পুরুলিয়া 28 ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয় চলছে ঠিকই তবে শিক্ষক ছাড়া কী শুনতে অবাক লাগছে তো কিন্তু এটাই ঘটনা । পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি ব্লকের দু নম্বর চক্রের তুন্তুরী সুইসা অঞ্চলের ঝাড়খণ্ড লাগোয়া প্রত্যন্ত গ্রাম শালডাবরা । সেখানকার জুনিয়র হাইস্কুলে গিয়ে দেখা গেল বিদ্যালয়s শিক্ষকদের কেউ নেই ছাত্রছাত্রীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কেউ করছে খেলাধুলো তো কেউ বসে রয়েছে মিডডে মিল খেয়ে বাড়ি চলে যাবে সেই অপেক্ষায় । পড়াশোনা তো দূর অস্ত ছেলেমেয়েদেরকে আগলে রাখার জন্য বিদ্যালয়ে উপস্থিত নেই কোনও শিক্ষক । খোঁজ নিয়ে জানা গেল বিদ্যালয়ে দু জন শিক্ষক রয়েছেন । ফোনে তাঁরা জানালেন দু জনেই বাইরে রয়েছেন । বিষয়টি শুধু আজকের নয় এটি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে বলে দাবি খুদে ছাত্রছাত্রীদের School running in teachers absent ।পড়ুয়া সুজিতা গোপ ও রবি গোপ জানায় তারা প্রতিদিন বাড়িতে খাবার খেয়ে সকাল দশটায় স্কুলে আসে । কিন্তু প্রতিদিন স্কুলের শিক্ষক আসেন দুপুর বারোটায় । শিক্ষক আসার পর সেই সময় তাদের প্রার্থনা হয় । আজকে শিক্ষক আসেসনি তাই তারা ক্লাস ঘরে বসে রয়েছে । মিডডে মিলের খাবার খেয়ে বাড়ি ফিরে যাবে তারা বলে জানায় । ওপর দিকে ওই স্কুলের রাঁধুনি শ্রীমতী গোপ ও লক্ষ্মীমণি গোপ জানান স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গত শনিবার তাঁদের মিডডে মিলের Mid Day Meal রান্নার সমস্ত সরঞ্জাম দিয়ে গিয়েছেন । তাঁরা প্রতিদিন 130 জন ছাত্রছাত্রীর রান্না করেন । সেই মত আজকেও রান্না করেছেন । কিন্তু এদিন দু জন শিক্ষকের কেউ স্কুলে আসেননি । গ্রামের বাসিন্দা উপেন্দ্রনাথ গোপ জানান এই বিষয়টি আজকের নয় প্রতিদিনই এটা হয়ে থাকে । আজকে তো স্কুলের দু জন শিক্ষক অনুপস্থিত রয়েছেন । কিন্তু প্রায় দিনই দুপুর বারোটায় আসেন তাঁরা ৷ কোনওদিন আবার আসেন না । অনেকবার বলা সত্ত্বেও এমনিভাবেই চলছে স্কুলের পঠনপাঠন । অথচ এই স্কুলের উপর নির্ভর করে শালডাবরা বাঁশটাড় বাঁধডি গাগী রাঙ্গামাটি মুকরূপ ডাংডুং পেড়েতোরাংসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ছেলেমেয়েরা । শিবেশ্বর কর্মকার নামে এক বাসিন্দা বলেন আমি আমার মেয়েকে স্কুলে ভরতি করার জন্য গত আট দিন ধরে আসছি । স্কুলের শিক্ষক নাথাকার কারণে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি । স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোপাল মহাপাত্র ফোনে বলেন এই ঘটনা আজকের নতুন নয় এই ঘটনাটি প্রায় দিনেই হয়ে থাকে । আজকে ডাক্তার দেখানোর জন্য পুরুলিয়াতে আমি চলে এসেছি । এই স্কুল চালানোর সমস্ত দায়িত্ব আমার নয় । তাই আমি রাঁধুনিদেরকে বলে দিয়েছি তাঁরা মিডডে মিলের রান্না করে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের খাইয়ে বাড়ি চলে যাবেন । এছাড়া আমার আর কিছু বলার নেই । ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক রাজেশ মণ্ডল জানান তিনি ডিআই অফিসে গিয়েছেন স্কুলের কাজে । কারণ টিআইসি পরিবর্তন হয়েছে ৷ প্রাক্তন টিআইসি তাঁদের মাইনে দেননি । তাই মাইনের জন্য তিনি পুরুলিয়ায় ডিআই অফিসে গিয়েছেন । আরেকজন শিক্ষককে তিনি বলেছিলেন স্কুল যেতে ৷ উনি স্কুল নাগিয়ে কোথায় গিয়েছেন তিনি বলতে পারবেন না বলে জানান । এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে বাঘমুন্ডি ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দেবরাজ ঘোষ বলেন বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে । আরও পড়ুন 21 জন পড়ুয়ার জন্য 2 শিক্ষক বেহাল দশা সাগরের স্কুলের