JU Alumni Cell: যাদবপুরে গঠিত বিশেষ সেল, প্রাক্তনীরা সাহায্য করতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়কে

JU Alumni Cell: যাদবপুরে গঠিত বিশেষ সেল, প্রাক্তনীরা সাহায্য করতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়কে
আর্থিক সংকটে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ৷ প্রাক্তনীদের থেকে অনুদান পেতে গঠিত হল বিশেষ সেল (Alumni Cell at Jadavpur University)৷
কলকাতা, 22 জানুয়ারি: গঠিত হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এল্যুমনি সেল । বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকট থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক বিষয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রাক্তনীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে যে এল্যুমনি সেলের প্রস্তাব আনা হয়েছিল, তা এবার গঠিত হল । সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল বৈঠকে এই প্রস্তাব পাশ হয়েছে । আর তারপরেই গঠন করা হল এই সেল ।
কমেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বরাদ্দ । আর্থিক সংকটের মধ্যে দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদবপুর । তাই বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা প্রাক্তনীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের থেকে আর্থিক সহায়তা জোগাড় করবে এই সেল (special cell at JU for alumni grant work)। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নের জন্য আরও কী পদক্ষেপ করা যায় এই সব বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখবেন সদস্যরা । সম্প্রতি এই মর্মে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে । 12 জনের এই কমিটি ইতিমধ্যেই কাজ করা শুরু করেছে ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ধাপে ধাপে কাজ শুরু হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর বহু ছাত্রছাত্রী পাশ করে বেরোন। প্রাক্তনীদের বেশিরভাগই আজ সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত। অনেকে আবার পাড়ি জমিয়েছেন পৃথিবীর অন্যান্য শহরে । তাই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রাক্তনীদের একটি ডেটাবেস তৈরি করে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করায় হবে এই সেলের প্রাথমিক কাজ । এরপর প্রাক্তনীরা কীভাবে তাঁদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চান কিংবা কী কী খাতে অনুদানের প্রয়োজন রয়েছে সেই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে । এরপর একটি পৃথক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হবে যেখানে আসবে অনুদানের অর্থ । এখানে একটি উলেখযোগ্য বিষয় হল যাঁরা অনুদান দেবেন তাঁরা এই অনুদান অর্থের উপর কর ছাড় পাবেন ।
আরও পড়ুন : সাঁওতালি ভাষার পত্রপত্রিকার ডিজিটাল রূপদানে সাফল্য যাদবপুরের
প্রসঙ্গত, 2017 এর পর থেকেই ধীরে ধীরে কমেছে আর্থিক অনুদান । এরপর করোনা সংক্রমণের জেরে সেই আর্থিক অনুদানের পরিমাণ আরও হ্রাস পায় । এর ফলে থমকে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংরক্ষণ এবং সার্বিক পরিকাঠামো উন্নতির কাজও । শুধু তাই নয়, করোনাকালে যখন একটানা দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল তখন আর্থিক অনুদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যার সমুখীন হতে হয়েছিল কর্তৃপক্ষকে ।
একাধিক ল্যাবের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং রাসায়নিক কেনা সম্ভব হয়নি । সবকটি বিভাগে একাধিক কাজ আটকে রয়েছে । গ্রন্থাগারেও প্রয়োজনীয় অনেক বই আনা যাচ্ছে না । বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার ভাড়া প্রায় শূন্য । রাজ্য সরকার যে আর্থিক অনুদান দেয় তার থেকেই চলে মেন্টেনেন্স ফান্ড । গত দু'তিন বছর ভবনগুলো সংস্কারের খাতে যে টাকা দেওয়া হয় তাও যথেষ্ট নয় ।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যপক রবীন্দ্রনাথ নন্দী ল্যাবের উন্নতির জন্য প্রায় 51 লক্ষ টাকা তুলে দিয়ে দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষের হাতে । পাশাপাশি ওই বিভাগের কিছু প্রাক্তনী ল্যাব সংস্কারের জন্য অর্থ পাঠিয়েছেন । অন্যদিকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রাক্তনীরা একটি কম্পিউটার ল্যাব তৈরির জন্য প্রায় 10 লক্ষ টাকা দিয়েছেন । এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় যাদবপুরের আর্থিক অনটনের কথা জানতে পেরে দেশ-বিদেশের বহু প্রাক্তনীরা ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজেদের সামর্থ্য মত অনুদান দিয়েছেন ।
আরও পড়ুন : দেখতে এক, নম্বরও এক ! সমাবর্তনে নজর কাড়লেন গোল্ড মেডেল প্রাপক শুভেন্দু-দিব্যেন্দু
