...মা তোমার প্রদ্যোৎ কি কখনও মরতে পারে ?

author img

By

Published : Aug 15, 2020, 5:59 PM IST

Updated : Aug 17, 2020, 4:09 PM IST

Prodyot

কিশোরবেলা পেরোতে না পেরোতে প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্যের মতো হাসিমুখে মরণকে বরণ করেছিলেন যে সব নায়ক, তাঁরা কি যোগ্য সম্মান পেয়েছেন ? তাঁরা কি উপেক্ষিত নন ? প্রশ্ন আজও ওঠে।

1931 সাল। জুলাই মাস। আলিপুর জেলে দীনেশ গুপ্তর ফাঁসি হয়ে গিয়েছে। "Blood Calls for Blood"- ফুটছে গোটা বাংলা। ঢাকা থেকে মেদিনীপুর, বিলি হচ্ছে ইশতেহার। ইংরেজ শাসকের অত্যাচার সহ্য নয়- ফুটছেন স্বাধীনতা সংগ্রামীরাও। স্পর্ধা কমেনি শাসকের। দমন নীতি নিয়ে একের পর এক অত্যাচারী ম্যাজিস্ট্রেটকে বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করছিল তারা। তারুণ্যের তেজ আর দেশপ্রেমের আগুনে সে সব অত্যাচারী শাসককে ঝলসে দিতে কোমর বাঁধছিলেন একের পর এক স্বাধীনতা সংগ্রামী। প্রদ্যোৎকুমার ভট্টাচার্য তাঁদেরই একজন।

সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। বুদ্ধিমান, শান্ত। সরল মুখে তীক্ষ্ণ ছিল চোখদুটি । মেধাবী ছিলেন। ম্যাট্রিক পাশ করেছিলেন প্রথম বিভাগে । ছাত্রাবস্থাতেই প্রতিবাদের আগুন কীভাবে দানা বাঁধতে শুরু করেছিল স্নেহের 'কচি'র (প্রদ্যোৎ কুমার ভট্টাচার্যের ডাকনাম) মধ্যে, বুঝতে পারেননি বাবা ভবতারণ। মেদিনীপুরে তখন বেশ সক্রিয় বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স। সংক্ষেপে BV। সংগঠনের সক্রিয় কার্যকলাপে ভীতসন্ত্রস্ত ইংরেজ শাসক। ছাত্র প্রদ্যোতের বুকে স্বাধীনতার আগুন জ্বালাতে অনেকটাই সাহায্য করেছিল এই সংগঠন। বয়স তখন 16 কী 17। বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন প্রদ্যোৎ। অবশ্য-পালনীয় 'মন্ত্রগুপ্তি' রক্ষা। আর ধরা পড়লে অত্যাচার সহ্য করার দৃঢ়তা । এই দুই যাচাই করে তাঁকে সংগঠনের সদস্য করে নিয়েছিলেন দীনেশ গুপ্ত। সশস্ত্র বিপ্লবের পথচলা শুরু তখন থেকে।

এরপর ধীরে ধীরে সত্য গুপ্ত, হেমচন্দ্র ঘোষ, জ্যোতিষ জোয়ারদারদের মতো অগ্রণী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সংস্পর্শে আসা। এবং নিজেকে BV গ্রুপের অন্যতম সদস্য বানিয়ে তোলা। সময় নেননি বেশিদিন।

prodyot kumar
মেদিনীপুর শহরে প্রদ্যোৎকুমার ভট্টাচার্যের স্মৃতিসৌধ

1931 সাল। মেদিনীপুরের ম্যাজিস্ট্রেট তখন জেমস প্যাডি। তাঁর সদম্ভ ঘোষণা ছিল - এমন শিক্ষা দেবেন, মেদিনীপুর যা কোনও দিন ভুলবে না। প্যাডিকে চরম শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল BV।

মার্চ মাস। গ্রীষ্মের এক সন্ধ্যায় স্থানীয় স্টেশন চত্বরের নির্জন মাঠে অন্ধকারে গা ঘেঁষে আলাপচারিতায় পাঁচ বিপ্লবী। প্রদ্যোৎকুমার ভট্টাচার্য, প্রফুল্ল দত্ত, বিমল দাশগুপ্ত, জ্যোতিজীবন ঘোষ, ফণীভূষণ কুণ্ডু। ওই মাঠেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল প্যাডিকে পৃথিবী থেকে সরানোর মাস্টারপ্ল্যান।

7 এপ্রিল সন্ধ্যা। জেলা স্কুলের শিক্ষা প্রদর্শনীতে হাজির ছিলেন প্যাডি। বিমল দাশগুপ্ত, জ্যোতিজীবন ঘোষের আকস্মিক আক্রমণ। গুলিতে ঝাঁঝরা অত্যাচারী শাসক প্যাডি। নক্ষত্রগতিতে এলাকা ছেড়েছিলেন দুই বিপ্লবী।

ইংরেজ তৎপরতা বাড়ে মেদিনীপুরে। মোতায়েন হন আরেক অত্যাচারী ম্যাজিস্ট্রেট রবার্ট ডগলাস। জেলায় চালু হয় সান্ধ্য আইন। সন্ধের পরে লণ্ঠন ছাড়া বাইরে বেরোনো নিষিদ্ধ করা হয়। সাদা, নীল ও লাল। তিন রঙের কার্ড চালু হয় জেলায়। সাদা কার্ড রাজভক্তদের জন্য। স্বদেশীদের জন্য নীল কার্ড। লাল কার্ড বিপজ্জনক ব্যক্তির জন্য। স্পেশাল কনস্টেবল আইন চালু করা হয়। এই আইন বলে বিপ্লবীদের নির্দেশ দেওয়া হয় সপ্তাহের নির্দিষ্ট একটি দিনে থানায় হাজিরার। দিনের পর দিন বাড়তে থাকে অত্যাচার। কোনও শ্বেতাঙ্গ শাসককে মেদিনীপুরে টিকতে দেওয়া হবে না - এই বিপ্লবী-পণের পরের টার্গেট হয়ে যান ডগলাস।

Hijli Detention Camp
তৎকালীন হিজলি ডিটেনশন ক্যাম্প

সেপ্টেম্বর। হিজলি ডিটেনশন ক্যাম্পে (এখনকার খড়গপুর IIT ক্যাম্পাস) বন্দীদের উপর অত্যাচার আগুনে ঘৃতাহুতি দেয়। 16 সেপ্টেম্বর নিরস্ত্র বন্দীদের উপর গুলি চালায় পুলিশ। শহিদ হন বিপ্লবী সন্তোষকুমার মিত্র, বিপ্লবী তারকেশ্বর সেনগুপ্ত। আহত হন আরও অনেকে।

শহিদদের নিয়ে শবযাত্রা করেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। সবরকম নিন্দার মাত্রা ছাড়িয়েছে এই ঘটনা- তীব্র নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কলকাতা মনুমেন্টের পাদদেশে সভা করেছিলেন 26 সেপ্টেম্বর। আর BV-র খতম তালিকায় একেবারে শীর্ষে তোলা হয়েছিল ডগলাসের নাম। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল অ্যাকশন স্কোয়াডের দুই সদস্য প্রদ্যোৎ কুমার ভট্টাচার্য ও প্রভাংশুশেখর পালকে।

আরও পড়ুন... একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি...

জীবন-সংশয় আশঙ্কায় নিরাপত্তা দ্বিগুণ হয় ডগলাসের। কিন্তু তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা ছিল শতগুণ।

চেষ্টা চলছিল। সুযোগ আসছিল না। অবশেষে এল মাহেন্দ্রক্ষণ। 30 এপ্রিলের দুপুর। জেলা ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের মিটিংয়ে হাজির ছিলেন ডগলাস। ছিলেন সভাপতির চেয়ারে। বিকেল নাগাদ জোর করে মিটিং রুমে ঢুকে পড়েন প্রদ্যোৎকুমার ভট্টাচার্য, প্রভাংশুশেখর পাল। না, রক্ষীরা কোনওভাবেই ধরতে পারেনি তাঁদের। অতি-ক্ষিপ্রতায় ডগলাসের চেয়ারের পিছনে চলে যান দু'জনে।

Prodyot
আমানুষিক অত্যাচার সহ্য করেও ইংরেজদের সামনে মুখ খোলেননি প্রদ্যোৎকুমার...

তখন বিকেল। ঘড়িতে 5টা 45। ডগলাসকে লক্ষ্য করে 7টা গুলি চলে। তারপর দ্রুত পালানোর চেষ্টা করেন দুই বিপ্লবী। গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালাতে থাকেন প্রভাংশুশেখর পাল। কিন্তু প্রদ্যোৎ পারেননি। বিপত্তি বাধায় তাঁর রিভলভার। তিনি ছুটতে শুরু করেন। পিছনে পুলিশ। ঘুরে বার কয়েক ফায়ার করার চেষ্টা করেন প্রদ্যোৎ। কিন্তু গুলি বেরোয়নি। কাছের এক পোড়ো বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন। পিছনে তাড়া করে ঘরে ঢোকে পুলিশ। ঘর থেকে কোনওমতে বেরিয়ে ফের পালানোর চেষ্টা করেন বিপ্লবী। স্থানীয় অমর লজের কাছে রাস্তার উপর ছিটকে পড়েন। ঘিরে ফেলে পুলিশ। প্রদ্যোতের পকেট থেকে বেরিয়ে আসে দুটি ছোট চিরকুট। যার একটিতে লেখা ছিল - “This is a mild protest against the Hijli Massacre. May India be awakened by these deaths!”

না, প্রভাংশুশেখরকে অবশ্য ধরা যায়নি। রিভলভার লুকিয়ে ছদ্মবেশ নেন। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে গা ঢাকা দেন। অন্যদিকে ডগলাসকে নিয়ে যাওয়া হয় সদর হাসপাতালে। ঘণ্টাচারেক পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

গ্রেপ্তারের পরে কড়া প্রহরায় প্রদ্যোৎকে নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে। একদিকে শুরু হয় বিচার। আর অন্যদিকে চলতে থাকে আমানুষিক অত্যাচার। প্রদ্যোতের মুখ থেকে কথা বের করার জন্য সবরকম উপায় অবলম্বন করে পুলিশ। অত্যাচার করার জন্য নিয়ে আসা হয় বিশেষ বিশেষ পুলিশ অফিসারকে। কিন্তু, না, বিপ্লবী প্রদ্যোৎকুমার ভট্টাচার্যর মুখ খোলানো যায়নি।

prodyot
প্রদ্যোৎকুমারের বীরত্ব আজও ভোলেনি মেদিনীপুরের মানুষ...

...সঙ্গে কে ছিল ? নিশ্চুপ প্রদ্যোৎ। গুলি কে চালিয়েছিল - নিশ্চুপ প্রদ্যোৎ। কোনও কিছুতেই কাজের কাজ না হওয়ায় মানসিক অত্যাচারের পথে পা বাড়ায় ইংরেজ। বিপ্লবীর কয়েকজনক বন্ধুকে তুলে নিয়ে আসা হয় টর্চার সেলে। তারপর তাঁর চোখের সামনেই তাঁদের উপর চলে অত্যাচার। অত্যাচার চলে প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্যের বড়দা শর্বরীভূষণের উপর। মাত্রা এতটাই ছিল, পরে মানসিক ভারসাম্য হারান তিনি। বাকি জীবন কাটাতে হয় পাগলা গারদে।

অত্যাচার চলাকালীন তাঁকে ভাঙতে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের আশ্রয়ও নিত ইংরেজ পুলিশ। ভূপেন দারোগা বলে একজন তাঁকে বলেছিল, " এমন একটা রিভলভার নিয়ে খুন করতে গিয়েছিলে প্রদ্যোৎ, কাজেই লাগল না - ছিঃ ছিঃ। উত্তরও মোক্ষম ছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামীর সপাট জবাব - "ভাগ্যের মার, ভূপেন বাবু! সেদিন যদি আমার রিভলভার কথা বলত, আমি এই অবস্থায় থাকতাম না আর গল্পটাও অন্যরকম হত । "

সেল থেকে চিঠি লিখতেন মা পঙ্কজিনীদেবীকে। বড়বউদিকে। উচ্চস্বরে পাঠ করতেন স্বামী বিবেকানন্দের লেখা। রবীন্দ্রসংগীত গাইতেন। বিভিন্ন লেখাজোখা ও পত্রপত্রিকায় প্রাপ্ত প্রদ্যোৎকুমার ভট্টাচার্যের চিঠির অংশবিশেষ থেকে তাঁর দৃঢ় মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। চিঠির অংশে পরে আসছি।

prodyot
কালকুঠুরি থেকে মাকে চিঠিতে প্রদ্যোৎকুমার লিখেেছিলেন. ''জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী...

ডগলাস বিচার মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছিস 33জন যুবককে। যদিও প্রমাণের অভাবে চার্জশিটে একা নাম ছিল প্রদ্যোৎকুমার ভট্টাচার্যের। বিচারক ছিলেন তিনজন। বিচারে ফাঁসির আদেশ হয়। তিন বিচারকের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের আদেশে সহমত ছিলেন না জ্ঞানাঙ্কুর দে। প্রদ্যোৎকুমার ভট্টাচার্যের মা ছেলের প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাতে কান দেওয়া হয়নি। কারণ ইংরেজদের কাছে এই যুবক ছিলেন "অত্যন্ত ভয়ানক"। তাদের মতে, এঁকে বাঁচিয়ে রাখা যায় না।

মৃত্যুর অপেক্ষায় মহান বিপ্লবী তখন কালকুঠুরিতে সময় কাটাচ্ছেন। পড়াশোনা করছেন। আর চিঠি লিখছেন মাকে। চিঠির শুরুতেই লিখেছিলেন- জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী...

লিখেছেন "... মাগো, আমি যে আজ মরণের পথে আমার যাত্রা শুরু করেছি তার জন্য কোনও শোক কোরো না। ... যদি কোনও ব্যারামে আমায় মরতে হত তবে কী আপশোশই না থাকত সকলের মনে। কিন্তু আজ একটা আদর্শের জন্য প্রাণ বিসর্জন করছি, তাতে আনন্দ আমার মনের কানায় কানায় ভরে উঠছে, মন খুশিতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে...।

একথা মনেও স্থান দিও না 'মা ' যে আমার সঙ্গে সঙ্গে আমার সমস্ত চিন্তা সমস্ত আশাও লোপ পেয়ে গেল। সব রয়ে গেল আমার বাংলার ছেলে মেয়েদের মনে, আর আমার বাংলার মায়েদের অন্তরে।"

prodyot
যুবক বয়সে বিপ্লবী প্রদ্যোৎ

মাকে আরও অনেক কথা লিখেছেন প্রদ্যোৎ। "... মা, আমার চোখের সামনে যদি তোমার উপর কেউ অত্যাচার করে, আমি কি সঙ্গে সঙ্গে তোমায় রক্ষা করতে এগোব না ? নাকি আমি চিন্তা করতে বসব, এটা ঠিক হবে কি না ! এটা বিপজ্জনক হবে কি না ! আমি কি পুলিশ ডাকব নাকি পরে আদালতে সাক্ষী দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে দেখব ! মাকে লেখা হাজার শব্দের চিঠিটি যেন ছিল ভারতমায়ের তৎকালীন সবকটি দামাল ছেলের মনের আয়না।

তাঁর প্রতিটি রক্তবিন্দুতে শহিদ তৈরি হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রদ্যোৎকুমার ভট্টাচার্য। 20 বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনের শেষ লগ্নে এসেও ভেঙে পড়েননি। এই যেমন ফাঁসির দিন- 1933 সালের 12 জানুয়ারি। মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেল। শীতের সকালে স্নান সেরে শেষবারের মতো তৈরি হয়ে নিয়েছিলেন বীর বিপ্লবী। ছটা বাজার আগে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন ফাঁসির মঞ্চে। হাজির ছিলেন ডগলাস পরবর্তী ম্যাজিস্ট্রেট বার্জ। তিনি তৈরি কি না প্রশ্নের উত্তরে হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছিল প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্যের মুখ থেকে। বলেছিলেন- "তৈরি থেকো বার্জ। এরপর তোমার পালা। "

দুই দাদা হাজির ছিলেন। মুখ ঢাকা হয়েছিল কালো কাপড়ে। পাটাতন গিয়েছিল সরে। ফাঁসির দড়ি গলায় নিয়ে মরণকুয়োর অন্ধকারে নিথর হয়ে গিয়েছিলেন ভারতের প্রদ্যোৎ।

স্বামীজির আদর্শে অনুপ্রাণিত প্রদ্যোৎ চিরঘুমে গিয়েছিলেন স্বামীজির জন্মদিনেই ।

প্রতিবার স্বাধীনতার দিন ফিরে আসে। তেরঙ্গার সূর্যে আলোকিত হন প্রদ্যোৎকুমার ভট্টাচার্যরা। আর সেই আলোয় বারবার পড়তে ইচ্ছে হয় "...মা তোমার প্রদ্যোৎ কি কখনও মরতে পারে ? আজ চারিদিকে চেয়ে দেখো, লক্ষ লক্ষ প্রদ্যোৎ তোমার দিকে চেয়ে হাসছে। আমি বেঁচেই রইলাম, মা অক্ষয় অমর হয়ে- বন্দেমাতরম...।"

Last Updated :Aug 17, 2020, 4:09 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.