কালিম্পং, 30 জুলাই : টানা বৃষ্টির জের । কালিম্পংয়ে একাধিক জায়গায় ধস নামল । ধস নেমেছে 10 নম্বর জাতীয় সড়কের অন্তত পাঁচটি জায়গায় । ধসের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের এক শ্রমিকের । তিস্তায় পড়ে নিখোঁজ 3 শ্রমিক । জখম আরও 2 জন ।
ধসের ফলে কালিম্পংয়ের সঙ্গে শিলিগুড়ি ও সিকিমের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে । কালিম্পং জেলা পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিম্পংয়ের মামখোলায় সেবক-রংপো রেল প্রকল্পর কাছে ফের ধস নামে এদিন । এছাড়া আন্ধেরিঝোরা, ভালুখুপ ও মাল্লিতে বড়সড় চারটি ধসের ঘটনা ঘটেছে । মামখোলার ধসের ঘটনায় রেল প্রকল্পের শ্রমিকদের ক্যাম্প ধসের নিচে চাপা পড়ে । ক্যাম্পে সেই সময় 8 জন শ্রমিক ছিলেন । প্রত্যেকেই ধসে চাপা পড়েন । স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করলেও ঘটনাস্থলে এক শ্রমিকের মত্যু হয় ৷ মৃত শ্রমিকের নাম ধন সিং ভাণ্ডারি (35) । সে নেপালের বাসিন্দা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জেলা প্রশাসন, জিটিএ আধিকারিক, বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও রেল আধিকারিকরা । দুর্ঘটনায় আহত অন্য 2 শ্রমিককে সিংথাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । আরও 5 জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে । তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছে প্রশাসনিক আধিকারিকরা । ধস সরাতে ও উদ্ধার কাজের জন্য তিস্তায় নামানো হয়েছে র্যাফটিং টিম । পাশাপাশি ডাবগ্রাম থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা দল গিয়েছে । নিখোঁজদের তল্লাশির জন্য শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট থেকে পাঠানো হয়েছে একটি স্নিফার ডগ । তলিয়ে যাওয়া এবং নিখোঁজ শ্রমিকদের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা ।
কালিম্পংয়ের জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, "উদ্ধার কাজ চলছে । এখনও 3 জন নিখোঁজ রয়েছে । সিকিম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রাফিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে । পঞ্চাশটির বেশ পরিবারকে সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ।"
পুলিশ সুপার হরেকৃষ্ণ পাঁই বলেন, "রেল প্রকল্পে দুর্ঘটনা ছাড়াও আরও অন্তত পাঁচটি জায়গায় ধস নেমেছে । শিলিগুড়ির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে । উদ্ধার কাজ চলছে ।"
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে ধস কালিম্পংয়ে, ব্যাহত যোগাযোগ ব্যবস্থা
এর আগেও টানা বৃষ্টির ফলে সেবক-রংপো রেলপথের মাল্লি সংলগ্ন তিস্তাবাজারে নির্মিয়মান টানেলে ধসের ঘটনা ঘটেছিল ৷ তাতে 3 জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল । সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের রেল প্রকল্পে ধসের ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।
