কোন্ডাগাঁও, 16 এপ্রিল: বড় সাফল্য ! ছত্তিশগড়ের বাস্তার এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে খতম দুই মাওবাদী ৷ মৃত মাওবাদীদের উপর 13 লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল সরকারের তরফে ৷
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোন্ডাগাঁও এবং নারায়ণপুর জেলার সীমানা বরাবর কিলাম বরগুম মরকামপলের জঙ্গলে মাওবাদী নিকেশ অভিযান চালায় নিরাপত্তাবাহিনী ৷ জঙ্গলে মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে এই অভিযান চালানো হয় ৷ পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা ৷ গুলি চালান নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা ৷ দুই পক্ষের গুলির লড়াইয়ে নিহত দুই মাওবাদী ৷

বাস্তার রেঞ্জের আইজি সুন্দররাজ পি জানান, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে জঙ্গলে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী ৷ কোন্ডাগাঁও পুলিশ-সহ অভিযানে অংশগ্রহণ করেন ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং বাস্তার ফাইটারসদের সদস্যরা ৷ মাওবাদীদের খতম করার পর এলাকায় তল্লাশি চালানো হয় ৷ তল্লাশিতে একটি AK-47 রাইফেল-সহ বেশকিছু অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি ৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এলাকায় এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে ৷
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মৃত মাওবাদীরা হল হালদার এবং রামে ৷ পূর্ব বাস্তার ডিভিশনের কমান্ডার ছিল হালদার ৷ অন্যদিকে, এরিয়া কমিটির সদস্য ছিলেন রামে ৷ একাধিক মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল দুই মাওবাদী ৷ হালদারের উপর 8 লক্ষ টাকা পুরস্কার ও রামের উপর 5 লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র ৷ ফলে, এই দুই মাওবাদীদের মৃত্যুতে মনোবল আরও জোড়ালো হয়েছে নিরাপত্তারক্ষীদের ৷
উল্লেখ্য, এদিনের এনকাউন্টারের ঘটনাটি নিয়ে চলতি বছরে মাওবাদী নিকেশ অভিযানে মোট 140 জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে ৷ এদের মধ্যে কেবলমাত্র বাস্তার এলাকাতেই 123 জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর ৷ মার্চ মাসের শেষে সুকমা জেলায় মাওবাদী নিকেশ অভিযানে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে খতম হয় 17 জন মাওবাদী ৷ অন্যদিকে, মাওবাদীদের পাল্টা হামলায় 4 নিরাপত্তারক্ষীও জখম হন ৷