মালদা মেডিক্যালের সাত তলার শৌচালয়ে আটকে রোগী, বাঁচতে ভাঙলেন জানালার কাচ

মালদা মেডিক্যালের সাত তলার শৌচালয়ে আটকে রোগী, বাঁচতে ভাঙলেন জানালার কাচ
patient stuck in seven floor toilet of Malda Medical. সকালে মালদা মেডিক্যালের আউট ডোরে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন সুব্রত হাওলাদার (21)। মেডিক্যালে চিকিৎসকদের দেখানোর আগে শৌচালয়ে যান সুব্রত। সেই সময় কেউ বাইরে থেকে শৌচালয়ের গেট বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। দীর্ঘক্ষণ সুব্রত লোকজনদের ডাকাডাকি করতে থাকেন। কিন্তু কারও সাড়া না মেলায় তার মনে আতঙ্ক দেখা দিতে থাকে।
মালদা, 17 নভেম্বর: মেডিক্যালের সাত তলার শৌচালয়ে আটকে রোগী। প্রাণ বাঁচাতে নিজেই শৌচালয়ের জানালার কাচ ভেঙে নীচে ফেলতে থাকে ওই যুবক। যদিও কাচের টুকরোয় কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে মেডিকেলের নিরাপত্তারক্ষীরা ছুটে যান সাত তলায়। উদ্ধার করা হয় ওই যুবককে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মেডিকেল চত্বরে।
শুক্রবার সকালে মালদা মেডিক্যালে আউট ডোরে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন সুব্রত হাওলাদার (21)। বাড়ি বামনগোলার রাখালপুর এলাকায়। সুব্রত পাকুয়াহাট ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। মেডিক্যালে চিকিৎসকদের দেখানোর আগে শৌচালয়ে যান সুব্রত। সেই সময় কেউ বাইরে থেকে শৌচালয়ের গেট বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। দীর্ঘক্ষণ সুব্রত লোকজনদের ডাকাডাকি করতে থাকেন। কিন্তু কারও সাড়া মেলেনি। ঘণ্টা খানেক হতে চলায় সুব্রতর মনে আতঙ্ক দেখা দিতে থাকে। অবশেষে হাসপাতালের জানালার কাচ ভেঙে নীচে ফেলতে থাকে সে ৷ ছয়তলা থেকে একের পর এক কাচ পড়তে দেখে মেডিক্যালে উপস্থিত লোকজন নিরাপত্তারক্ষীদের খবর দেন। মেডিক্যালের নিরাপত্তারক্ষীরা ছুটে যান ঘটনার তদন্তে। ততক্ষণে এক ব্যক্তি শৌচালয়ের গেট খুলে সুব্রতকে উদ্ধার করেন।
সুব্রত বলেন, “আমি ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম। ডাক্তার দেখানোর আগে আমি শৌচালয়ে যাই। সেই সময় বাইরে থেকে কেউ গেট বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে আমি শৌচালয় থেকে চিৎকার করছি। কিন্তু কেউ আসেনি। আতঙ্কে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল। বাধ্য হয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আমি শৌচালয়ের জানালার কাচ ভেঙে নিচে ফেলি। পরে এক দাদা এসে দরজা খোলে। এতক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করে কারো সাড়া না পেয়ে আতঙ্কে আমার সারা শরীর ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছিল। প্রাণ বাঁচাতেই আমাকে জানালার কাচ ভাঙতে হয়েছে। কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করা কিংবা মেডিক্যালের সম্পত্তির কোনো ক্ষতি করার উদ্দেশ্য আমার ছিল না।”
আরও পড়ুন
