নয়াদিল্লি, 23 এপ্রিল: পহেলগাঁওয়ের জঙ্গিহানার পর প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর বিদেশ সফর মাঝপথে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরব আয়োজিত সরকারি নৈশভোজে যোগ দেননি এবং তাঁর সফর সংক্ষিপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি মঙ্গলবার রাতেই ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। আগে তার বুধবার রাতে ফেরার কথা থাকলেও বুধের সকালেই তিনি দেশে পৌঁছন ৷
দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণের পরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে পহেলগাঁওয়ের পরিস্থিতি আলোচনায় বৈঠক করেন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী, বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে । প্রধানমন্ত্রীর অধ্যক্ষতায় নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠক দুপুরের পর হবে বলে জানা গিয়েছে ৷
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন-সহ বিশ্বের সকল দেশের নেতারা এই হামলার নিন্দা করেছেন। শোনা যাচ্ছে যে, ট্রাম্প শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলবেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসী হামলায় 26 জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। এই 26 জন মৃতদের মধ্যে দু'জন বিদেশী নাগরিক যার মধ্যে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও নেপালের বাসিন্দা ৷ এছাড়াও দু'জন স্থানীয় আছেন । নিহতদের মধ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত দুই বিদেশী নাগরিকও প্রাণ হারিয়েছেন। জঙ্গিরা পর্যটকদের লক্ষ্য করে 50 রাউন্ডেরও বেশি গুলি ছোড়ে। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজেই দিল্লি থেকে শ্রীনগরে পৌঁছে গিয়েছেন। এই জঙ্গি হামলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি অমিত শাহের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে 2-3 জন জঙ্গি এসে পর্যটকদের পরিচয় জানতে শুরু করে। এর পর তারা নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে পর্যটকদের উপর। এই পহেলগাঁওয়ে একজন সেনা কর্তাও উপস্থিত ছিলেন, যিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে এখানে বেড়াতে এসেছিলেন। তিনি সেখানে উপস্থিত লোকজনকে বাঁচিয়ে আশ্রয় নেন। এই ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায়। এই সন্ত্রাসী হামলা দেশজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি, অমিত শাহ, রাজনাথ সিং-সহ দেশের সমস্ত নেতা-নেত্রীরা এই ঘটনার নিন্দা করেছেন।
দু'দিনের সৌদি আরব সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি, হজে ভারতীয়দের কোটা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা