lymphoma Treatment: লিম্ফোমা নিরাময়ে চিকিৎসার পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা ও সতর্কতা অবলম্বনও জরুরি

lymphoma Treatment: লিম্ফোমা নিরাময়ে চিকিৎসার পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা ও সতর্কতা অবলম্বনও জরুরি
lymphoma: আজও এমন কিছু রোগ আছে যেগুলির নামই মানুষের মধ্যে ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায় । তেমনই একটি রোগ হল ক্যানসার । অনেক ধরনের ক্যানসার আছে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে বিকশিত হতে পারে । ক্যানসার সম্পর্কে মানুষের ভয় থাকা স্বাভাবিক কারণ এর অনেক প্রকার মারাত্মক । কিন্তু এটাও জানা জরুরি যে সময়মতো রোগ নির্ণয় এবং সঠিক চিকিৎসার পর অনেক ধরনের ক্যানসার নিরাময় করা যায় । এরকম একটি ক্যানসার হল লিম্ফোমা ।
হায়দরাবাদ: লিম্ফোমা এমন একটি ক্যানসার যেখানে ক্যানসার কোষ শরীরের শ্বেত রক্তকণিকায় বৃদ্ধি পেতে শুরু করে । তবে সময়মতো রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার মাধ্যমে এটি নিরাময় করা যায় । আসুন জেনে নেওয়া যাক, লিম্ফোমা কী ধরনের ক্যানসার ?
লিম্ফোমার প্রকার ও কারণ: লিম্ফোসাইটের সমস্যা অর্থাৎ শ্বেত রক্তকণিকা লিম্ফোমার জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। আমাদের শরীরের শ্বেত রক্তকণিকা সংক্রমণ এবং শরীরে প্রবেশ করা অন্যান্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে । এই কোষগুলি আমাদের লিম্ফ নোড, প্লীহা, থাইমাস, অস্থি মজ্জা এবং শরীরের অন্যান্য অংশে থাকে । লিম্ফোমায় এই লিম্ফোসাইটগুলি রোগ বা অন্যান্য বিভিন্ন কারণে দ্রুত এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে । যা ক্যানসার সৃষ্টি করে ।
লিম্ফোমার অনেক প্রকার এবং উপপ্রকার রয়েছে । যার মধ্যে হজকিন্স লিম্ফোমা এবং নন-হজকিন্স লিম্ফোমা সবচেয়ে সাধারণ কেস । এর মধ্যে, নন-হজকিন লিম্ফোমার ক্ষেত্রে সাধারণত 60 থেকে 80 বছর বয়সের মধ্যে দেখা যায় এবং মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায় । যেখানে হজকিন্স লিম্ফোমার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে 20 থেকে 40 বছর বয়সের মধ্যে দেখা যায় । যাইহোক এই ক্ষেত্রে 60 বছরের বেশি বয়সি ব্যক্তিদের মধ্যেও দেখা যায় । লিম্ফোমার কারণ সম্পর্কে কথা বললে, অনেক পরিচিত বা অজানা কারণ এর জন্য দায়ী হতে পারে ।
লিম্ফোমার লক্ষণ:
লিম্ফোমার খুব সাধারণ প্রাথমিক লক্ষণ রয়েছে যা কখনও কখনও অন্যান্য রোগের লক্ষণগুলির মতো হতে পারে, যেমন সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ভাইরাল সংক্রমণ । যার কয়েকটি নিম্নরূপ ।
জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, রাতে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, টনসিলের বৃদ্ধি, ক্লান্তি এবং খিদে না-হওয়া, মাথাব্যথা এবং হাড়ের ব্যথা, ওজন কমে যাওয়া, ঘাড়, বগল বা কুঁচকিতে লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া, কোনও কারণ ছাড়াই অনবরত চুলকানি, প্রস্রাবের বাধা ইত্যাদি ৷
লিম্ফোমার চিকিৎসা রোগের ধরনের উপর নির্ভর করে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে পরিবর্তিত হতে পারে । এর চিকিৎসায় কেমোথেরাপি, রেডিয়োথেরাপি বা রেডিয়েশন থেরাপি, ইমিউনোথেরাপি এবং টার্গেট থেরাপি ইত্যাদির পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী সিএআর টি-সেল থেরাপি এবং অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনও করা হয় ।
ব্যবস্থাপনা এবং সতর্কতা:
একবার লিম্ফোমা নির্ণয় হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার পাশাপাশি রোগের ব্যবস্থাপনা এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । ক্যানসারের ধরন যাই হোক না কেন, আক্রান্ত ব্যক্তির সুস্থ হওয়ার পরেও তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সর্বদা আরও সচেতন হওয়া ও সংশ্লিষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
এটি লক্ষণীয় যে কেবল ক্যানসার নয়, এর চিকিৎসারও স্বাস্থ্যের উপর অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে । এই পরিস্থিতিতে একটি ভালো জীবনযাত্রার মান বজায় রাখার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর এবং সক্রিয় জীবনধারা এবং খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ, নিয়মিত চেকআপ এবং ডাক্তারের সঙ্গে ঘন ঘন পরামর্শ করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ ।
