কলকাতা 16 জানুয়ারি রাজ্যে এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ৷ আর শুরুতেই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইডি ৷ আর তাই সুবীরেশের পরিবারের কাছ থেকে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ অন্যান্য সহ নথি চেয়ে পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা ED Sought Financial Transactions Documents ৷ এমনকি ব্যাংকগুলির কাছেও নোটিশ পাঠিয়েছে ইডি ৷ জানতে চাওয়া হয়েছে এই তিনজনের নামে কোনও অ্যাকাউন্ট তাদের কোনও ব্রাঞ্চে রয়েছে কিনা ৷ইডি সূত্রে খবর এই মামলায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করা বাগদার চন্দন মণ্ডল এবং প্রসন্ন রায়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও অন্যান্য সব নথি চেয়ে পাঠিয়েছে ইডি আধিকারী ৷ তাঁদেরকেও এই মামলায় গতবছর গ্রেফতার করেছিল সিবিআই ৷ বর্তমানে তাঁরা বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন ৷ চন্দন মণ্ডল এবং তাঁর পরিবারের কাছ থেকে তাঁদের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সব নথি চেয়েছে ইডি ৷ পাশাপাশি সুবীরেশ ভট্টাচার্য প্রসন্ন এবং চন্দনের পরিবারের সদস্যদের নামে কোথায় কত সম্পত্তি রয়েছে তাও জানা চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা ৷জানা গিয়েছে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য এবং দুই মধ্যস্থতাকারীকে শীঘ্রই হেফাজতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর তাঁদের তিনজনের সম্পত্তির পরিমাণ জানতে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের জমি রেজিস্ট্রি অফিসে চিঠি পাঠানো হয়েছে ৷ মনে করা হচ্ছে সেখান থেকেও সুবীরেশসহ তিনজনের সম্পত্তি সংক্রান্ত একাধিক তথ্য উঠে আসতে পারে ৷আরও পড়ুন আমরা একবছর পর এই জামিনের কথা ভাবব সুবীরেশের আবেদন খারিজ করে মন্তব্য আদালতেরউল্লেখ্য নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছিল ৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে সিবিআই প্রথমে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে ৷ এরপর একে একে সুবীরেশ এবং তারপর মিডলম্যান হিসেবে কাজ করা প্রসন্ন রায় এবং চন্দন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ৷ জানা যায় এই তিনজন টাকা নিয়ে বেআইনি নিয়োগে মদত করেছিল তাই নয় ৷ পরিবারের সদস্যদের নামেবেনামে একাধিক জায়গায় জমিবাড়ি কিনেছিল ৷