Kaliachak Murder : কালিয়াচক হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে আদালতে পেশ পুলিশের

author img

By

Published : Sep 17, 2021, 5:59 PM IST

prime accused of Kaliachak Murder case present before court

কালিয়াচক হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত আসিফ মহম্মদকে শুক্রবার মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয় ৷ তবে বিচারক না থাকায় শুনানি হয়নি ৷ আগামী 20 সেপ্টেম্বর তাকে ফের আদালতে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

মালদা, 17 সেপ্টেম্বর : কালিয়াচকে পরিবারের চারজনকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আসিফ মহম্মদকে শুক্রবার মালদা জেলা আদালতে পেশ করল পুলিশ ৷ তবে বিচারক অনুপস্থিত থাকায় ধৃতকে ফের আগামী 20 সেপ্টেম্বর আদালতে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী তীর্থ বসু ৷

আরও পড়ুন : আসিফের জেল হেফাজত, 3 জুলাই আদালতে পেশ

গত 18 জুন রাতে কালিয়াচক থানার পুলিশ জানতে পারে, পুরনো 16 মাইল গ্রামের বাসিন্দা, 19 বছরের আসিফ মহম্মদ নিজের বাবা-মা, ছোট বোন ও ঠাকুমাকে খুন করে বাড়ি লাগোয়া গুদামঘরের মেঝেয় পুঁতে রেখেছে ৷ পরবর্তীতে জানা যায়, ঠান্ডা পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ওই চারজনকে খাইয়েছিল আসিফ ৷ একই পানীয় খাইয়েছিল তার দাদা আরিফ মহম্মদকেও খাইয়েছিল সে ৷ কিন্তু আরিফ কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে যান ৷ ভাইয়ের হাত থেকে বাঁচতে কলকাতায় পালিয়ে যান তিনি ৷ তারপর আর গ্রামমুখো হননি ওই যুবক ৷

পরে পুলিশকে আরিফ জানান, ভাই তাঁকেও খুনের হুমকি দিয়েছিল ৷ তাই তিনি এই ঘটনা কাউকে জানাননি ৷ শেষ পর্যন্ত আসিফ বাড়ি বিক্রির তোড়জোড় শুরু করতেই খোঁজ শুরু হয় তাঁর বাবার ৷ খোঁজ পড়ে বড় ভাই আরিফেরও ৷ তখনই নিজের মামাকে গোটা ঘটনা জানান আরিফ ৷ মামাই তাঁকে মালদা নিয়ে আসেন ৷ 18 জুন রাতে আরিফ কালিয়াচক থানায় গিয়ে সব ঘটনা খুলে বলেন ৷ তাঁর বয়ান থেকে পুলিশ জানতে পারে, গত 18 ফেব্রুয়ারি আসিফ তাঁর বাবা জাওয়াদ আলি (53), মা ইরা বিবি (41), ঠাকুমা আলেকজান বেওয়া (72) ও ছোট বোন আরিফা খাতুনকে (16) জলে ডুবিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে ৷ সেদিন রাতেই আসিফকে আটক করে পুলিশ ৷ 19 জুন বাড়ি লাগোয়া নির্মীয়মাণ গুদামঘরের মেঝে খুঁড়ে উদ্ধার হয় চারজনের পচাগলা দেহ ৷ সেদিন ভোর থেকেই সংবাদ শিরোনামে চলে আসে এই ঘটনা ৷

আরও পড়ুন : আগামী মাসে কালিয়াচক খুন-কাণ্ডের চার্জশিট পেশ

মৃতদেহগুলি উদ্ধারের 70 দিনের মাথায় জেলা আদালতে এই মামলার চার্জশিট পেশ করে পুলিশ ৷ মূল অভিযুক্ত আসিফ মহম্মদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 302 ধারায় খুন, 307 ধারায় খুনের চেষ্টা ও 201 ধারায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয় ৷ তদন্তে 44 জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় ৷ পুলিশের তরফে এই মামলায় স্পেশাল পিপি নিয়োগ করার জন্য রাজ্যের কাছে আবেদন জানানো হয় ৷ সেই আবেদন মঞ্জুরও হয়ে যায়।

শুক্রবার জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তীর্থ বসু বলেন, “ধৃতকে এদিন পুলিশের তরফে আদালতে পেশ করা হয় ৷ জজ কোর্টে এদিনই তাকে প্রথম পেশ করা হয়েছিল ৷ কিন্তু আজ জেলা জজ না থাকায় তাকে আবার 20 তারিখ আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ এই মামলায় স্পেশাল পিপি নিয়োগ করা হয়েছে ৷ তিনিও আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন ৷’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.