ইসলামপুর, 19 এপ্রিল : EVM-র সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি । কেউ ভোট দিতে এলেই তাঁকে EVM পর্যন্ত এগিয়ে দিচ্ছেন । কোথায় ভোট দিতে হবে তা আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন । তিনি চলে যাওয়ার পর একই কাজ করছেন আর একজন। আর পুরোটাই প্রিজ়াইডিং অফিসার ও অন্য ভোটকর্মীদের সামনেই হচ্ছে। কিন্তু, তাঁরা টু শব্দটিও উচ্চারণ করছেন না । এই ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। অনেকের দাবি, দ্বিতীয় ব্যক্তি ইসলামপুর ব্লকের রামগঞ্জ 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হাফিজ়উদ্দিন। যদিও ভাইরাল হওয়া এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ETV ভারত।
গতকাল দ্বিতীয় দফায় রায়গঞ্জে ভোটগ্রহণ হয় । ভোটের পর থেকে সোশাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে । যেখানে দেখা যাচ্ছে, বুথের মধ্যে অনেকে ভোট দিতে আসছেন । ভোটদাতাদের অধিকাংশই মহিলা । আর EVM-র ঠিক সামনেই কালো প্যান্ট ও সাদা জামা পরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ওই ব্যক্তি । ভোটারদের দেখিয়ে দিচ্ছেন, EVM-এ কোন বোতাম টিপতে হবে । কারও বুঝতে অসুবিধা হলে রীতিমতো ভোটদানের ঘেরা জায়গায় ঢুকে কোন প্রতীকে ভোট দিতে হবে, তা দেখিয়ে দিচ্ছেন । কিছুক্ষণ পর দেখা যায়, সাদা পাঞ্জাবি পরে অপর এক ব্যক্তি সেই একইভাবে কোথায় ভোট দিতে হবে তা দেখিয়ে দিচ্ছেন । পাশে থাকা চেয়ারে একজন ভোটকর্মী হেলান দিয়ে বসে রয়েছেন। বুথের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে বন্দুকধারী রক্ষী।
কালো প্যান্ট ও সাদা জামা পরিহিত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যায়নি । তবে অনেকের দাবি, দ্বিতীয় ব্যক্তি ইসলামপুর ব্লকের রামগঞ্জ 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হাফিজ়উদ্দিন। আজ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনে পাওয়া যায়নি। রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, "এই বিষয়টি আমার জানা নেই।"
অপরদিকে, রায়গঞ্জের বাম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম বলেন, "ভিডিয়োটি দেখে মনে হচ্ছে, এই বুথের বাইরেই আমার উপর হামলা চালানো হয়েছিল। আর যে সাদা জামা পরেছিল (চিহ্নিত করা যায়নি) সেই আমার উপর হামলা চালিয়েছিল। তখন সবুজ জামা পরেছিল। রামগঞ্জের 2 নম্বর বুথ, গোয়ালপোখরের অনেক বুথে এরকম হয়েছে। আর ভিডিয়োটি ইতিমধ্যে জেলাশাসক ও পুলিশ পর্যবেক্ষককে পাঠিয়েছি। "
বিশেষ দ্রষ্টব্য : ETV ভারত এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি