কলকাতা, ৭ এপ্রিল : "সারদার ঘটনায় সব থেকে বড় বেনিফিশিয়ারির নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।" আজ BJP-র রাজ্য দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকে একথা বলেন মুকুল রায়।
সারদা ও নারদ কাণ্ড প্রসঙ্গে মুকুল বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৌলতে আমার সঙ্গে দু'বার সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে দেখা হয়। প্রথমবার উত্তরবঙ্গের ডেলোতে ও দ্বিতীয়বার কলকাতায়। এর আগে আমি কোনওদিন সুদীপ্ত সেনকে দেখিনি। আমি অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গে এটা বলছি, আমাকে যদি সারদা-নারদার কোনও ঘটনায় কেউ অভিযুক্ত করতে পারে, তা হলে আমি রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর নেব। আর অভিযোগ যদি প্রমাণিত না হয় তাহলে যিনি এই অভিযোগ করছেন তিনি কি রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর নেবেন? বা পদত্যাগ করবেন? সেইসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে SIT সারদা কাণ্ডের তদন্ত করেছিল। যার প্রধান ছিলেন রাজীব কুমার। যদি সারদার কোনও ঘটনার সঙ্গে আমি যুক্ত হতাম তাহলে কেন সেসময় তদন্তকারী অফিসার আমাকে তলব করেননি? মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য চ্যানেল, খবর কাগজ এই সব বাজে বিনিয়োগ করে সারদা উঠে গেছে। উনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ভারত তীর্থ রেল ভ্রমণ সংস্থা তৈরি করা হয়েছিল। আজ উনি হেরে যাবেন বলে উলটোপালটা বকছেন।"
তৃণমূল নেতাদের আক্রমণ করে মুকুল বলেন, "ফিরহাদ হাকিম কি নারদায় টাকা নিয়েছেন বলে তাঁর মন্ত্রীপদের সঙ্গে অতিরিক্ত পদমর্যাদা জুড়ে দেওয়া হল? কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও অপরূপা পোদ্দার নারদ কাণ্ডে নাকি অভিযুক্ত? তাহলে তাঁদের মনোনয়নপত্র কেন দিচ্ছেন মমতাদেবী? আমি কোনও দিন অনৈতিক কাজ করিনি। আজও করব না। যেহেতু সারদা মামলা বিচারধীন, তাই বেশি কিছু বলছি না"
উল্লেখ্য, আজ উত্তরবঙ্গে জনসভায় তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায়কে ঘুরিয়ে কটাক্ষ করে নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, "সারদা-নারদায় অভিযুক্ত যে লোকটা আপনার মিটিং কন্ট্রোল করছে, সেই গদ্দার আপনার পার্টির নেতা। তাকে পাশে নিয়ে আপনি সারদা-নারদা বলছেন। আপনার নেতা সারদা-নারদার নেতা।"
মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের সভা থেকে অভিযোগ করেছেন BJP-র কোচবিহারের প্রার্থী নাকি হিউম্যান ট্রাফিকিং - এর সঙ্গে যুক্ত। তিনি CBI-এর একটি চিঠিও দেখিয়েছেন। এপ্রসঙ্গে মুকুল বলেন, "এই দেখুন আরও একটা CBI-এর চিঠি। এখানে কোচবিহার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধেও হিউম্যান ট্রাফিকিং-এর অভিযোগ রয়েছে।
মুকুল আরও বলেন, "কোচবিহার জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৭০ শতাংশ আসনে কোনও রাজনৈতিক দল প্রার্থী দিতে পারেনি। মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তাহলে সেই জেলাশাসক কীভাবে কোচবিহারে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পেলেন? আমি নির্বাচন কমিশনকে কড়া চিঠি দিয়ে ওই অফিসারকে তাঁর পদ থেকে সরানোর দাবি জানিয়েছি।"