নদিয়া, 8 সেপ্টেম্বর: পুজোর আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি ৷ কিন্তু তেমন কোনও বড় বায়না আসেনি জেলার পুজো উদ্যোক্তাদের থেকে ৷ ফলে অনেকটাই হতাশ জেলার ডেকরেটার্স ব্যবসায়ীরা ৷ করোনা প্যানডেমিক পরিস্থিতি ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে ব্যবসায় ৷ পরিবার-পরিজন নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ ৷
পুজোর আর খুব বেশিদিন বাকি নেই ৷ তবে কোনও পুজো উদ্যোক্তারাই এখনও যোগাযোগ করেননি ডেকরেটার্স ব্যবসায়ীদের সঙ্গে । ব্যবসায়ীদের দাবি, সবই তো হচ্ছে, বন্ধ শুধু ব্যবসা। ফলে সমস্যায় নদিয়ার প্যান্ডেল ব্যবসায়ীরা। করোনার প্রকোপে বিগত বছর থেকেই প্রায় বন্ধ পুজো থেকে শুরু করে সমস্ত সামাজিক অনুষ্ঠান। পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে বাঁশ,কাঠ ও প্যান্ডেল তৈরির বিভিন্ন সামগ্রী। ফলে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ব্যবসায়ীরা ৷
আরও পড়ুন: সঙ্কটে নদিয়ার ঝুড়ি তৈরির সঙ্গে যুক্ত একাধিক পরিবার
ফুলিয়ার এক ডেকরেটার্স মালিক বলেন , "নদিয়া জেলায় প্রায় আড়াই হাজার ডেকরেটার্স মালিক রয়েছেন ৷ ব্যবসার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত রয়েছেন প্রায় দশ হাজার শ্রমিক। সরকারিভাবে 50 জন নিয়ে অনুষ্ঠানের অনুমতি থাকলেও অর্ডার তেমন আসছে না। আমাদের এই কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের কাজ না থাকায় তারাও পেটের টানে চলে যাচ্ছেন অন্য কাজে।"
এই বছর এখনও পর্যন্ত দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের বায়না না পাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ নদিয়ার ফুলিয়া, বীরনগর, শান্তিপুর সহ একাধিক ডেকরেটার্স মালিকদের। তারা চান, দেশ করোনা মুক্ত হোক ৷ স্বাভাবিক হোক জনজীবন ৷ তবেই আমরা নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে পারব। তার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের আবেদন সরকারের তরফ থেকেও তাদের কিছু সাহায্য করা হোক ৷ তা নাহলে আগামীদিনে সংসার চালাতে প্রচুর সমস্যায় পড়তে হবে ।