Student's Burnt Body : মায়ের প্রতি অভিমান, সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী ছাত্রী

author img

By

Published : Sep 23, 2021, 10:52 PM IST

ছবিটি প্রতীকী

প্রতিদিনই দেরি করে ঘুম থেকে উঠত রুবি ৷ কিন্তু, দশটা বেজে গেলে বারবার ডাকাডাকিতেও সাড়া দেয়নি রুবি ৷ এরপরই সন্দেহ হয় তার মায়ের ৷ সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের ডাকেন ৷ দরজা ভেঙে রুবির দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয় ৷

চুঁচুড়া, 23 সেপ্টেম্বর : বন্ধ ঘর থেকে ছাত্রীর দগ্ধ দেহ উদ্ধার ৷ মৃতের নাম রুবি খাতুন (15) ৷ মৃতদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে ৷ যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মায়ের প্রতি অভিমান থেকেই আত্মহত্যা করেছে সে ৷ ঘটনাটি পাণ্ডুয়ার শ্রীপালা এলাকার ৷

কলকাতার একবালপুরে মাসির বাড়িতে থাকত রুবি ৷ সেখানে থেকেই পড়াশোনা করত ৷ কিন্তু করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় দেড় বছর ধরে পাণ্ডুয়ার বাড়ুতে মায়ের কাছেই থাকত সে ৷ মোবাইলেই অনলাইন ক্লাস চলত ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, এই মোবাইল নিয়ে মায়ের সঙ্গে প্রায়ই অশান্তি হত রুবির ৷ সুইসাইড নোটেও সেরকমই বলা হয়েছে ৷ মায়ের প্রতি অভিমান থেকেই সে আত্মহত্যা করেছে বলে উল্লেখ করেছে ৷ পুলিশের অনুমান, গেম খেলা নিয়ে মা বকাবকি করায় অভিমান হয়েছিল রুবির । সেই কারণেই হয়তো এই ঘটনা ঘটিয়েছে ঐ ছাত্রী ।

প্রতিদিনই দেরি করে ঘুম থেকে উঠত রুবি ৷ কিন্তু, দশটা বেজে গেলে বারবার ডাকাডাকিতেও সাড়া দেয়নি রুবি ৷ এরপরই সন্দেহ হয় তার মায়ের ৷ সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের ডাকেন ৷ দরজা ভেঙে রুবির দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয় ৷ খবর দেওয়া হয় পাণ্ডুয়া থানার পুলিশকে ৷ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৷

ছাত্রীর মা সাবিনা খাতুন বলেন, "মেয়ে কলকাতার স্কুলের পড়ত । অনলাইন ক্লাস করত । সব সময় মোবাইল ঘাঁটত । গেম খেলত ৷ বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করত ।বারণ করলে শুনত না । বকাবকি করতাম । তাই আমার সঙ্গে কথা বন্ধ করে দেয় । গতকাল আধার কার্ডের জন্য গিয়েছিল । দুপুরে বাড়ি ফেরে । রাত নটা নাগাদ খেয়ে শুয়ে পরি আমি । সকাল ছটায় উঠি । মেয়ে দেরি করে ঘুম থেকে উঠত । আজ সকাল দশটা বেজে গেলেও না ওঠায় ডাকাডাকি করি । দরজায় খিল দিয়ে শুয়েছিল । জানলা দিয়ে দেখি নিচে পড়ে আছে । তারপর দরজা ভাঙা হয় ।" পুলিশ সূত্রে খবর, ভোররাতে যখন সবাই ঘুমিয়েছিল তখন গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করে ।

এখানে আরেকটি বিষয় উঠে আসছে ৷ জানা গিয়েছে, সাবিনার প্রথম পক্ষের এক ছেলে ও এক মেয়ে । রুবির দাদা কলকাতায় কাজ করে । তাদের বাবার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সাবিনা আবার বিয়ে করে । সেক্ষেত্রে অনেকে এটা আত্মহত্যা কি না সেবিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে ৷ গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.