নয়াদিল্লি, 20 মার্চ: বুধবার সুপ্রিম কোর্টে 2023 সালের একটি আইনের অধীনে দুজন নতুন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগের পক্ষে সওয়াল করল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এই আইনে ভারতের প্রধান বিচারপতিকে বাছাই কমিটিতে রাখা হয়নি ৷ কেন্দ্রের যুক্তি, কমিটিতে একজন বিচারবিভাগীয় সদস্য থাকল কি না, তার উপর নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নির্ভর করে না ৷
আবেদনে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, দুই নতুন নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে হওয়া উচিত, যে রায়ে নির্বাচন কমিটিতে দেশের প্রধান বিচারপতির উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল । একটি লিখিত প্রতিক্রিয়ায়, আইন ও বিচার মন্ত্রকের লেজিসলেটিভ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বলেছেন, "আবেদনকারীদের মামলাটি একটি মৌলিক ভুলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে যে, নির্দিষ্ঠ পদ্ধতিতে গঠিত কমিটি হলেই শুধুমাত্র তার স্বাধীনতা বজায় থাকে । নির্বাচন কমিশন বা অন্য কোনও সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের স্বাধীনতা, নির্বাচন কমিটিতে বিচার বিভাগীয় সদস্যের উপস্থিতির উপর নির্ভর করে না ৷" সরকার বলেছে যে, একইভাবে নির্বাচন কমিটিতে শীর্ষ কোনও সরকারি আধিকারিকের উপস্থিতি স্বয়ংক্রিয় কমিটির পক্ষপাতিত্বের কারণ হতে পারে না ।
লিখিlত প্রতিক্রিয়ায় আইন বিভাগ জানিয়েছে, "উচ্চ সাংবিধানিক কর্মকর্তাদের জনস্বার্থে ন্যায্যভাবে এবং সরল বিশ্বাসে কাজ করতে হবে বলে মনে করা উচিত । যেমন আবেদনকারীরা পরামর্শ দেন যে, বিচারবিভাগীয় সদস্য ছাড়া একটি নির্বাচন কমিটি সর্বদা পক্ষপাতদুষ্ট হবে, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল ৷"
সরকার বলেছে যে, এটি মনে রাখা উচিত নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নির্বাহী বিচক্ষণতার যুগেও ভারতের নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে এবং কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়েছে । একটি উচ্চ সাংবিধানিক অফিস হিসাবে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সংবিধানে অন্তর্নির্মিত সুরক্ষা উপভোগ করেন এবং যা তাঁকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে সক্ষম করে বলেও জানানো হয়েছে সরকারি হলফনামায় ।
বলা হয়েছে, "এটি দাখিল করা হয়েছে যে, সরকারের পক্ষ থেকে অকথ্য উদ্দেশ্য এবং পূর্ব পরিকল্পনার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন । এটা ভালোভাবে মীমাংসা করা হয়েছে যে, উপযুক্ত আইনসভা দ্বারা প্রণীত কোনও আইনকে এই কারণে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না যে, এটি একটি অপ্রত্যাশিত উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ৷"
2023 সালের ডিসেম্বরে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (নিয়োগ, চাকরির শর্তাবলী এবং পদের শর্তাবলী) আইন, 2023, সংসদে পাশ হয়েছিল এবং বিজ্ঞাপিত হয়েছিল । সিইসি এবং ইসি আইন 2023, চলতি বছরের 2 জানুয়ারি কার্যকর করা হয় । কংগ্রেস নেতা জয়া ঠাকুর এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মসের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের 2023 আইনের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জে স্থগিতাদেশের আবেদনের জবাবে হলফনামাটি দাখিল করে কেন্দ্র ৷
আরও পড়ুন: