Swami Vivekananda Birthday: করোনা দোহাই মাত্র, ময়দানে স্বামীজি বরাবরই নিভৃতবাসে

author img

By

Published : Jan 12, 2022, 5:10 PM IST

Swami Vivekananda Birthday

1885-86 মরশুমে টাউন ক্লাবের হয়ে তাঁর খেলার ঘটনার গবেষণাধর্মী উল্লেখ পাওয়া যায় প্রাক্তন ক্রিকেটার রাজু মুখোপাধ্যায়ের লেখা 'ইডেন গার্ডেন্স, লেজেন্ড অ্যান্ড রোমান্স' বইয়ে (Swami Vivekananda played for Calcutta Town Club)।

কলকাতা, 12 জানুয়ারি : প্লেগ মহামারীর সময় জীবন বাজি রেখে আর্তের সেবায় ঝাপিয়ে পড়েছিলেন তিনি ৷ জীবদ্দশায় বারংবার মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়তেন স্বামী বিবেকানন্দ। বেঁচে থাকলে করোনা মহামারীতে ভূমিকা ঠিক কী হত তাঁর, 159তম জন্মবার্ষিকীতে স্বামীজির গুণগ্রাহীদের মধ্যে এমন আলোচনা জায়গা করে নিচ্ছে । দুর্দমনীয় সাহস নিয়ে হয়তো মাভৈ মাভৈ বলে ঝাঁপিয়ে পড়তেন । দোষারোপের পালা সরিয়ে সবাইকে একসুঁতোয় বেঁধে হয়তো ভাইরাসের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিরোধ গড়ে তুলতেন নরেন। যার সামনে পরাজয় নিশ্চিত ছিল করোনা নামক কাঁটার।

বাস্তবে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ভাটা পড়েছে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উদযাপনেও। প্রকাশ্য জমায়েত নেই, যেটুকু হচ্ছে ভার্চুয়ালি ৷ জন্মবার্ষিকীতে স্বামীজিকে স্মরণ করে থাকে ময়দানও ৷ করোনার থাবা সেখানেও ৷ ময়দানে টাউন ক্লাবের হয়ে ক্রিকেট, ফুটবল দুইই খেলেছিলেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত । 1885-86 মরশুমে টাউন ক্লাবের হয়ে তাঁর খেলার ঘটনার গবেষণাধর্মী উল্লেখ পাওয়া যায় প্রাক্তন ক্রিকেটার রাজু মুখোপাধ্যায়ের লেখা 'ইডেন গার্ডেন্স, লেজেন্ড অ্যান্ড রোমান্স' বইয়ে (Swami Vivekananda played for Calcutta Town Club)। ইডেনে ক্যালকাটা ক্লাবের বিরুদ্ধে বল হাতে সাত উইকেট নেওয়ার নথিও অজানা নয়।

টাউন ক্লাবের কর্তা এবং সিএবির যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস জানান, "ক্লাব তৈরির পিছনে স্বামীজীর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। ভারতীয় ফুটবলের জনক নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীকে সঙ্গে নিয়ে উত্তর কলকাতায় শুরু হয়েছিল স্বামীজির টাউন ক্লাব গড়ে তোলার যাত্রা (Swami Vivekananda took initiative to build Calcutta Town club with Nagendra Prasad Sarbadhikari) । এখন যেখানে টাউন হল, সেখানেই ছিল প্রথম ক্লাব। 1864 পথচলা শুরু করেছিল উত্তর কলকাতার এই ক্লাব। আর ক্লাবের একনিষ্ঠ পতাকা বাহক ছিলেন স্বামীজি। পরবর্তীতে ময়দানে চলে আসে ক্লাবটি। টাউন স্কুল থেকেই টাউন ক্লাব নামটি এসেছিল। বর্তমানে টাউন হল যেখানে অবস্থিত, সেটি ছিল টাউন ক্লাবের মাঠ। ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে কথা বলে ময়দানে টাউন ক্লাবকে নিয়ে আসার কাজটি করেছিলেন নগেন্দ্র প্রসাদ সর্বাধিকারী। মনে রাখতে হবে নরেন এবং নগেন দু'জনেই একাধিক খেলায় পারদর্শী ছিলেন। কুস্তি, রোয়িং, সাঁতার থেকে ঘোড়াচালনা সবই তাঁরা জানতেন।

আরও পড়ুন : PM Modi on Indian Youth : যুব সমাজের লড়াই করে জেতার মানসিকতাই নতুন ভারতের মন্ত্র : মোদি

সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের লেখা বই থেকে কুস্তিগীর অম্বু গোহর আখড়ায় স্বামীজি কুস্তির কথা জানা যায় ৷ শোনা যায়, রামকৃষ্ণদেবকেও না কি স্বামী বিবেকানন্দ টাউন ক্লাবের মাঠে খেলা দেখাতে নিয়ে এসেছিলেন। টাউন ক্লাব চত্বরে স্বামীজির একটি আবক্ষ মূর্তি স্থাপিত হয়েছে। বেলুড় মঠ থেকে প্রতিবছর এই দিনে টাউন ক্লাবে এসে মালা দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়ে থাকে। এবছরও অনুষ্ঠান হয়েছে, তবে পরিসরে খুবই ছোট। ক্লাবে ক্রিকেট বন্ধ, সদস্যদের বেশিরভাগ করোনায় আক্রান্ত। তাছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে বড় করে অনুষ্ঠান আয়োজনের উপায়ও নেই।

ময়দানে অভিযোগ, 12 জানুয়ারি স্বামীজিকে নিয়ে তৎপরতা দেখা গেলেও তাঁর খেলোয়াড়সত্ত্বাকে স্বীকৃতি দিয়ে কিছু করার উদ্যোগ নেই সেখানো। প্রতিশ্রুতির মোড়কে রয়ে যান স্বামীজি। তাই করোনা থাক বা না থাক ময়দানে স্বামীজি আগাগোড়াই নিভৃতবাসে। 'গীতা পাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলা বহুগুণে উৎকৃষ্ট ৷' এই বাণী সেখানে কেবলই শব্দগুচ্ছ।

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.