জাগিরোড (অসম), 17 জুলাই: বড় বিনিয়োগ এল পড়শি রাজ্যে ৷ অসমে সেমি-কন্ডাকটর প্ল্যান্ট গড়ছে টাটা গোষ্ঠী ৷ 27 হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মারিগাঁওয়ের জাগিরোডে প্ল্যান্ট তৈরি করছে টাটা গোষ্ঠী ৷ 13 মার্চ এই প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তার জন্য এবার 170 একর জমি লিজ দিল রাজ্য সরকার ৷ মঙ্গলবার সেই চুক্তি করল টাটা গোষ্ঠী ও হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার ৷
জেলা কমিশনার (ডিসি) দেবাশিস শর্মার উপস্থিতিতে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে 60 বছরের লিজ চুক্তিটি হয় । চুক্তিটি করেন টাটা গ্রুপ বোর্ডের সদস্য রঞ্জন বন্দোপাধ্যায় এবং অসম ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের (এআইডিসি) ব্যবস্থাপক (প্রযুক্তি) এবং প্রকল্পের ইনচার্জ ধীরাজ পেগু ৷ উপস্থিত ছিলেন কণীনিকা ঠাকুর, আশিস মিশ্র এবং অবিনাশ ধাবাদে-সহ টাটা গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ।
আশা করা হচ্ছে, হিন্দুস্তান পেপার কর্পোরেশন লিমিটেডের সাইটে তৈরি করা এই প্ল্যান্টটি 30,000টিরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করবে ৷ প্রথম ধাপটি 2025 সালের মাঝামাঝি সময়ে চালু হবে । জমি হস্তান্তরের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে । টাটা গোষ্ঠী জানিয়েছে, শীঘ্রই কাজ শুরু হবে ।
টাটা গোষ্ঠী একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, টাটা ইলেকট্রনিক্স প্রাইভেট লিমিটেড (টাটা সন্স প্রাইভেট লিমিটেডের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহযোগী) তিনটি মূল প্রযুক্তি - ওয়্যার বন্ড, ফ্লিপ চিপ এবং ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেম প্যাকেজিংকে (আইএসপি) কেন্দ্র করে প্ল্য়ান্টটি তৈরি করবে । যা ভবিষ্যতে আরও উন্নত প্যাকেজিং ইন্ড্রাস্ট্রির রোডম্যাপ প্রসারিত করার পরিকল্পনা রয়েছে ।
ওই বিবৃতিতে টাটা গোষ্ঠী বলেছে, ‘‘এই প্রযুক্তিগুলি ভারতের মূল প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রগুলির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ যেমন, স্বয়ংচালিত (বিশেষত বৈদ্যুতিক যান), যোগাযোগ, নেটওয়ার্ক অবকাঠামো । টাটা ইলেকট্রনিক্স ইতিমধ্যেই এই সমস্ত প্ল্যাটফর্মের জন্য দেশীয় প্রযুক্তির উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছে । এই প্রকল্পটি চালানোর জন্য এমন একটি দল কাজ করছে যাদের মিলিতভাবে 1,000 বছরেরও বেশি গ্লোবাল ডোমেনে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ।’’
প্রস্তাবিত প্রকল্পটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং কনজিউমার ইলেকট্রনিক্সের মতো বাজারের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চাহিদা পূরণ করবে । অসম সরকারের ইলেকট্রনিক্স নীতি দ্বারা চালিত কেন্দ্রের সেমি-কন্ডাকটর নীতির অধীনে প্রকল্পটি কাজ করবে ৷
টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন বলেন, “আমরা বিশ্বব্যাপী ইলেকট্রনিক্স বাজারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রয়েছি ৷ বিশ্ব এইসময় আরও নিরাপদ এবং স্থিতিস্থাপক ইলেকট্রনিক্স সরবরাহ মাধ্যম খুঁজছে ৷ আমরা আমাদের বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের গ্রাহকদের কাছে ভারতে তৈরি সেমি-কন্ডাকটেরর মান বাড়াতে বদ্ধপরিকর ৷’’