ETV Bharat / bharat

প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে খুন তিন সন্তানের মায়ের, দোষ ঢাকতে ছাড়ল সাপ - ANOTHER MEERUT LIKE MURDER

সৌরভের পর অমিত । বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে মেরঠে ফের প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন স্ত্রীর । মোড় ঘোরাতে হাজার টাকায় কেনা হয়েছিল সাপ ।

Meerut amit Murder Case
প্রতীকী ছবি (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : April 17, 2025 at 8:08 PM IST

6 Min Read

মেরঠ, 17 এপ্রিল: আট বছরের দাম্পত্য ভাঙল বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে । ফের সৌরভের মতো হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী উত্তরপ্রদেশের মেরঠ । যুবকের মৃত্যুর ময়নাতদন্তে ফাঁস হল স্ত্রীর কুকীর্তি । রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মেরঠ জেলার বাহসুমা থানা এলাকার অন্তর্গত আকবরপুর সাদাত গ্রামে । সেখানে নিজের বাড়িতে এক যুবকের মৃ্ত্যু হয় । দেহ উদ্ধারের সময় বিছানায় একটি সাপ পাওয়া যায় । এ থেকে সকলে ভেবেছিল যে সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু হয়েছে । কিন্তু, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ।

জানা গিয়েছে, স্ত্রী রবিতা ও তার প্রেমিক অমরদীপ মিলে যুবক অমিতকে প্রথম শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে । তারপর খুনের দোষ এড়াতে এবং মৃত্যুকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখানোর জন্য, দুজনেই যুবকের কোমরের নীচে একটি সাপ রেখে দেয় । যার কারণে লোকজন ভেবেছিল যে সাপের কামড়ে যুবকটির মৃত্যু হয়েছে । সাপটিকে ধরে একটি বাক্সে আটকে রেখে বন বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয় ।

স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতেই মর্মান্তিক পরিণতি :

পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে যে, অমিত তাঁর স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছিলেন । এরপর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয় । অমিতের মৃত্যুর তিন দিন আগেও স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঝগড়া-মারামারি হয় । এরপরই রবিতা প্রেমিক অমরদীপের সঙ্গে মিলে অমিতকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে ।

পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর রবিতার প্রেমিক অমরদীপ জানায়, মাহমুদপুর শিখেদা গ্রামে সাপুড়েদের বাস । সেখানকার এক সাপুড়ের কাছ থেকে এক হাজার টাকা দিয়ে একটি সাপ কিনেছিল । রবিবার, যখন বাড়ির সবাই ঘুমাতে যায় তখন রবিতা তাকে ফোন করে । দু'জনেই অমিতকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করে । এরপর,যাতে কেউ খুনের সন্দেহ না করে, সেজন্য সাপটিকে দেহের নীচে রেখে দেওয়া হয় ।

Meerut Husband Murder Case
পুলিশের হাতে গ্রেফতার খুনে অভিযুক্ত রবিতা ও তার প্রেমিক অমরদীপ (ইটিভি ভারত)

পোস্টমর্টেম রিপোর্ট খুনের রহস্য উন্মোচন করেছে :

রবিবার রাতে অমিতের মৃত্যু হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সাপের কামড়ের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি । বরং অমিতের মুখ, ঘাড় এবং নাকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে । রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, শ্বাসরোধের কারণে মৃত্যু হয়েছে ।

এই বিষয়ে বাহসুমার ইন্সপেক্টর ইন্দু ভার্মা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর অমিতের স্ত্রী রবিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে । তিনি ছাড়াও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল । যেখানে জানা যায় যে, স্বামী-স্ত্রী অনেক দিন ধরে ঝগড়া করছিলেন । রবিতা জানান যে তিনি তার প্রেমিক অমরদীপের সঙ্গে মিলে অমিতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন । নিজেকে বাঁচানোর জন্য, সাপুড়ের কাছ থেকে একটি সাপ কিনে এনে অমিতের কোমরের নিচে রাখেন রবিতা ।

বিষয়টি নিয়ে গ্রামীণ পুলিশ সুপার রাকেশ কুমার মিশ্র জানান যে, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পর পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করেছে । সেখানে জানা যায় যে, অমিতের মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরোধ হয়ে । এরপর পুলিশ নতুন করে তদন্ত শুরু করে । অমিতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অমরদীপের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার কথাও সামনে আসে । এতে তার প্রেমিকও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে । জিজ্ঞাসাবাদের সময়, তারা দুজনেই পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে থাকে । এরপর যখন কড়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তখন জানা যায় যে এটি সাপের কামড়ের ঘটনা নয়, বরং হত্যার ঘটনা ।

8 বছর আগে রবিতার সঙ্গে অমিতের বিয়ে হয়েছিল :

তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, প্রায় 8 বছর আগে অমিত কাশ্যপ ওরফে মিকির সঙ্গে রবিতার বিয়ে হয় । রবিতার বাড়ি মুজফফরনগর এবং অমিত মেরঠের বাহসুমা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন । তাদের 3টি সন্তানও রয়েছে ।

গ্রামীণ পুলিশ সুপার রাকেশ মিশ্র জানিয়েছেন যে, অমিত এবং অমরদীপ দু'জনেই টাইলস বসানোর কাজ করতেন । সেই সূত্রেই অমিতের বাড়িতে প্রায়ই যাতায়াত করতেন অমরদীপ । সেই সময়ে রবিতা ও অমরদীপ দুজনেই ধীরে ধীরে একে অপরের কাছাকাছি আসতে থাকেন । রবিতা এবং অমরদীপের মধ্যে প্রায় এক বছর ধরে অবৈধ সম্পর্ক ছিল । হত্যার আগে, অমিতের সঙ্গে শাকুম্ভরী দেবীর মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন রবিতা । সেখান থেকে ফেরার সময়, অমরদীপকে ফোন করে রবিতা বলেছিলেন হত্যার পরিকল্পনা আজ রাতেই কার্যকর করতে হবে ।

স্বামীকে খুনে রবিতার বক্তব্য :

এদিকে পুলিশের হাতে ধরা পড়া রবিতা সংবাদমাধ্যমের সামনে জানান, স্বামী তাঁকে মারধর করতেন । এমনকী পতিতাবৃত্তি করার এবং পতিতালয়ে পাঠানোর হুমকিও দিতেন । অমিতই তার সঙ্গে অমরদীপের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেছিলেন । অমরদীপকে পথ থেকে সরিয়ে দিতে বলেছিলেন অমিত । এই কাজে তাকে সাহায্য করার জন্যও বলেছিলেন । অমিত নাকি এও বলেছিলেন যে, যদি রবিতা তা না করেন, তাহলে অমিত তাকেও হত্যা করবেন । এরপর প্রেমিক অমরদীপকে তার স্বামীর সম্পর্কে সবকিছু খুলে বলেন রবিতা । সেই দিন থেকেই তিনি এবং তার প্রেমিক অমিতকে হত্যা করার পরিকল্পনা শুরু করেন । মৃত্যুটিকে হত্যা নয়, দুর্ঘটনা হিসেবে দেখানোর জন্য সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করা হয় এবং তারপরে অমিতকে হত্যা করা হয় ।

প্রেমিক অমরদীপের বক্তব্য :

ধৃত অমরদীপ জানান যে, অমিত তাকে সন্দেহ করত । যার কারণে তার সঙ্গে ঝগড়াও হয়েছিল । অমিত তার স্ত্রীকেও মারধর করত । রবিতাই তাকে উস্কে দিয়েছিল যে যদি অমিতকে হত্যা না করা হয় তবে এটি যে কোনও সময় তাদের দু'জনের জন্যই মারাত্মক হতে পারে । 30 মার্চ তাদের (অমিত ও অমরদীপ) মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি হয় । এই লড়াইয়ে তিনি আহত হন । তাকে 13টি সেলাই দিতে হয়েছিল । অমিত ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার হাতে আক্রমণ করেছিল । অমিত তাকে হত্যা করার জন্য কিছু গুন্ডাও পাঠিয়েছিল ।

অমরদীপ আরও জানান যে, কিছুদিন আগে যখন অমিত তার স্ত্রীকে মারধর করে, তখন রবিতা তাকে ফোন করে বিষয়টি জানান । আর তারপর খুনের পরিকল্পনা করা হয় । তবে সাপ আনার পরিকল্পনা ছিল রবিতার ।

এই পুরো মামলায় এসপি রুরাল রাকেশ কুমার মিশ্র জানান যে, প্রায় এক সপ্তাহ আগে রবিতা এবং অমরদীপ এই হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন । তারপরেও অমিত, তার স্ত্রী রবিতা এবং সন্তানদের সঙ্গে সাহারানপুরের শাকুম্ভরী দেবী মন্দিরে যান । যখন লোকেরা মন্দির থেকে পুজো করে ফিরছিল, তখন রবিতা মোবাইল থেকে ফোন করে একটি সাপের ব্যবস্থা করতে বলে । এরপর রাতে যখন পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে ছিল, তখন রবিতা এবং তার প্রেমিক অমিতকে হত্যা করে । তারপর অমিতের কাছে একটি সাপ রেখে যায় ।

