Keshpur Fake Rape Charge: তৃণমূল নেতার অঙ্গুলি হেলনেই ধর্ষণের ভুয়ো অভিযোগ ? উঠছে পালটা চক্রান্তের তত্ত্ব

author img

By

Published : Dec 2, 2022, 2:05 PM IST

Updated : Dec 2, 2022, 6:05 PM IST

victim of Keshpur Fake Rape Charge case claims local tmc leader is responsible for his harassment

পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ভুয়ো ধর্ষণ কাণ্ডে (Keshpur Fake Rape Charge) এবার রাজনীতি যোগের জল্পনা ! নাম জড়াল এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতার (Local TMC Leader) ৷ কী বললেন তিনি ?

কেশপুর, 2 ডিসেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ভুয়ো ধর্ষণ কাণ্ডে (Keshpur Fake Rape Charge) নাম জড়াল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালী এক নেতার (Local TMC Leader) ৷ আক্রান্ত যুবকের দাবি, শাসকদলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি সঞ্জয় পানের নির্দেশেই পাঁচ বছর আগে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছিল ! যদিও ইটিভি ভারতকে সঞ্জয় জানিয়েছেন, তিনি কোনওভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন ৷ এমনকী, তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত করা হচ্ছে বলেও আশংকা করেছেন সঞ্জয় ৷

কেশপুর ভুয়ো ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত যুবকের দাবি ঠিক কী ? তাঁর অভিযোগ, পাঁচবছর আগে প্রতিবেশী নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পর তার মুখ দিয়ে 'ধর্ষক' হিসাবে যুবকের নাম বলিয়ে নেওয়া হয় ! দাবি করা হয়, বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকার সঙ্গে সহবাস করেছেন যুবক ৷ এই অভিযোগ অস্বীকার করেন যুবক ৷ তারপরই গ্রামে সালিশি সভা বসে ৷ যুবকের দাবি, এই সালিশি সভা বসানো হয়েছিল সঞ্জয় পানের নির্দেশে ৷ সেই সালিশিতে নিদান দেওয়া হয়, ওই যুবককে প্রতিবেশী অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকাকে বিয়ে করতেই হবে ৷ চাপের মুখে সেই নির্দেশ মানতে বাধ্য হন যুবক ৷ প্রসঙ্গত, সঞ্জয় পান ওই যুবকের স্ত্রীর দূর সম্পর্কের আত্মীয় বলেও দাবি সংশ্লিষ্ট সূত্রের ৷

আরও পড়ুন: পাঁচ বছরে জানা গেল তিনি ধর্ষক নন ! তথ্যফাঁস ডিএনএ পরীক্ষায়

সমস্যা চরমে ওঠে এর পর থেকে ৷ নাবালিকাকে বিয়ের পরই গ্রাম ছাড়েন যুবক ৷ মামলা করেন মেদিনীপুর আদালতে ৷ অভিযোগ, এরপরই আসরে নামেন সঞ্জয় পানের অনুগামীরা ৷ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য যুবককের পরিবারের বাকি সদস্যদের উপর চাপ দেওয়া হয় ৷ তাঁদের একঘরে করে দেওয়া হয় ৷ কেড়ে নেওয়া হয় জমি ৷ এমনকী, যুবকের পরিবারের কাছ থেকে কয়েক দফায় 2 লক্ষ টাকা 'জরিমানা'ও আদায় করেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা ও কর্মীরা ৷ পরবর্তীতে, যুবকের কাকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷ পরিবারের দাবি, এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্যও তৃণমূলের স্থানীয় নেতা ও কর্মীরাই দায়ী !

অভিযোগের এই পাহাড় কতা সত্যি ? তা জানতে ইটিভি ভারতের স্থানীয় প্রতিনিধি যোগাযোগ করেছিলেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সঞ্জয় পানের সঙ্গে ৷ তিনি বলেন, পাঁচবছর আগে যেদিন সালিশি সভা বসেছিল, সেদিন তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না ৷ নিদান যা দেওয়ার, তা গ্রামের মানুষই দিয়েছিল ৷ এখানে তাঁর কী করার থাকতে পারে ! এমনকী, এই যুবক কেন তাঁকে কাঠগড়ায় তুলছেন, তাও তাঁর বোধগম্য হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন সঞ্জয় ৷ তাঁর পালটা বক্তব্য, এই ঘটনার নেপথ্য থাকতে পারে গেরুয়া শিবির ! সেটা কীভাবে ?

তৃণমূল নেতার অঙ্গুলি হেলনেই ধর্ষণের ভুয়ো অভিযোগ ?

সঞ্জয়ের যুক্তি, এর আগে এই ঘটনা প্রসঙ্গেই নাকি স্থানীয় বিজেপি কার্যালয়ে বসে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন আক্রান্ত যুবক ! অন্যদিকে যুবকের দাবি, পাঁচবছর আগে সেই যে বাড়ি ছেড়েছিলেন তিনি, তারপর থেকে গ্রামে ঢোকাই দায় হয় তাঁর ৷ ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিজেপির স্থানীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নিতে হয় তাঁকে ! যদিও যুবকের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা তন্ময় ঘোষ ৷ এই বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি ৷

এদিকে, এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধেও তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে ৷ এই বিষয়ে কথা বলার জন্য ইটিভি ভারতের তরফ থেকে জেলা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি ৷

Last Updated :Dec 2, 2022, 6:05 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.