নয়াদিল্লি, 19 মে: অপারেশন সিঁন্দুরের পর পাকিস্তানের তরফে পরমাণু হামলার কোনও হুমকি ছিল না ৷ সোমবার বিদেশ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিকে এমনটাই জানালেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী ৷ ভারত-পাক সংঘর্ষ প্রচলিত অস্ত্রের ব্যবহারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল বলেও জানান তিনি ৷
এদিন বিকেলে সংসদ ভবনে বিদেশ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সঙ্গে 'অপারেশন সিঁন্দুর' এবং পরবর্তী ভারত-পাক উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা করেন ভারতের বিদেশ সচিব ৷ আলোচনায় উঠে আসে পাক পরমাণু হামলার হুমকি প্রসঙ্গ ৷
সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, বিদেশ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিক্রম মিস্রী জানান, পাকিস্তানের তরফে পরমাণু হামলার হুমকি ছিল না ৷ পাশাপাশি বৈঠকে ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতিতে আমেরিকার হস্তক্ষেপ ছিল বলে মন্তব্য করেন কমিটির কয়েকজন সদস্য ৷ এ প্রসঙ্গে মিস্রী জানান, একেবারে তাই নয় ৷ সংঘর্ষ বিরতি হয়েছে ভারত-পাক সামরিক নেতৃত্বে সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে ৷
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর অপারেশন সিঁন্দুরের মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের 9টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দেয় ভারত ৷ সে সময় ভারতের তরফে পাকিস্তানের কোনও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করা হয়নি বলেও জানান বিদেশ সচিব ৷ চার দিনের সংঘর্ষের পর 10 মে সংঘর্ষ বিরতিতে সমঝোতা করে ভারত-পাকিস্তান ৷
বিদেশ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থরুর ৷ এদিনের বৈঠকের পর তিনি বলেন, "বিদেশ সচিবের সঙ্গে এদিন দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে ৷ বিকেল 4টেই শুরু বৈঠক সন্ধ্যা 6টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা 7টা পর্যন্ত চলে ৷ কমিটির 24 জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন ৷ অনেকেই তাঁদের মতামত রেখেছেন ৷ কমিটি বিদেশ সচিবের বক্তব্যকে সমর্থন করেছে এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে দেশের পাশে রয়েছে ৷ শশী ছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেসের রাজীব শুক্ল, দীপেন্দর হুডা, বিজেপির অপরাজিতা ষড়ঙ্গী, অরুণ গোভিল এবং এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসিও ৷ প্রত্যেকেই এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ।