কলকাতা পুলিশের কুকুরদের অবসরকালীন জীবনের হাল হকিকত, বিশেষ প্রতিবেদন

কলকাতা পুলিশের কুকুরদের অবসরকালীন জীবনের হাল হকিকত, বিশেষ প্রতিবেদন
Kolkata Police Dog Squad: দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কলকাতা পুলিশের হয়ে যে কুকুরগুলি নিজেদের প্রাণ ঝুঁকি নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে কলকাতা পুলিশের হয়ে কাজ করে থাকে, জানেন কি, অবসর গ্রহণের পর সেই সারমেয়গুলির কীভাবে জীবন কাটে?
কলকাতা, 20 নভেম্বর: অবসর জীবন ওরাও কাটায় । আর পাঁচটা সরকারি চাকুরিজীবীদের মতোই রিটায়ারমেন্ট পলিশির আওতায় পরে ওরাও। কথা হচ্ছে কলকতা পুলিশের সাহসী ডগস্কোয়াডের কুকুরদের। যারা কলকাতা পুলিশের গর্ব বলাই যায় । লালবাজার সূত্রের খবর, এ বছরও কলকাতা পুলিশের সারমেও বাহিনী থেকে প্রায় 11টি কুকুর অবসর নিচ্ছে। সেই সারমেয়গুলির কীভাবে জীবন কাটে?
অবসরের পর একজন রাজ্য সরকারি কর্মী বা পুলিশকর্মী যে সকল সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন, ঠিক সেইভাবেই অবসর গ্রহণের পর কলকাতা পুলিশের এই কুকুরগুলি কি আদৌ সেইরকম কোনও সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে? কর্মজীবন চলাকালীন কলকাতা পুলিশের সারমেয়গুলি একজন সরকারি কর্মী বা পুলিশ কর্মী হিসেবে কাজ করলেও তাদের অবসর জীবনটি সাধারণ পুলিশ কর্মীদের মতো নয়। দেশের অন্য রাজ্যগুলিতে অবসর গ্রহণের পর ডক্টোয়ার্ডের সারমেয়দের যেইভাবে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় সেটি কলকাতা পুলিশে কার্যত বিরল।
এই বিষয়ে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডের দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "আমাদের অবসর গ্রহণের পর সরকারি যে সুযোগ-সুবিধাগুলি পাই বা পেয়ে থাকি, কলকাতা পুলিশের কুকুররা তাদের কর্মজীবনের অবসর গ্রহণের পর সেই সুযোগ-সুবিধা থেকে একেবারে বঞ্চিত থাকে। কার্যত বলা চলে অবসর গ্রহণের পরবর্তীকালে তারা ফের একটি সাধারণ কুকুরে পরিণত হয়ে যায়।
এর কারণ রিটারমেন্টের পর কুকুর পাওয়ার ক্ষেত্রে সব থেকে এগিয়ে থাকে সংশ্লিষ্ট কুকুরটির হ্যান্ডেলার। অবশ্য হ্যান্ডেলার যদি কুকুর নিতে অস্বীকার করেন বা রাজি না-থাকেন সেই ক্ষেত্রে কুকুর নিতে পারেন রাজ্য পুলিশ বা কলকাতা পুলিশের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এই ক্ষেত্রে কয়েক মাস আগেই কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে নবান্নে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অবশ্যই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডের অবসরপ্রাপ্ত কুকুরগুলির জন্য একটি আবাসন করে তোলার।
তবে সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের তরফে নবান্নে পাঠানো প্রস্তাবটি খাতায় কলমে পড়ে রয়েছে। লালবাজার সূত্রের খবর, বিভিন্ন ইচ্ছুক ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ যদি কুকুর নিতে চান সেক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে এই কুকুরগুলিকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু যাকে কুকুর দেওয়া হচ্ছে, তাঁর পরিচিতি, তিনি আদৌ সেই কুকুরগুলিকে রাখতে পারবেন কি না, এই সকল বিষয় গুরুত্বপূর্ণ সহকারে খতিয়ে দেখা হয়। যারা কুকুরগুলি কিনবেন, তাদের বাড়ি এবং অফিস কিংবা বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও পুলিশকর্মীরা গিয়ে ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন।
আরও পড়ুন:
