TMC Social Media Cell: ঘাটালে তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের বৈঠক নিয়ে বিতর্ক, কড়াবার্তা দেবাংশুর

TMC Social Media Cell: ঘাটালে তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের বৈঠক নিয়ে বিতর্ক, কড়াবার্তা দেবাংশুর
সম্প্রতি দেবাংশু ভট্টাচার্যকে (Debangshu Bhattacharya) তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সোশ্যাল মিডিয়া সেলের ইনচার্জ তৈরি করেছে ৷ তার পর রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদন ছাড়া ঘাটালে সোশ্যাল মিডিয়া সেলের বৈঠক হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ বিতর্ক বাড়তেই কড়াবার্তা দিয়েছেন স্বয়ং দেবাংশু ৷
ঘাটাল (পশ্চিম মেদিনীপুর), 5 ডিসেম্বর: তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সোশ্যাল মিডিয়া সেল নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে ৷ অভিযোগ, দলের অনুমোদন ছাড়াই সোশ্যাল মিডিয়া সেলের (TMC Social Media Cell) বৈঠক করে ফেলেছেন ঘাসফুল শিবিরের নেতা ৷ পরিস্থিতি এমনই যে এই বিবৃতি দিতে হয়েছে শাসক দলের সোশ্য়াল মিডিয়া সেলের রাজ্যের ইন-চার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্যকেও (Debangshu Bhattacharya) ৷ আর সুযোগ বুঝে কটাক্ষ করেছে বিজেপিও ৷ তাদের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল সামনে চলে এসেছে ৷
ঠিক কী হয়েছে ঘাটালে ?
রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার তরফে একটি বৈঠক হয় ৷ সেই বৈঠকে ডাকা হয়েছিল শাসক দলের সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য কাজ করা স্থানীয় কর্মীদের ৷ ডেবরায় ওই বৈঠক কীভাবে হল, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে ৷
কেন উঠল এই প্রশ্ন ?
কারণ, সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দলের সোশ্যাল মিডিয়া সেল নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে ৷ রাজ্যে দায়িত্ব পেয়েছেন ঘাসফুল শিবিরের তরুণ তুর্কি দেবাংশু ভট্টাচার্য ৷ তাঁকেই রাজ্যের সংগঠন সাজানোর নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ তিনি এখনও এই সেলের রাজ্য কমিটি গঠন করেননি ৷ ফলে জেলা কমিটি গঠন করা বা এই সংক্রান্ত বৈঠক কীভাবে হল, সেই প্রশ্নই উঠেছে ৷
এই পরিস্থিতিতে দেবাংশুর বক্তব্যও খুব তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে ৷ এই বৈঠক নিয়ে তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘‘ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার ব্যানারে গতকাল যে মিডিয়া সেলের কর্মী সম্মেলন আয়োজিত হয়েছিল, তার কোনও অফিশিয়াল অনুমোদন নেই ।’’ এর পরই তাঁর সংযোজন, ‘‘রাজ্যস্তরে কমিটি প্রস্তুত হওয়ার পর জেলাস্তরে কমিটি তৈরি হবে । নিজের ইচ্ছামতো কেউ সোশ্যাল মিডিয়ার মিটিং করে বসবেন না । প্রকৃত কর্মীদের বঞ্চনা করে কোনও কাজ হবে না ।’’
তবে এই ধরনের কোনও বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের ঘাটাল সংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিস হুদাইত ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা কোনও কমিটির বৈঠক করিনি । যারা পুরনো সোশ্যাল মিডিয়ার কর্মী তাঁরা দূরে সরে গিয়েছিলেন ৷ তাঁদেরকে নতুন করে আমরা ডেকে উজ্জীবিত করার জন্য এই বৈঠক করি ।’’
বিজেপি (BJP) অবশ্য এই ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল হিসেবেই ব্যাখ্যা করেছে ৷ ঘাটালের বিধায়ক বিজেপির শীতল কপাট বলেন, ‘‘এর দ্বারাই বোঝা যাচ্ছে যে তৃণমূলে কোনও দলীয় গণতন্ত্র নেই ৷ যে যার নিজের মতো কাজ করে এবং এটা একটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বর ঘটনা ৷ এভাবে তৃণমূল দলটা শেষ হবে ।’’
যদিও গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আশিস হুদাইত ৷ তাঁর পালটা যুক্তি, ‘‘এখানে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই এবং আমরা কোনও কমিটি গঠনও করিনি । রাজ্য যেভাবে নির্দেশ দেবে, আগামিদিন সেভাবেই আমরা কাজ করব ।’’
আরও পড়ুন: তৃণমূল আইটি সেলের দায়িত্বে দেবাংশু, তরুণ তুর্কীকে নেতৃত্বে ফেরাতে নয়া পদ
