Son-in-Law Beaten up: স্ত্রী'কে চড়ের সাজা, হাত-পা বেঁধে 'জামাই আদর' শ্বশুরবাড়িতে
Published: Mar 18, 2023, 3:20 PM


Son-in-Law Beaten up: স্ত্রী'কে চড়ের সাজা, হাত-পা বেঁধে 'জামাই আদর' শ্বশুরবাড়িতে
Published: Mar 18, 2023, 3:20 PM
হাত-পা বেঁধে জামাই কে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠলো খোদ শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে (south 24 pargana News)। গুরুতর জখম জামাই মোফিজুল মোল্লা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।ঘটনার বিষয়ে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
ক্যানিং, 18 মার্চ: শ্বশুরবাড়িতে 'জামাই আদর', তবে একটু অন্যভাবে (Allegation of Beating son-in-law) ৷ হাত-পা বেঁধে জামাই কে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠলো শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে । গুরুতর জখম জামাই মোফিজুল মোল্লা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । ঘটনার বিষয়ে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিং থানার অন্তর্গত দিঘিরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর অঙ্গদবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মোফিজুল মোল্লার সাথে বছর চোদ্দ আগে বিয়ে হয়ে দাঁড়িয়া তেঁতুলবেড়িয়া গ্রামের এসমা’র । দম্পতির এক কন্যা ও দুই পুত্র সন্তান রয়েছে । গত বৃহষ্পতিবার শ্বশুর বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মোফিজুল । সেই সময় রাতে তিনি তাঁর স্ত্রী-কে একা ঘুরতে দেখেন । কেন একা ঘুরছে জানতে চেয়ে কোনও উত্তর না-পেয়ে স্ত্রীকে চড় মারেন । অভিযোগ এরপর শাশুড়ি সাফাজান মোল্লা ও চার কাকা শ্বশুর ছমির,সিরাজ, জাকির, বাপ্পা মোল্লা’রা হাত পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করে মোফিজুলকে। পরে পাশের একটি খালে ফেলে রেখে চলে যায়। ঘটনাটি নজরে পড়ে মোফিজুলের মামাতো বোন সানা মোল্লা’র । রাতের অন্ধকারে বাঁধন খুলে বাড়ির লোকজনদেরকে ঘটনার কথা জানায়। শুক্রবার ভোরে মোফিজুলকে উদ্ধার করে তার পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যায় ।
আরও পড়ুন : করোনার উৎস রাকুন ডগস, তথ্য গোপনের অভিযোগ! চিনকে ভর্ৎসনা হুর
মোফিজুলের দাবি, "শ্বশুর বাড়ি এলাকায় একটি অনুষ্ঠান ছিল । সেখানে গিয়েছিলাম । রাতে আমার স্ত্রী-কে একা ঘুরতে দেখে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, রাতে একা একা ঘুরছে কেন ? কোনও উত্তর না-পেয়ে একটা চাপড় মেরেছিলাম । এরপর কাকাশ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে আমার হাত-পা বেঁধে ইচ্ছামতো বেধড়ক মারধর করে। নগদ 10 হাজার টাকা ও বাইক কেড়ে নেয় । পরে রাতের অন্ধকারে খালে ধারে ফেলে দিয়ে যায় । আমার মামাতো বোন দেখতে পেয়ে আমাকে বাঁধন খুলে উদ্ধার করে । আমার বাড়িতে ফোন করে খবর দেয় । বাড়ির লোকজন আমাকে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে আসে । ঘটনার বিষয়ে ক্যানিং শুক্রবার রাতে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি ।" অন্যদিকে ক্যানিং থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।যদিও ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
