দার্জিলিং, 20 অক্টোবর: টানা 48 ঘন্টার বৃষ্টিতে তছনছ গোটা পাহাড়। গত চব্বিশ ঘন্টায় দুই জেলা মিলিয়ে অন্তত 40টি জায়গায় নতুন করে ধসের ঘটনা ঘটেছে। ভুটান ও সিকিমে টানা বৃষ্টির জেরে ফুঁসছে তিস্তা নদী। তিস্তায় জলস্ফীতির কারণে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে । এমনকি পাহাড়েও তিস্তা নদীতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে । একদিকে 29 মাইলে ধস অন্যদিকে তিস্তার জল এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পংগামী 10 নম্বর জাতীয় সড়কও তিস্তার জলে ডুবে গিয়েছে । যার ফলে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পংয়ের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে । গোটা পাহাড়জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে ।
যদিও দুই জেলা প্রশাসনের তরফে সতর্কবার্তা ও সাহায্যের জন্য মাইকিং শুরু করা হয়েছে । দুই জেলায় প্রায় পুজোর মরশুমে ঘুরতে যাওয়া প্রায় 500 জন পর্যটক আটকে রয়েছে । একাধিক জায়গায় ধসের কারণে কালিম্পংয়ের লাভা-আলগাড়া রাস্তাতেই প্রায় 100 যানবাহন আটকে রয়েছে । টানা বৃষ্টির ফলে মঙ্গলবার মাঝরাতে কালিম্পংয়ের তিস্তায় আটকে পরে প্রায় 20 জন বাইক আরোহী । তাদের জেলা প্রশাসনের তরফে তিস্তা কমিউনিটি হলে রাত্রীবাসের ব্যবস্থা করা হয় । তিস্তার জলস্ফীতি কারণে ত্রিবেণী এবং পেশোকখোলাগামী মূল সড়কও জলে ডুবে গিয়েছে । আলগাড়া তিন মাইলের লাভা এলাকায় একটি গাছ চারচাকা গাড়ির উপর ভেঙে পরে । ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চালকের । গুরুতর জখম হয়েছে আরও দু'জন যাত্রী ।
আরও পড়ুন: নীচু তলার কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ, মান ভাঙাতে বিজয়া সম্মিলনীই হাতিয়ার তৃণমূলের
দার্জিলিংয়ের রিম্বিক, লোধামা, মানেভঞ্জন, টারখোলা, সুখিয়াপোখরি, কার্শিয়াং, তাকদাহ, তিনচুলে, রিশপ, রঙ্গলি- সহ একাধিক জায়গায় ধসের ঘটনা ঘটেছে । পাহাড়ে টানা বৃষ্টির জেরে সমতলেও তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি । শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 4,5,8 সহ একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে । পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় রাতেই শিলিগুড়ি পৌরনিগমের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে । অন্যদিকে, সমস্ত কর্মীর ছুটি বাতিল করে বুধবার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কন্ট্রোল রুম । মহানন্দা নদীতেও হলুদ সংকেত জারি করেছে সেচ দফতর । শিলিগুড়ি পৌরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রঞ্জন সরকার বলেন, "রাতেই কন্ট্রোল রুম খুলে দেওয়া হয়েছে। নিরাপদ আশ্রয় থেকে খাবারের সমস্ত ব্যবস্থা পৌরনিগমের তরফে রাখা হয়েছে ।"
