নয়াদিল্লি, 14 এপ্রিল: বেলজিয়ামে গ্রেফতার করা হয়েছে পলাতক মেহুল চোকসিকে। হাজার হাজার কোটি টাকার পিএনবি ঋণ কেলেঙ্কারিতে ভারত তাকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছে। ভারতের প্রত্যর্পণের অনুরোধে বেলজিয়াম চোকসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। জানা গিয়েছে, মেহুল তাঁর স্ত্রী প্রীতি চোকসির সঙ্গে বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্পে থাকতেন। তিনি সেখানকার আবাসিক কার্ডও পেয়েছিলেন।
ভারতীয় কর্মকর্তারা বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষকে মেহুল চোকসির প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। এর পর সেখানকার প্রশাসন চোকসিকে হেফাজতে নেয়। চোকসির স্ত্রী প্রীতির বেলজিয়ামের নাগরিকত্ব রয়েছে। ইতিমধ্যে, তিনি বেলজিয়ামের 'এফ রেসিডেন্সি কার্ড'ও পেয়েছিলেন এবং এর সাহায্যে তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন। বেলজিয়ামে যাওয়ার আগে চোকসি অ্যান্টিগুয়া এবং বারবুডায়ও বসবাস করেছিলেন বলে মনে করা হয়।
Fugitive Mehul Choksi has been arrested in Belgium: ED Sources
— ANI (@ANI) April 14, 2025
More details awaited pic.twitter.com/SN8e0beAMu
2018 সালে মুম্বইয়ে পিএনবির ব্র্যাডি হাউস শাখায় ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে চোকসি এবং পলাতক হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মোট 13,500 কোটি টাকার পিএনবি ঋণ জালিয়াতির মামলায় ভারত তাকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছে। ইডি এখন পর্যন্ত চোকসির বিরুদ্ধে তিনটি চার্জশিট দাখিল করেছে। সিবিআইও তার বিরুদ্ধে একই রকম চার্জশিট দাখিল করেছে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, চোকসি বেলজিয়াম থেকে সুইজারল্যান্ড যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তার আগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চোকসি জাল নথি এবং মিথ্যা হলফনামার মাধ্যমে বেলজিয়ামে বসবাসের অনুমতি পেয়েছিলেন।
মেহুল চোকসি এবং নীরব মোদি একটি জাল আন্ডারটেকিং লেটার ব্যবহার করে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) থেকে 13,500 কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার আগে তারা দুজনেই দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। নীরব মোদি আপাতত লন্ডনের জেলে বন্দি। এবার বেলজিয়ামে গ্রেফতার করা হল মেহুল চোকসিকে ৷