মেরঠ, 17 এপ্রিল: আট বছরের দাম্পত্য ভাঙল বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে । ফের সৌরভের মতো হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী উত্তরপ্রদেশের মেরঠ । যুবকের মৃত্যুর ময়নাতদন্তে ফাঁস হল স্ত্রীর কুকীর্তি । রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মেরঠ জেলার বাহসুমা থানা এলাকার অন্তর্গত আকবরপুর সাদাত গ্রামে । সেখানে নিজের বাড়িতে এক যুবকের মৃ্ত্যু হয় । দেহ উদ্ধারের সময় বিছানায় একটি সাপ পাওয়া যায় । এ থেকে সকলে ভেবেছিল যে সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু হয়েছে । কিন্তু, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ।

জানা গিয়েছে, স্ত্রী রবিতা ও তার প্রেমিক অমরদীপ মিলে যুবক অমিতকে প্রথম শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে । তারপর খুনের দোষ এড়াতে এবং মৃত্যুকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখানোর জন্য, দুজনেই যুবকের কোমরের নীচে একটি সাপ রেখে দেয় । যার কারণে লোকজন ভেবেছিল যে সাপের কামড়ে যুবকটির মৃত্যু হয়েছে । সাপটিকে ধরে একটি বাক্সে আটকে রেখে বন বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয় ।

স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতেই মর্মান্তিক পরিণতি :

পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে যে, অমিত তাঁর স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছিলেন । এরপর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয় । অমিতের মৃত্যুর তিন দিন আগেও স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঝগড়া-মারামারি হয় । এরপরই রবিতা প্রেমিক অমরদীপের সঙ্গে মিলে অমিতকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে ।

পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর রবিতার প্রেমিক অমরদীপ জানায়, মাহমুদপুর শিখেদা গ্রামে সাপুড়েদের বাস । সেখানকার এক সাপুড়ের কাছ থেকে এক হাজার টাকা দিয়ে একটি সাপ কিনেছিল । রবিবার, যখন বাড়ির সবাই ঘুমাতে যায় তখন রবিতা তাকে ফোন করে । দু'জনেই অমিতকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করে । এরপর,যাতে কেউ খুনের সন্দেহ না করে, সেজন্য সাপটিকে দেহের নীচে রেখে দেওয়া হয় ।

Meerut Husband Murder Case
পুলিশের হাতে গ্রেফতার খুনে অভিযুক্ত রবিতা ও তার প্রেমিক অমরদীপ (ইটিভি ভারত)

পোস্টমর্টেম রিপোর্ট খুনের রহস্য উন্মোচন করেছে :

রবিবার রাতে অমিতের মৃত্যু হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সাপের কামড়ের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি । বরং অমিতের মুখ, ঘাড় এবং নাকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে । রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, শ্বাসরোধের কারণে মৃত্যু হয়েছে ।

এই বিষয়ে বাহসুমার ইন্সপেক্টর ইন্দু ভার্মা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর অমিতের স্ত্রী রবিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে । তিনি ছাড়াও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল । যেখানে জানা যায় যে, স্বামী-স্ত্রী অনেক দিন ধরে ঝগড়া করছিলেন । রবিতা জানান যে তিনি তার প্রেমিক অমরদীপের সঙ্গে মিলে অমিতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন । নিজেকে বাঁচানোর জন্য, সাপুড়ের কাছ থেকে একটি সাপ কিনে এনে অমিতের কোমরের নিচে রাখেন রবিতা ।

বিষয়টি নিয়ে গ্রামীণ পুলিশ সুপার রাকেশ কুমার মিশ্র জানান যে, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পর পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করেছে । সেখানে জানা যায় যে, অমিতের মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরোধ হয়ে । এরপর পুলিশ নতুন করে তদন্ত শুরু করে । অমিতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অমরদীপের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার কথাও সামনে আসে । এতে তার প্রেমিকও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে । জিজ্ঞাসাবাদের সময়, তারা দুজনেই পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে থাকে । এরপর যখন কড়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তখন জানা যায় যে এটি সাপের কামড়ের ঘটনা নয়, বরং হত্যার ঘটনা ।

8 বছর আগে রবিতার সঙ্গে অমিতের বিয়ে হয়েছিল :

তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, প্রায় 8 বছর আগে অমিত কাশ্যপ ওরফে মিকির সঙ্গে রবিতার বিয়ে হয় । রবিতার বাড়ি মুজফফরনগর এবং অমিত মেরঠের বাহসুমা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন । তাদের 3টি সন্তানও রয়েছে ।

গ্রামীণ পুলিশ সুপার রাকেশ মিশ্র জানিয়েছেন যে, অমিত এবং অমরদীপ দু'জনেই টাইলস বসানোর কাজ করতেন । সেই সূত্রেই অমিতের বাড়িতে প্রায়ই যাতায়াত করতেন অমরদীপ । সেই সময়ে রবিতা ও অমরদীপ দুজনেই ধীরে ধীরে একে অপরের কাছাকাছি আসতে থাকেন । রবিতা এবং অমরদীপের মধ্যে প্রায় এক বছর ধরে অবৈধ সম্পর্ক ছিল । হত্যার আগে, অমিতের সঙ্গে শাকুম্ভরী দেবীর মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন রবিতা । সেখান থেকে ফেরার সময়, অমরদীপকে ফোন করে রবিতা বলেছিলেন হত্যার পরিকল্পনা আজ রাতেই কার্যকর করতে হবে ।

স্বামীকে খুনে রবিতার বক্তব্য :

এদিকে পুলিশের হাতে ধরা পড়া রবিতা সংবাদমাধ্যমের সামনে জানান, স্বামী তাঁকে মারধর করতেন । এমনকী পতিতাবৃত্তি করার এবং পতিতালয়ে পাঠানোর হুমকিও দিতেন । অমিতই তার সঙ্গে অমরদীপের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেছিলেন । অমরদীপকে পথ থেকে সরিয়ে দিতে বলেছিলেন অমিত । এই কাজে তাকে সাহায্য করার জন্যও বলেছিলেন । অমিত নাকি এও বলেছিলেন যে, যদি রবিতা তা না করেন, তাহলে অমিত তাকেও হত্যা করবেন । এরপর প্রেমিক অমরদীপকে তার স্বামীর সম্পর্কে সবকিছু খুলে বলেন রবিতা । সেই দিন থেকেই তিনি এবং তার প্রেমিক অমিতকে হত্যা করার পরিকল্পনা শুরু করেন । মৃত্যুটিকে হত্যা নয়, দুর্ঘটনা হিসেবে দেখানোর জন্য সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করা হয় এবং তারপরে অমিতকে হত্যা করা হয় ।

প্রেমিক অমরদীপের বক্তব্য :

ধৃত অমরদীপ জানান যে, অমিত তাকে সন্দেহ করত । যার কারণে তার সঙ্গে ঝগড়াও হয়েছিল । অমিত তার স্ত্রীকেও মারধর করত । রবিতাই তাকে উস্কে দিয়েছিল যে যদি অমিতকে হত্যা না করা হয় তবে এটি যে কোনও সময় তাদের দু'জনের জন্যই মারাত্মক হতে পারে । 30 মার্চ তাদের (অমিত ও অমরদীপ) মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি হয় । এই লড়াইয়ে তিনি আহত হন । তাকে 13টি সেলাই দিতে হয়েছিল । অমিত ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার হাতে আক্রমণ করেছিল । অমিত তাকে হত্যা করার জন্য কিছু গুন্ডাও পাঠিয়েছিল ।

অমরদীপ আরও জানান যে, কিছুদিন আগে যখন অমিত তার স্ত্রীকে মারধর করে, তখন রবিতা তাকে ফোন করে বিষয়টি জানান । আর তারপর খুনের পরিকল্পনা করা হয় । তবে সাপ আনার পরিকল্পনা ছিল রবিতার ।

এই পুরো মামলায় এসপি রুরাল রাকেশ কুমার মিশ্র জানান যে, প্রায় এক সপ্তাহ আগে রবিতা এবং অমরদীপ এই হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন । তারপরেও অমিত, তার স্ত্রী রবিতা এবং সন্তানদের সঙ্গে সাহারানপুরের শাকুম্ভরী দেবী মন্দিরে যান । যখন লোকেরা মন্দির থেকে পুজো করে ফিরছিল, তখন রবিতা মোবাইল থেকে ফোন করে একটি সাপের ব্যবস্থা করতে বলে । এরপর রাতে যখন পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে ছিল, তখন রবিতা এবং তার প্রেমিক অমিতকে হত্যা করে । তারপর অমিতের কাছে একটি সাপ রেখে যায় ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.