Sujit Kumar Karan: শিল্পীর ছোঁয়ায় মরচে ধরা লোহা হয়ে উঠল 17 ফুটের পেন

Sujit Kumar Karan: শিল্পীর ছোঁয়ায় মরচে ধরা লোহা হয়ে উঠল 17 ফুটের পেন
পশ্চিম মেদিনীপুরের ভাস্কর্য শিল্পী সুজিত কুমার করণ (Sujit Kumar Karan) ৷ 25 বছর ভাস্কর্যের সৃষ্টি করছেন ৷ অপ্রয়োজনীয় জিনিস থেকই 'সৃষ্টি' করেছেন শিল্পের ৷ ভারী লোহা লক্কড়-সহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস দিয়ে তৈরি করে ফেলেছেন নতুন নতুন ভাস্কর্য । সম্প্রতি ডাক পেয়েছিলেন কর্ণাটক ও আগ্রাতেও।
পশ্চিম মেদিনীপুর, 24 জানুয়ারি: স্ক্যাল্পচার বা ভাস্কর্য শিল্পে নজর কাড়ছেন বছর 54 শিল্পী সুজিতকুমার করণ (sculpture artist sujit kumar karan)। ফেলে দেওয়া, জমে থাকা লোহা লক্কড়-সহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস দিয়ে তিনি তৈরি করে ফেলেছেন নতুন নতুন ভাস্কর্য । চলতি বছরের কর্ণাটক ও আগ্রাতে ছাপ রেখেছেন তাঁর শিল্পের । ঘুরে এসেছেন দিল্লি, মুম্বই, গুজরাত ৷ আগামিদিনে দেশের বাইরেও যেতে চান তিনি ৷
শৈল্পিক কাজে ঘুরে এসেছেন বিভিন্ন রাজ্য়ে ৷ চলতি বছরের 3 জানুয়ারি সুজিতবাবু কাজের জন্য ঘুরে এসেছেন কর্ণাটকের হাম্পি এলাকায় । কলকাতার দু’জনকে তিনি নিয়ে গিয়েছিলেন এই কাজের জন্য ৷ সেখানে মধ্যপ্রদেশের ইচল (Ichal) আর্ট গ্যালারি উদ্যোগে জাঙ্ক মেটেরিয়াল দিয়ে তৈরি করেন একটি পেন । যার উচ্চতা 17 ফুট (Paschim Medinipur news)। সুদৃশ্য এই কলমটি দেখা যাবে কিলোস্কয়ার কোম্পানি প্রোডাক্ট ইউনিট অফিসের ওপেন এয়ার গার্ডেনে । মাত্র 7 দিনে এই কাজটি সম্পূর্ণ করেছেন শিল্পী । কলমটির নাম দেওয়া হয়েছে 'আই লাভ মাই ইন্ডিয়া'।
এছাড়াও সুজিতবাবু আগ্রার দয়ালবাবাগ এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিমা ইউনিভার্সিটির ন্যাশনাল ক্যাম্পে 'স্যান্ড স্টোন কার্ভিং'-এর জন্য ডাক পেয়েছিলেন । যেখানে দু‘জন বরোদার শিল্পী, একজন রাজস্থান এবং বাংলা থেকে গিয়েছিলেন তিনি । তৈরি করেছিলেন 6 ফুট লম্বা ও 3 ফুট চওড়া এবং আড়াই ফুটের প্রস্থের একটি ভাস্কর্য ৷ যে পাথরের উপর ভাস্কর্যটি তৈরি হয়েছিল সেটি বারাণসী থেকে আনা হয়েছিল ৷ এই কাজে তাঁদের সাহায্য করেছিলেন আরও 6 পড়ুয়া ৷ 10 দিনে শেষ করেন শিল্প কর্মটি ৷ এই ভাস্কর্যের নাম দেন 'ক্লিনার' ৷
আরও পড়ুন : দিদির দূতদের ঝাঁটা পিটিয়ে বিদায় করছেন গ্রামের মানুষ, কটাক্ষ সুকান্তর
সঙ্গে তাদের সহযোগিতার জন্য 6 জন পড়ুয়াও ছিলেন যারা এই কাজের সহায়তা করেছেন। এখানে তিনি লম্বায় 6 ফুট চওড়ায় তিন ফুট এবং আড়াই ফুটের পাথরের একটি ভাস্কর্য বানিয়েছেন। যে পাথরটি আনা হয়েছিল বারাণসী থেকে। 10 দিনে কাজটি শেষ করে তিনি নামকরণ করেন' Cleaner'। এইসব কাজেই দুটোতেই খরচ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে বাংলার থেকে ডাক পাওয়ায় খুশি এই শিল্পী। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন বড় বড় থিমের পুজো মণ্ডপেও জমে থাকা পড়ে থাকা লোহা-লক্কড় দিয়েই তিনি তৈরি করেছেন স্ক্যাল্পচার আর্টের কাজ।
ইটিভি ভারতকে সুজিতবাবু জানান, আর্টের ক্ষেত্রে প্রতিভা কম এবং নতুন নতুন শিল্পীদের পাওয়া যাচ্ছে না । তাই চেষ্টা করছি এই আর্টের ছেলেমেয়েদের খুঁজে বার করা । আগামিদিনে রাজ্যে কাজ করার পাশাপাশি, বিদেশেও কাজে যাওয়ার ইচ্ছে আছে তাঁর ৷
