FIFA World Cup 2022: প্রযুক্তির কাছে হার আর্জেন্তিনার, ভিএআর-এ পাকড়াও মেসি-মার্তিনেজের অফসাইড গোল

author img

By

Published : Nov 22, 2022, 6:30 PM IST

FIFA World Cup 2022 Argentina Loss to VAR in Qatar World Cup

প্রথমে ইকুয়েডর ৷ এবার আর্জেন্তিনা ৷ যদিও, উদ্বোধনী ম্যাচে ইকুয়েডর 2-0 গোল কাতারের বিরুদ্ধে জিতেছিল ৷ কিন্তু, মেসির আর্জেন্তিনা সেই সুযোগ পেলেন না (Argentina Loss to VAR in Qatar World Cup) ৷ ভিএআর-এর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কারণে বাতিল হল অফসাইড গোল ৷

দোহা, 22 নভেম্বর: কাতার বিশ্বকাপে (FIFA World Cup 2022) ভিএরআর-এর শিকার হল আর্জেন্তিনা (Argentina Loss to VAR in Qatar World Cup) ৷ দু’টি গোল বাতিল হল এলএম-10’র দলের ৷ আর সেই দু’টি গোলই রেফারি বৈধ ঘোষণা করে দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, অত্যাধুনিক ভিএআর-এর দৌলতে সূক্ষ্ম অফসাইডের জেরে বাতিল হয় আর্জেন্তিনার দু’টি গোল ৷ যেখানে একটি গোল লিও মেসির এবং দ্বিতীয় গোলটি করেছিলেন লাউতারো মার্তিনেজ ৷ আরেক গোলটি সরাসরি লাইন্সম্যান অফসাইড ঘোষণা করেন ৷

লিওনেল মেসির গোলটি প্রথম ক্ষেত্রে খালি চোখে বৈধ মনে হয় ৷ কিন্তু, অত্যাধুনিক ভিএআর-এর কারণে সেটি ‘ভিডিয়ো অপারেশন রুমে’র নির্দেশে অবৈধ ঘোষণা করেন রেফারি ৷ ভিএআর-এর গ্রাফিক্স ফুটেজে দেখা যায়, প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের বডি লাইন থেকে মেসির মাথা ও ডান কাঁধের কিছুটা অংশ বেরিয়ে ছিল ৷ আর তাতেই ভিএআর-এ অফসাইড ঘোষিত হয় মেসির গোল ৷

আরও সূক্ষ্ম অফসাইডের শিকার হয়েছেন লাউতারো মার্তিনেজ ৷ তাঁর বাঁ হাত অফসাইডে ছিল ৷ আর জেরে গোল বাতিল হয় আর্জেন্তিনার ৷ এক্ষেত্রেও রেফারি নিশ্চিত গোল ঘোষণা করেন ৷ এমনকি লাইন্সম্যানও কোনও আপত্তি জানাননি ৷ কিন্তু, অ্যাডভান্স ভিএআর সিস্টেম এখানেও আর্জেন্তিনার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় ৷ ‘ভিডিয়ো অপারেশন রুম’ থেকে ‘ভিডিয়ো অ্যাসেসটেন্ট রেফারিসে’র নির্দেশে মার্তিনেজের গোলও বাতিল করে দেন মাঠের রেফারি ৷

FIFA World Cup 2022 Argentina Loss to VAR in Qatar World Cup
ভিএআর-এ ধরা পড়া লাউতারো মার্তিনেজের সেই অফসাইড (ছবি সৌজন্য-এনপিও)

কিন্তু, কেন অন্যান্য বিশ্বকাপের থেকে ভিএআর পথের কাঁটা হচ্ছে দলগুলির কাছে ?

2018 রাশিয়া বিশ্বকাপেও ভিএআর ব্যবহার হয়েছিল ৷ কিন্তু, সেখানে মাঠের রেফারিকে সিদ্ধান্ত নিতে হত কোনটি অফসাইড বা কোনটি পেনাল্টি ৷ কিন্তু, কাতার বিশ্বকাপে পুরোটাই ঠিক করে দিচ্ছে প্রযুক্তি ৷ আর সেটা করছে ম্যাচে ব্যবহার হওয়া বিশ্বকাপের বল ‘আল রিহলা’র মধ্যে থাকা ‘ইউনিট মোশন সেন্সর’ এবং স্টেডিয়ামের ছাদে লাগানো 12টি ক্যামেরা ৷ যা সরাসরি বলের ‘ইউনিট মোশন সেন্সর’ এর সঙ্গে যুক্ত ৷

‘ইউনিট মোশন সেন্সর’ (Unit motion sensor) বা আইএমইউ’র (IMU) সাহায্যে স্টেডিয়ামের বিশেষ 12টি ক্যামেরা বল ও ফুটবলারের অবস্থান নির্ধারণ করে মুহূর্তের মধ্যে জানিয়ে দিচ্ছে কোন খেলোয়াড় অফসাইউ পজিশনে যাচ্ছেন ৷ আর কোনটি বৈধ গোল ৷ কোনদিকে বল যাচ্ছে, তার গতি সবই 500 হার্ৎজ প্রতি সেকেন্ডে 500 ফ্রেমে রেকর্ড করছে স্টেডিয়ামের ওই 12টি ক্যামেরা ৷ সেই সঙ্গে মাঠের 22 জন ফুটবলারকে প্রতি সেকেন্ডে 50টি ফ্রেমে বন্দি করা হচ্ছে ৷ আর সেই পুরো তথ্য ‘ভিডিয়ো অপারেশন রুমে’, ‘ভিডিয়ো অ্যাসেসটেন্ট রেফারিস’ (Video Assistant Referees)-এর কাছে পৌঁছে দিচ্ছে ৷ আর সেখান থেকে মাঠের রেফারিকে সেই মতো তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে ৷ এবার যার শিকার হল আর্জেন্তিনা ৷ যা না হলে, এদিন সৌদি আরবের বিরুদ্ধে স্কোরলাইন 1-2 এর বদল, 3-2 বা আরও বেশি হতে পারত ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.