আমহার্স্ট স্ট্রিট-কাণ্ডে মৃতের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

আমহার্স্ট স্ট্রিট-কাণ্ডে মৃতের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
Cal High Court ordered body handed over to family. পুলিশি নিরাপাত্তা দিয়ে যাতে দেহ সৎকার করা হয় সেই মর্মেও এদিন আবেদন জানানো হয়। শনিবার আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল আদালতে জানান, তাঁর কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নেই। তিনি একজন আইনজীবী। একই সঙ্গে, তাঁর আর্জি দেহ যেন পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার হয় ৷ তারপরই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ অশোক সাউয়ের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেবে।
কলকাতা, 18 নভেম্বর: অশোক সাউয়ের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। হাইকোর্টের বক্তব্য, সরকারের পক্ষ থেকে সহমর্মিতা রয়েছে মৃতের পরিবারের সঙ্গে। কিন্তু দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার পর কোনওভাবেই যাতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখার নির্দেশ আদালতের ।
পুলিশি নিরাপাত্তা দিয়ে যাতে দেহ সৎকার করা হয় সেই মর্মেও এদিন আবেদন জানানো হয়। শনিবার আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল আদালতে জানান, তাঁর কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নেই। তিনি একজন আইনজীবী। একই সঙ্গে, তাঁর আর্জি দেহ যেন পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার হয় ৷ তারপরই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ অশোক সাউয়ের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেবে। পাশাপাশি দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে তাও নিশ্চিত করবে পুলিশ, সেই মর্মেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন সকালে আইনজীবী আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় মৃত অশোকের দেহ দিতে চাইছে না পুলিশ। আদালতের নির্দেশে দেহ এখন এসএসকেএম হাসপাতালেই রয়েছে। দেহ দেওয়া হোক আবেদন নিয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। এদিন আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়ালের বক্তব্য, যেহেতু দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রয়োজনীয়তা নেই। তাই পরিবার চাইছে দেহ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক ৷ কিন্তু পুলিশ তা দিতে রাজি নয়। তারা বলছে কোর্টের নির্দেশ ছাড়া মরদেহ দেওয়া যাবে না।
শুক্রবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানিয়েছিল, এখনই দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রয়োজন নেই। থানায় পিটিয়ে মারার ঘটনায় রাজ্য ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেশ করে আদালতে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় মৃত্যু হয়েছে ব্রেন হ্যামারেজে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানায়, আপাতত সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। মৃতের দেহ থাকবে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের দায়িত্ব কলকাতা পুলিশ কমিশনারকেও দেয় আদালত।
মৃতের দেহের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রয়োজন আছে কি না, আগামী 23 নভেম্বর শুনানিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু এদিন সকালেই আইনজীবীরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন জানায়।
আরও পড়ুন
