চেন্নাই, 23 মার্চ: লোকসভার আসন পুণর্বিন্যাস নিয়ে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছে ডিমএকে ৷ দক্ষিণ ভারতের প্রায় সবকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন ৷ শনিবারের সেই বৈঠকের পর রবিবার তার তীব্র সমালোচনা করল তামিলনাড়ুর প্রধান বিরোধী দল এআইএডিএমকে ৷ ওই বৈঠককে শাসক দলের অযোগ্যতা আড়াল করার বড় নাটক বলেও কটাক্ষ করেছে তারা ৷
দলের মুখপাত্র কোভাই সাথিয়ান জানান, স্ট্যালিনের সভাপতিত্বে কেরলের পিনারাই বিজয়ন, তেলেঙ্গানার রেভান্থ রেড্ডি-সহ অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির বৈঠক আদতে একটি নাটক। স্ট্যালিনের পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে বলা হয়েছে, তিনি সংসদীয় সীমানা নির্ধারণের বিরুদ্ধে নন ৷ তবে এর ফলে তামিলনাড়ুর সাংসদের সংখ্যা কমবে। তাহলে কোনটি সত্য ? স্ট্যালিন ডিলিমিটেশন চান না, অথবা যদি চান তবে কীভাবে ?
এআইএডিএমকে মুখপাত্রের আরও দাবি, "আমরা AIADMK-এর পক্ষ থেকে প্রস্তাব রেখেছি, তামিলনাড়ুতে বর্তমানে সাংসদদের 7.18 শতাংশ ভোটের অনুপাত পরিবর্তন করা উচিত নয় ৷ যা ডিএমকে ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের প্রস্তাবে বাদ দিয়েছিল ৷ আগে ডাকা সর্বদলীয় সভায় সেই প্রস্তাবই পাশ হয়েছিল। তাই তামিলনাড়ুর সকলের কাছে স্পষ্টতই একটি ধারণা তৈরি হয়েছে, ডিএমকে 2026 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাদের সমস্ত অযোগ্যতা এবং দুর্নীতিতে ডুবে থাকা সরকারের ব্যর্থতা লুকিয়ে রেখে ডিলিমিটেশনের একটি আখ্যানকে আঁকড়ে ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ৷"
তিনি আরও বলেন, "রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। তাই, ডিএমকে-র জন্য আসন পুণর্বিন্যাস বড় নাটক ৷" অন্যদিকে, স্ট্যালিন দাবি করছেন, জনসংখ্যার ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারণের ফলে দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্যগুলির লোকসভার আসন কমে যাবে। শনিবারের বৈঠকে 1971 সালের আদমশুমারির ভিত্তিতে সংসদীয় আসনের উপর স্থগিতাদেশ আরও 25 বছর বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগে বলেছিলেন যে, আনুপাতিক ভিত্তিতে করা সীমানা দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্যগুলিতে প্রভাব ফেলবে না। (পিটিআই)