ETV Bharat / bharat

বাছাই কমিটিতে বিচারবিভাগীয় সদস্যের উপস্থিতির উপর নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নির্ভর করে না: কেন্দ্র

Centre to Supreme Court on EC's Independence: বাছাই কমিটিতে একজন বিচারবিভাগীয় সদস্যের উপস্থিতির উপর নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নির্ভর করে না ৷ সুপ্রিম কোর্টকে হলফনামা দিয়ে এ কথাই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 20, 2024, 6:11 PM IST

ETV BHARAT
ETV BHARAT

নয়াদিল্লি, 20 মার্চ: বুধবার সুপ্রিম কোর্টে 2023 সালের একটি আইনের অধীনে দুজন নতুন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগের পক্ষে সওয়াল করল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এই আইনে ভারতের প্রধান বিচারপতিকে বাছাই কমিটিতে রাখা হয়নি ৷ কেন্দ্রের যুক্তি, কমিটিতে একজন বিচারবিভাগীয় সদস্য থাকল কি না, তার উপর নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নির্ভর করে না ৷

আবেদনে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, দুই নতুন নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে হওয়া উচিত, যে রায়ে নির্বাচন কমিটিতে দেশের প্রধান বিচারপতির উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল । একটি লিখিত প্রতিক্রিয়ায়, আইন ও বিচার মন্ত্রকের লেজিসলেটিভ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বলেছেন, "আবেদনকারীদের মামলাটি একটি মৌলিক ভুলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে যে, নির্দিষ্ঠ পদ্ধতিতে গঠিত কমিটি হলেই শুধুমাত্র তার স্বাধীনতা বজায় থাকে । নির্বাচন কমিশন বা অন্য কোনও সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের স্বাধীনতা, নির্বাচন কমিটিতে বিচার বিভাগীয় সদস্যের উপস্থিতির উপর নির্ভর করে না ৷" সরকার বলেছে যে, একইভাবে নির্বাচন কমিটিতে শীর্ষ কোনও সরকারি আধিকারিকের উপস্থিতি স্বয়ংক্রিয় কমিটির পক্ষপাতিত্বের কারণ হতে পারে না ।

লিখিlত প্রতিক্রিয়ায় আইন বিভাগ জানিয়েছে, "উচ্চ সাংবিধানিক কর্মকর্তাদের জনস্বার্থে ন্যায্যভাবে এবং সরল বিশ্বাসে কাজ করতে হবে বলে মনে করা উচিত । যেমন আবেদনকারীরা পরামর্শ দেন যে, বিচারবিভাগীয় সদস্য ছাড়া একটি নির্বাচন কমিটি সর্বদা পক্ষপাতদুষ্ট হবে, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল ৷"

সরকার বলেছে যে, এটি মনে রাখা উচিত নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নির্বাহী বিচক্ষণতার যুগেও ভারতের নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে এবং কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়েছে । একটি উচ্চ সাংবিধানিক অফিস হিসাবে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সংবিধানে অন্তর্নির্মিত সুরক্ষা উপভোগ করেন এবং যা তাঁকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে সক্ষম করে বলেও জানানো হয়েছে সরকারি হলফনামায় ।

বলা হয়েছে, "এটি দাখিল করা হয়েছে যে, সরকারের পক্ষ থেকে অকথ্য উদ্দেশ্য এবং পূর্ব পরিকল্পনার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন । এটা ভালোভাবে মীমাংসা করা হয়েছে যে, উপযুক্ত আইনসভা দ্বারা প্রণীত কোনও আইনকে এই কারণে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না যে, এটি একটি অপ্রত্যাশিত উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ৷"

2023 সালের ডিসেম্বরে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (নিয়োগ, চাকরির শর্তাবলী এবং পদের শর্তাবলী) আইন, 2023, সংসদে পাশ হয়েছিল এবং বিজ্ঞাপিত হয়েছিল । সিইসি এবং ইসি আইন 2023, চলতি বছরের 2 জানুয়ারি কার্যকর করা হয় । কংগ্রেস নেতা জয়া ঠাকুর এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মসের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের 2023 আইনের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জে স্থগিতাদেশের আবেদনের জবাবে হলফনামাটি দাখিল করে কেন্দ্র ৷

আরও পড়ুন:

