ETV Bharat / bharat

বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতেই তড়িঘড়ি আইন করেছে বাংলার সরকার, এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি - RG Kar Doctor Rape Murder

Allahabad High Court Former Chief Justice: এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর বলেছেন যে তিনটি আইনই সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি আইনজীবী এবং বিচারকদের জন্য সমস্যা তৈরি করা ছাড়া কিছুই নয়। এতে শুধু নাম পরিবর্তন করা হয়েছে এবং এতে কেউ কোনও সুবিধা পাচ্ছেন বলে মনে হয় না। এসব আইন শুধু নৈরাজ্যের সৃষ্টি করতে পারে ।

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 8, 2024, 11:52 AM IST

Allahabad High Court Former Chief Justice Govind Mathur
এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর (ইটিভি ভারত)

প্রয়াগরাজ, 8 সেপ্টেম্বর: এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর কলকাতার ধর্ষণ ও হত্যা মামলার পর দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে তৈরি অপরাজিতা আইন নিয়ে মমতা সরকারকে নিশানা করেছেন। তাঁর মতে, হুট করে সিদ্ধান্ত কার্যকর করার আগে একবার ভাবা উচিত মমতা সরকারের। এর পাশাপাশি, দেশে বাস্তবায়িত তিনটি নতুন আইনকেও ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর, শনিবার প্রয়াগরাজে আয়োজিত নাগরিক মঞ্চ অ্যাডভোকেট সমাজ এবং পিইউসিএল সংগঠনের সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ৷ এই অনুষ্ঠানে তিনি তিনটি নতুন ফৌজদারি আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্রভাবে সমালোচনা করেছেন । এর পাশাপাশি, তিনি আরজি কর হাসপাতালের মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের পর প্রণীত অপরাজিতা আইন নিয়ে মমতা সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন । পশ্চিমবঙ্গে অপরাজিতা আইনে মৃত্যুদণ্ডের সমালোচনা করে মমতা সরকারের সিদ্ধান্তকে ভুল বলে উল্লেখ করেছেন তিনি ।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "একজন মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা খুবই দুঃখজনক ! তবে মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও অন্য বিকল্প থাকা উচিত । আমাদের দেশে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে তবে তা কেবল বিরলতমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।" শুধু তাই নয়, শুধু মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে এমন কোনও আইনই যে যথাযথ হবে তা না-ও হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর কাউকে মৃত্যুদণ্ড দিতে চান না ৷ তাঁর মত, "আমরা যখন কাউকে জীবন দিতে পারি না, তখন কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়াও উচিত নয়। বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় না। বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতেই তড়িঘড়ি করে আইন করেছে বাংলার সরকার ।"

এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, "তিনটি আইনই সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি আইনজীবী এবং বিচারকদের জন্য সমস্যা তৈরি করবে । এতে শুধু নাম পরিবর্তন করা হয়েছে এবং এতে কারও কোনও সুবিধা হচ্ছে বলে মনে হয় না । এসব আইন শুধু নৈরাজ্যের সৃষ্টি করতে পারে ।

প্রয়াগরাজ, 8 সেপ্টেম্বর: এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর কলকাতার ধর্ষণ ও হত্যা মামলার পর দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে তৈরি অপরাজিতা আইন নিয়ে মমতা সরকারকে নিশানা করেছেন। তাঁর মতে, হুট করে সিদ্ধান্ত কার্যকর করার আগে একবার ভাবা উচিত মমতা সরকারের। এর পাশাপাশি, দেশে বাস্তবায়িত তিনটি নতুন আইনকেও ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর, শনিবার প্রয়াগরাজে আয়োজিত নাগরিক মঞ্চ অ্যাডভোকেট সমাজ এবং পিইউসিএল সংগঠনের সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ৷ এই অনুষ্ঠানে তিনি তিনটি নতুন ফৌজদারি আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্রভাবে সমালোচনা করেছেন । এর পাশাপাশি, তিনি আরজি কর হাসপাতালের মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের পর প্রণীত অপরাজিতা আইন নিয়ে মমতা সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন । পশ্চিমবঙ্গে অপরাজিতা আইনে মৃত্যুদণ্ডের সমালোচনা করে মমতা সরকারের সিদ্ধান্তকে ভুল বলে উল্লেখ করেছেন তিনি ।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "একজন মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা খুবই দুঃখজনক ! তবে মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও অন্য বিকল্প থাকা উচিত । আমাদের দেশে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে তবে তা কেবল বিরলতমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।" শুধু তাই নয়, শুধু মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে এমন কোনও আইনই যে যথাযথ হবে তা না-ও হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর কাউকে মৃত্যুদণ্ড দিতে চান না ৷ তাঁর মত, "আমরা যখন কাউকে জীবন দিতে পারি না, তখন কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়াও উচিত নয়। বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় না। বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতেই তড়িঘড়ি করে আইন করেছে বাংলার সরকার ।"

এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, "তিনটি আইনই সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি আইনজীবী এবং বিচারকদের জন্য সমস্যা তৈরি করবে । এতে শুধু নাম পরিবর্তন করা হয়েছে এবং এতে কারও কোনও সুবিধা হচ্ছে বলে মনে হয় না । এসব আইন শুধু নৈরাজ্যের সৃষ্টি করতে পারে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.