পুনে, 16 মে: ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনার পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে ড্রোন-সহ অন্য নানা অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে তুরস্ক ৷ আর এতেই ক্ষোভ বেড়েছে ভারতীয়দের মধ্যে ৷ আগেই তুরস্কের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে দেশের বিভিন্ন প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৷ এবার পদক্ষেপ করলেন পুনের ব্যবসায়ীরা। আপেল কেনা ও বিক্রি বন্ধ করার পর এবার পুনের 'স্পাইস অ্যান্ড ড্রাই ফ্রুটস অ্যাসোসিয়েশন' ঠিক করেছে তুরস্কের খুবানি থেকে শুরু করে হ্যাজেলনাটের মতো ড্রাই ফ্রুট আমদানি করবে না তারা। সংগঠনের তরফে বিবৃতি জারি করে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়েছে ৷
ব্যবসায়ীদের দাবি, অতীতে সঙ্কটের সময় তুরস্কের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ভারত ৷ প্রতিদানে পাকিস্তানকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য় করে ভারতের পিঠে ছুড়ি মেরেছে তুরস্ক ৷ আর সেই অস্ত্র ভারতের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করেছে ইসলামাবাদ ৷ এই বিশ্বাসঘাতকতার কারণে শুকনো ফলের ব্যবসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংগঠন আরও জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে ব্যবসা করে তুরস্কের প্রচুর লাভ হয়। সেই ব্য়বসা বন্ধ হলে তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ৷
এর আগে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ৷ চুক্তি বাতিলের পথে হেঁটেছে দিল্লির আরও এক প্রসিদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিলা মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ও ৷ জাতীয় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে ৷
পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে সংঘাতে তুরস্ক ও চিনের তৈরি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে ৷ যদিও তাদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং সেনাবাহিনী ৷ পাকিস্তানের ছোড়া সশস্ত্র ড্রোন, ইউএভি-র বেশ কিছু অংশ পাওয়া গিয়েছে ৷ সেগুলি পরীক্ষা করে ভারত জানতে পেরেছে, ওই ড্রোনগুলি পাকিস্তানকে সরবরাহ করেছে তুরস্ক ৷ তুরস্কের এই ভারত-বিরোধী অবস্থানের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিকে বয়কটের ডাক দিয়েছে পর্যটন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যবসায়ী সংগঠন ৷