীরকে টেনে নিয়ে যেতে থাকে । তাতেও বৃদ্ধ সেনাকর্মী সাহস হারাননি ৷ চিতাবাঘের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যান ৷ প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে চলে এই লড়াই । তাতেই গুরুতর আহত হন তাকভীর । আর লাঠির ঘায়ে চিতাবাঘটিও গুরুতর আহত হয় । কিছুক্ষণ পরে তার মৃত্যু হয় ৷ তখন লোকেরা আহত তাকভীরকে কাশীপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান । যেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷
ঘটনাস্থলে পৌঁছে বন বিভাগের পরিদর্শক সুনীল কুমার রাজৌরা জানান, মৃত চিতাবাঘের বয়স চার থেকে পাঁচ বছর । ঘটনার বিষয়ে গ্রামবাসীর কাছ থেকে খবর নেওয়ার পর চিতাবাঘের দেহটি নিয়ে গিয়েছে বনবিভাগ ৷