নয়াদিল্লি, 24 এপ্রিল: তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে মিথ্যা অভিযোগ করে সুনাম নষ্ট করেছেন রাষ্ট্রসংঘের প্রাক্তন সহকারী মহাসচিব লক্ষ্মী পুরীর ৷ 2021 সালে তিনি মামলা দায়ের করেন দিল্লি হাইকোর্টে ৷ লক্ষ্মী পুরী ওই মামলায় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তাঁর মানহানি হয়েছে ৷ এরপর একের পর এক শুনানি হয়েছে ৷ গত দিনের শুনানিতে তৃণমূল সাংসদকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, লক্ষ্মী পুরীর সম্মানবানির জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে ও নিজের মাইনে থেকে 50 লক্ষ টাকা দিতে হবে ৷
এরপর কোনও এই নির্দেশনামার কোনও ব্যাখ্যা বা উত্তর দেননি সাকেত গোখলে ৷ জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের প্রাক্তন সহকারী মহাসচিবের বিরুদ্ধে তিনি এক্সে (সাবেক টুইট) একটি অপমানজনক পোস্ট করেছিলেন ৷ দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি মনমিত প্রীতম সিং অরোরা আজ (বৃহস্পতিবার) মামলার শুনানিতে বলেন, "যেহেতু তিনি আগের নির্দেশনামার কোনও উত্তর দেননি তাই সাকেত গোখলের বেতন থেকে প্রতি মাসে 1 লক্ষ 90 হাজার টাকা আদালতকে দিতে হবে ৷ যতক্ষণ না 50 লক্ষ টাকা আদায় করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, প্রায় এক বছর (1 জুলাই, 2024) হতে যায় হাইকোর্টের তরফে ওই পূর্বের দেওয়া নির্দেশনামা ৷ তারিখের এর পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদের বেতনও বাজেয়াপ্ত থাকবে ৷ মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী 28 মে, বলে এও জানিয়েছেন বিচারপতি ৷
দিল্লির হাইকোর্টের তরফে জানা গিয়েছে, গোখলে 2021-এর 13 এবং 23 জুন তাঁর এক্সে (সাবেক টুইট) পোস্ট করে জানতে চেয়েছিলেন লক্ষ্মী পুরীর আয়ের উৎস সম্পর্কে ৷ রাষ্ট্রসংঘের প্রাক্তন সহকারী মহাসচিবের আইনজীবী মনিন্দর সিং বলেছেন, সাংসদ ওই পোস্টে এও লিখেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বেতন থেকে লক্ষ্মী পুরী কিছু কিনেছিলেন, আর তা কী সেটাই জানতে চেয়েছিলেন গোখলে। রাজ্যসভার সাংসদ এক্সে (সাবেক টুইট) দাবি তোলেন, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের এনিয়ে তদন্ত করা উচিত। লক্ষ্মী পুরীর এমন আচরণ করেন যেন তিনি ইডি এবং সিবিআইয়ের ঊর্ধ্বে। এছাড়াও ওই পোস্টে রাষ্ট্রসংঘের প্রাক্তন আধিকারিকের আয়-ব্যয়ের খতিয়ানও তুলে ধরা হয় ৷