  1. কেন্দ্রের জবাব তলব করেও সিএএ লাগু করা নিয়ে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট
  2. 21 মার্চের মধ্যে এসবিআইকে নির্বাচনী বন্ডের যাবতীয় তথ্য দিতে 'সুপ্রিম' নির্দেশ
  3. নির্বাচনী বন্ড মামলায় এসবিআইকে ঠিক কী বলেছে সুপ্রিম কোর্ট ? রইল বিস্তারিত

নয়াদিল্লি, 20 মার্চ: বুধবার সুপ্রিম কোর্টে 2023 সালের একটি আইনের অধীনে দুজন নতুন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগের পক্ষে সওয়াল করল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এই আইনে ভারতের প্রধান বিচারপতিকে বাছাই কমিটিতে রাখা হয়নি ৷ কেন্দ্রের যুক্তি, কমিটিতে একজন বিচারবিভাগীয় সদস্য থাকল কি না, তার উপর নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নির্ভর করে না ৷

আবেদনে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, দুই নতুন নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে হওয়া উচিত, যে রায়ে নির্বাচন কমিটিতে দেশের প্রধান বিচারপতির উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল । একটি লিখিত প্রতিক্রিয়ায়, আইন ও বিচার মন্ত্রকের লেজিসলেটিভ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বলেছেন, "আবেদনকারীদের মামলাটি একটি মৌলিক ভুলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে যে, নির্দিষ্ঠ পদ্ধতিতে গঠিত কমিটি হলেই শুধুমাত্র তার স্বাধীনতা বজায় থাকে । নির্বাচন কমিশন বা অন্য কোনও সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের স্বাধীনতা, নির্বাচন কমিটিতে বিচার বিভাগীয় সদস্যের উপস্থিতির উপর নির্ভর করে না ৷" সরকার বলেছে যে, একইভাবে নির্বাচন কমিটিতে শীর্ষ কোনও সরকারি আধিকারিকের উপস্থিতি স্বয়ংক্রিয় কমিটির পক্ষপাতিত্বের কারণ হতে পারে না ।

লিখিlত প্রতিক্রিয়ায় আইন বিভাগ জানিয়েছে, "উচ্চ সাংবিধানিক কর্মকর্তাদের জনস্বার্থে ন্যায্যভাবে এবং সরল বিশ্বাসে কাজ করতে হবে বলে মনে করা উচিত । যেমন আবেদনকারীরা পরামর্শ দেন যে, বিচারবিভাগীয় সদস্য ছাড়া একটি নির্বাচন কমিটি সর্বদা পক্ষপাতদুষ্ট হবে, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল ৷"

সরকার বলেছে যে, এটি মনে রাখা উচিত নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নির্বাহী বিচক্ষণতার যুগেও ভারতের নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে এবং কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়েছে । একটি উচ্চ সাংবিধানিক অফিস হিসাবে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সংবিধানে অন্তর্নির্মিত সুরক্ষা উপভোগ করেন এবং যা তাঁকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে সক্ষম করে বলেও জানানো হয়েছে সরকারি হলফনামায় ।

বলা হয়েছে, "এটি দাখিল করা হয়েছে যে, সরকারের পক্ষ থেকে অকথ্য উদ্দেশ্য এবং পূর্ব পরিকল্পনার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন । এটা ভালোভাবে মীমাংসা করা হয়েছে যে, উপযুক্ত আইনসভা দ্বারা প্রণীত কোনও আইনকে এই কারণে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না যে, এটি একটি অপ্রত্যাশিত উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ৷"

2023 সালের ডিসেম্বরে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (নিয়োগ, চাকরির শর্তাবলী এবং পদের শর্তাবলী) আইন, 2023, সংসদে পাশ হয়েছিল এবং বিজ্ঞাপিত হয়েছিল । সিইসি এবং ইসি আইন 2023, চলতি বছরের 2 জানুয়ারি কার্যকর করা হয় । কংগ্রেস নেতা জয়া ঠাকুর এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মসের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের 2023 আইনের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জে স্থগিতাদেশের আবেদনের জবাবে হলফনামাটি দাখিল করে কেন্দ্র ৷

আরও পড়ুন:

  1. কেন্দ্রের জবাব তলব করেও সিএএ লাগু করা নিয়ে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট
  2. 21 মার্চের মধ্যে এসবিআইকে নির্বাচনী বন্ডের যাবতীয় তথ্য দিতে 'সুপ্রিম' নির্দেশ
  3. নির্বাচনী বন্ড মামলায় এসবিআইকে ঠিক কী বলেছে সুপ্রিম কোর্ট ? রইল বিস্তারিত
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.