রামপুরহাট, 28 সেপ্টেম্বর: কবির কথায় "সেই দেশেরই মায়ার জালে থাকব সবাই হেসে, স্বপ্ন সোনার স্মৃতি এঁকে, এই স্বপ্নের দেশে।" দু'বছর পর করোনা আতঙ্কের দুঃস্বপ্ন মুছে রামপুরহাট নবীন ক্লাবে (Rampurhat Nabin Club) মা এল স্বপ্নের দেশে। অর্থাৎ, দর্শনার্থীদের এবার ড্রিমল্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করেছেন পুজো উদ্যোক্তারা ৷ পুজো মণ্ডপে ঢুকলেই মনে হবে, সাদা মেঘের কোলে রূপকথার দেশ, যেখানে পরীদের বাস। নানা রং-বেরঙের পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে চারিদিকে।
মা দুর্গার পা ধরে বসে আছে মানুষরূপী বুড়ো অসুর। মায়ের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী সে ৷ প্রায় দু'মাস ধরে মেদিনীপুরের সুবীর, মনোজিৎ মাইতিরা উদয়াস্ত খেটে তৈরি করেছে এই স্বপ্নের দেশ। মণ্ডপ তৈরির দায়িত্বে থাকা বাপি ডেকরেটর্সের কর্ণধার, শামিউল আলম বলেন, "দু'মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই স্বপ্নের দেশ আমরা বানাতে পেরেছি। অবশ্যই ধন্যবাদ জানাই নবীন ক্লাবের সদস্যদের। আশা করি, আমরা রামপুরহাটবাসীকে নতুন কিছু দিতে পারব ৷ অন্যান্য পুজো মণ্ডপের থেকে এখানকার পরিবেশ একদম আলাদা হবে। এখানে আশা প্রতিটা দর্শনার্থীরা খুশি হবেন।"
আরও পড়ুন: সুরুচি সংঘের পুজো উদ্বোধনে ঢাক কাঁধে চমকে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
গতবছর করোনা আবহেও নিয়ম মেনেই পুজো হয়েছিল ক্লাবে। ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবীন ক্লাবের পুজো এবার 22 বছরে পা দিল (Rampurhat Nabin Club celebrates 22nd year of Durga Puja) ৷ নবীন ক্লাবের সম্পাদক উজ্জ্বল ধীবর বলেন, "সাধারণত মানুষ, গাড়ি-বাড়ি নিয়ে সুখে থাকার স্বপ্ন দেখে। আমরা এবার সেই স্বপ্ন না-দেখে একটু অন্য ভাবে স্বপ্ন দেখেছি। আমরা দূষণহীন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেছি। মাতৃমূর্তিতে একটা নতুন ভাবনা আছে। অসুরের তো বিনাশ নেই। মানুষরূপে বুড়ো অসুর মায়ের পা ধরে ক্ষমা চাইছে। আমি রামপুরহাট তথা বীরভূমবাসীকে আমাদের নবীন ক্লাবে প্রতিমা দর্শনের আবেদন করছি।"