WB Recruitment Scam: শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের ঋণ দেওয়ার আগে ব্যাঙ্কগুলিকে নথি যাচাইয়ের নির্দেশ
Published: Mar 19, 2023, 8:06 AM


WB Recruitment Scam: শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের ঋণ দেওয়ার আগে ব্যাঙ্কগুলিকে নথি যাচাইয়ের নির্দেশ
Published: Mar 19, 2023, 8:06 AM
রাজ্যে সরকারি শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ব্যাঙ্ক ৷ যেভাবে চাকরি হারাচ্ছেন অধিকাংশ শিক্ষক ও গ্রুপ ডি কর্মী তাতে তাঁরা যদি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন তা কীভাবে শোধ করবেন সেই নিয়ে চিন্তায় ব্যাঙ্ক ৷ তাই এবার তাঁদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে নথি ভালোভাবে যাচাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (Banks on SSC Teacher and Non Teaching Staff) ৷ কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে দেখার কথা বলা হয়েছে যে তাঁরা চাকরি খোয়ানোর তালিকায় আছেন কিনা ৷
কলকাতা, 19 মার্চ: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর এ রাজ্যে সরকারি স্কুলগুলির শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের যে গণহারে চাকরি যাচ্ছে তা রাজ্যের ব্যাঙ্কারদের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে (Bank on WB Recruitment Scam)৷ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, 2014 সাল থেকে এখনও পর্যন্ত শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা ব্যাঙ্ক থেকে যে ঋণ নিয়েছেন সেগুলির আবেদন যাচাই করে একটি তালিকা তৈরি করতে হবে ৷ যাঁদের চাকরি গিয়েছে ঋণের জন্য আবেদনকারীদের নাম সেই তালিকায় আছে কিনা তা নিশ্চিত করতেই তৈরি হবে তালিকা (Banking News)৷
এক্ষেত্রে আবাসন, যানবাহন ও ব্যক্তিগত বা খুচরো ঋণের জন্য অনুমোদন দেওয়ার আগে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ যেন সংশ্লিষ্ট ঋণ আবেদনকারীর থেকে তা পরিশোধ করার সম্ভাবনা যাচাই করে নেন ৷ এই বিষয়ে রাজ্যের ব্যাঙ্কার কমিটির এক প্রতিনিধি বলেন, "প্রায় সব ব্যাঙ্কই তাদের নিজ নিজ খুচরো ঋণ প্রক্রিয়াকরণ বিভাগকে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে যে, সরকারি শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের কাছ থেকে এই ধরনের ঋণের আবেদনের ক্ষেত্রে 2014 থেকে আজ পর্যন্ত নিয়োগ পেয়েছেন যাঁরা, চাকরি থেকে বহিষ্কারের তালিকায় তাঁদের নাম আছে কিনা তা কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে হবে ৷"
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার খুচরো ঋণ বিভাগের এক আধিকারিকের কথায়, "এই ধরনের পরিস্থিতিতে যে কোনও ব্যাঙ্কই এই ধরনের উদ্যোগ নিয়ে থাকে ৷ 2009 সালে যখন সত্যম কেলেঙ্কারি প্রকাশ পায়, তখন সেই কোম্পানির কর্মচারীদেরও ব্যাঙ্ক থেকে নতুন ঋণ পেতে বা ইএমআইয়ের বোঝা কমানোর জন্য তাদের পূর্বে নেওয়া ঋণ এক ব্যাঙ্ক থেকে অন্য ব্যাঙ্কে স্থানান্তর করতে একইরকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন ৷ এমনকী এই পরিস্থিতিতে অনেক ব্যাঙ্ক সত্যম কর্মীদের ক্রেডিট কার্ডের সীমা প্রায় 80 শতাংশ কমিয়েও দিয়েছিল ৷ বর্তমানেও সরকারি স্কুলগুলির শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা ৷ বিশেষ করে যাঁরা নির্দিষ্ট সময়ের পরে নিয়োগ পেয়েছেন ৷" এই বিষয়টি নিয়েই ব্যাঙ্কাররা এখন উদ্বিগ্ন যে চাকরি খোয়ানো শিক্ষক বা অশিক্ষক কর্মীদের ঋণ মঞ্জুর ও দেওয়ার ক্ষেত্রে কীভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায় ৷
আরও পড়ুন : লোনের টাকা শোধ না-করায় তৃণমূল নেতার বাড়ি ও মিল সিল করল ব্যাংক
