এখন সময় দ্রুত টিকাকরণের

author img

By

Published : Apr 11, 2021, 12:16 PM IST

মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে এখন দ্রুত টীকাকরণের সময়

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দিয়েছেন এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন, সঠিক পরীক্ষা, চিকিৎসা , কোভিড প্রোটোকল কঠোরভাবে মেনে চলা এবং ব্যাপক হারে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে করোনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব । এই উদ্যোগকে সফল করার জন্য 11 এপ্রিল থেকে 14 এপ্রিল পর্যন্ত টিকা উৎসব পালনের কথা জানিয়েছেন ।

দ্বিতীয় ধাপে ভাইরাসের প্রভাবে এক দিনে পজিটিভ কেসের সংখ্যা 1.25 লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে । কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দিয়েছেন এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন, সঠিক পরীক্ষা, চিকিৎসা , কোভিড প্রোটোকল কঠোরভাবে মেনে চলা এবং ব্যাপক হারে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে করোনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব । এই উদ্যোগকে সফল করার জন্য 11 এপ্রিল থেকে 14 এপ্রিল পর্যন্ত টিকা উৎসব পালনের কথা জানিয়েছেন । সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে কর্মরত মানুষকে এই উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে । বিশেষ করে যেখানে শতাধিক মানুষ কাজ করেন সেখানে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে । আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে গোটা দেশে 40 লাখ ডোজ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে । পাশাপাশি, সুষ্ঠু ভাবে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত চিকিৎসা সরঞ্জামের ক্ষেত্রেও বড় চ্যালেঞ্জ ।

ভ্যাকসিনের জন্য বিভিন্ন অফিসে পর্যবেক্ষণ করা উচিত, এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ভ্যাকসিনের অতিরিক্ত ডোজের পরিসংখ্যানও করা সম্ভব । ইতিমধ্যেই টিকা দান নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক দেখা গিয়েছে । কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন অভিযোগ করেছেন ভ্যাকসিনের ঘাটতির কথা বলে, বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে মহারাষ্ট্র সরকার । উল্লেখ করার মতো বিষয় হল, মহারাষ্ট্রের শিবসেনার সরকার ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা, ওড়িশা, কেরালা, কর্নাটক, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড এবং রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলিও ভ্যাকসিন ঘাটতির অভিযোগ করেছে ।

দেশে ভ্যাকসিন তৈরি, উৎপাদক সংস্থার উৎপাদন ক্ষমতা, বর্তমানে কত উৎপাদিত ভ্যাকসিন আছে, ইত্যাদি নিয়ে কেউ কোনও বিকৃত তথ্য দিতে পারেন না । যখন গোটা জাতিকে সংঘবদ্ধ হয়ে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দাঁড়ানো উচিত, তখন কোনও চিন্তাশীল ব্যক্তি জাতীয় রাজনীতির এই ভয়ঙ্কর-ঘৃণ্য খেলায় মেতে উঠতে পারেন না ।

আরও পড়ুন : দেশে প্রথমবার দৈনিক সংক্রমণ ছাড়াল দেড় লাখ

গোটা দেশে 16 জানুয়ারি থেকে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় । এর উদ্দেশ্য ছিল, 30 কোটি মানুষকে প্রাথমিকভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া । প্রথম শ্রেণির করোনা যোদ্ধা যাঁরা তাদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল । গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল ভাইরাল ইনফেকশন এবং কোমর্বিডিটি এবং বয়সের সীমারেখাকেও । এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি । এই মুহূর্তে ভ্যাকসিনের যে ঘাটতির কথা বলা হচ্ছে, সেটা খুবই উদ্বেগের । দিন 15 আগে নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক ভি কে পল জানিয়েছিলেন, সেরাম ইনস্টিটিউট 47 কোটি ডোজ প্রস্তুত করবে । পাশাপাশি ভারত বায়োটেক অগাস্টের মধ্যে 12 কোটি ডোজ প্রস্তুত করবে । মাসখানেক আগে সেরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছিল, ভ্যাকসিনের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে আমেরিকার প্রতিরক্ষামন্ত্রক বাধা সৃষ্টি করছে । সেরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেক উভয় সংস্থাই ভ্যাকসিনের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য জরুরি ভিত্তিতে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিল ।

গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, দুটি ভারতীয় সংস্থা ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, এটা প্রতিটি ভারতীয়র কাছে অতি গর্বের বিষয় । যে কোনও কাঁচামাল এবং আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন হলে সংস্থা দুটি উদারভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেছিলেন, 19 এপ্রিল থেকে 18 বছরের উপরে প্রত্যেককে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে । ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি দেশের সকল প্রাপ্ত বয়স্ককে টিকা দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে একটি সুপারিশ করেছে ৷ যদি প্রস্তাবিত টিকাকরণ কার্যকর করতে হয়, তাহলে ভ্যাকসিনের উৎপাদন দ্রুত থেকে দ্রুততর করতে হবে । গোটা দেশ কোভিডের মতো মারণ রোগকে তখনই জয় করতে পারবেন, যখন সরকার তার প্রতিটি ক্ষেত্রের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দ্রুত কাজ করতে পারবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.