Indo-Bengal Checkpost of Malda: 3 বছর বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতি থেকে খুলছে মহদিপুর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট
Published: Mar 15, 2023, 9:27 PM


Indo-Bengal Checkpost of Malda: 3 বছর বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতি থেকে খুলছে মহদিপুর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট
Published: Mar 15, 2023, 9:27 PM
অবশেষে খুলছে মালদার মহদিপুর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট (Malda News)৷ ফের শুরু হবে দু'দেশের মানুষদের মধ্যে যাতায়াত ৷
মালদা, 15 মার্চ: করোনার জেরে 2020 সালের 15 মার্চ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ইংরেজবাজারের মহদিপুর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ৷ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ইমিগ্রেশন সেন্টার থেকে শুরু করে সবকিছুই ৷ ফলে মহদিপুর দিয়ে ভারত কিংবা বাংলাদেশে মানুষের যাতায়াতও স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল ৷ করোনার প্রকোপ কমলে ল্যান্ডপোর্টের কাজ ফের চালু হলেও ইমিগ্রেশন সেন্টার খোলেনি ৷ শেষ পর্যন্ত ঠিক তিন বছর পর, আগামিকাল বৃহস্পতিবার ফের চালু হচ্ছে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস সেন্টার (Mahadipur Immigration Checkpost is Opening)৷ আগামিকাল থেকেই আবার মহদিপুর দিয়ে দু'দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পারবেন বাসিন্দারা ৷ ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শেষ ৷ নজর দেওয়া হয়েছে কোভিড নিরাপত্তার বিষয়েও ৷
এই নিয়ে ইমিগ্রেশন সেন্টারের কোনও আধিকারিক সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে না চাইলেও মহদিপুর আইসিপিতে থাকা কাস্টমস সেন্টারের সুপারিন্টেনডেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ইনচার্জ দেশদুলাল চট্টোপাধ্যায় ইটিভি ভারতকে বলেন, "15 মার্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঠিক তিন বছর পর 16 মার্চ এই আইসিপি ফের খুলছে ৷ এটা কাকতালীয়ই বটে ৷ ইতিমধ্যে দেশে কোভিড গাইড লাইন অনেকটাই শিথিল হয়েছে ৷ কিন্তু আমরা এই নিয়ে কোনও খামতি রাখতে চাইছি না ৷ আগামিকাল থেকে ইমিগ্রেশন সেন্টার-সহ কাস্টমসের সবাই মাস্ক পরে, কোভিড বিধি মেনেই কাজ করবেন ৷ যাঁরা দু'দেশের মধ্যে যাতায়াত করবেন, তাঁদেরও সেসব বিধি মেনে চলার আবেদন জানানো হবে ৷ প্রয়োজনে তাঁদের মাস্ক কিংবা স্যানিটাইজার দেওয়া হবে ৷ দু'দেশের মানুষের কাছে আমরা আরও আবেদন জানাচ্ছি, তাঁরা যেন সীমান্ত পেরোনোর সময় নিজেদের কাছে কোভিড টিকাকরণের যাবতীয় শংসাপত্র সঙ্গে রাখেন ৷"
দেশদুলালবাবু আরও বলেন,"জিরো পয়েন্ট থেকে ইমিগ্রেশন সেন্টার পর্যন্ত সবাইকে নিয়ে আসার দায়িত্ব বিএসএফ কর্তৃপক্ষের ৷ ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট ও ভিসা পরীক্ষার পর প্রত্যেককে নির্দিষ্ট রাস্তা ধরে কাস্টমস সেন্টারে আসতে হবে ৷ এখানে প্রত্যেকের প্রতিটি মালপত্র স্ক্যানারে পরীক্ষা করে দেখা হবে ৷ যাত্রীদেরও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করা হবে ৷ দু'দেশে যাতায়াতের সময় এখানে হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের জন্য আপৎকালীন ব্যবস্থাও করা হয়েছে ৷ কারও শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কোথাও নিয়ে যেতে বিএসএফের একটি অ্যাম্বুল্যান্স তৈরি থাকবে ৷
এছাড়াও আমরা স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে আবেদন জানিয়েছি, এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে যাতে কোনও হেলথ বা প্যারামেডিক্যাল অফিসারকে তৈরি রাখা হয় ৷ যাতে আমরা প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি ৷ এছাড়াও আমরা কিছু হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের ফোন নম্বর মজুত রেখেছি ৷ এই আইসিপি বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত প্রতিদিন 300 মানুষ দু'দেশের মধ্যে যাতায়াত করতেন ৷ তবে এখন পরিস্থিতি বদলেছে ৷ এখন যাত্রীদের চাপ বেড়েছে ৷ আমাদের অনুমান, আগামী দেড় মাসের মধ্যে এই আইসিপি দিয়ে দিনে প্রায় 500 জন যাতায়াত করবেন ৷ মালদার ভৌগোলিক অবস্থানের জন্যই এখানে যাত্রীদের চাপ বাড়বে ৷"
আরও পড়ুন : সৌহার্দ্য! সীমান্ত সমন্বয় বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনী
