মালদা, 29 সেপ্টেম্বর: 51 পীঠের সমাহার৷ এবার পুজোয় মালদা শহরের মহানন্দা ক্লাব ও লাইব্রেরির উপস্থাপনা ৷ মহালয়ায় মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এই পুজোর উদ্বোধন করেছেন৷ তারপর থেকে প্রতিদিনই ভিড় জমছে পুজো মণ্ডপে৷ সন্ধের পর জোরালো হচ্ছে ভিড় ৷ উদ্যোক্তারা বলছেন, পঞ্চমীর রাত থেকেই ভিড় আছড়ে পড়বে মণ্ডপে ৷ দেবীর পীঠদর্শন করতে শুধু বয়স্ক নয়, ভিড় জমাচ্ছে জেন ওয়াইও ৷ মালদা শহরে মহানন্দা নদীর ধারের এই পুজোর এবার সুবর্ণ জয়ন্তী ৷
ক্লাবের অন্যতম সদস্য প্রশান্তকুমার মিত্র বলেন, "এবার আমরা সতীর 51 পীঠকে আমাদের মণ্ডপে তুলে এনেছি ৷ প্রতিটি পীঠের মন্দির ও প্রতিমাকে হুবহু তুলে ধরা হয়েছে ৷ মাস ছ'য়েক ধরে আমাদের প্রস্তুতি চলছে ৷ প্রায় 25 লাখ টাকা বাজেট ৷ ক্লাব সদস্যদের সঙ্গে মানুষও আমাদের আর্থিক সহযোগিতা করেছেন ৷ প্রতিমা তৈরি করেছেন জেলার প্রখ্যাত মৃৎশিল্পী রাজকুমার পণ্ডিত ও তাঁর ছেলে কণক পণ্ডিত ৷ স্থানীয় ডেকরেটর শিল্পী প্যান্ডেলের কাজ করলেও আলোর দায়িত্বে রয়েছেন নবদ্বীপের শিল্পীরা ৷ উদ্বোধনের পর থেকেই আমাদের মণ্ডপে মানুষের ভিড় জমছে ৷"
ক্লাবের আরেক সদস্য গোবিন্দ দুবে বলেন, "আমরা ইতিমধ্যেই মানুষের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি ৷ সবার পক্ষে সতীর 51 পীঠ দর্শন করা সম্ভব নয় ৷ তাঁরা আমাদের এখানে 51টি পীঠের সব মূর্তি ও মন্দির দেখতে পাচ্ছেন ৷ প্রতিটি পীঠের বিস্তারিত বিবরণ মন্দিরে লিখে দেওয়া হয়েছে ৷ মূল প্রতিমা তৈরি হয়েছে লাদাখে থাকা একটি পীঠের অনুকরণে ৷ এখানে দেবীর 30টি হাত ৷ তবে সব হাতে অস্ত্র নেই ৷ রয়েছে গোলাপ ফুল ৷ পুজো উপলক্ষে আমরা বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মসূচিও নিয়েছি ৷"
আরও পড়ুন: বড়িশা ক্লাবের এবারের থিম 'সাঁঝবাতি'
মৃৎশিল্পী কণক পণ্ডিত বলেন, "এই থিমের ভাবনা পুজোর উদ্যোক্তাদেরই ৷ প্রায় ছ’মাস ধরে আমরা এই থিম তুলে ধরতে কাজ করে যাচ্ছি ৷ পুরাণভিত্তিক থিম ৷ মূর্তি তৈরির জন্য আমাদের বিভিন্ন পীঠে যেতে হয়েছে ৷ শুধূ মূর্তি নয়, মন্দিরের নকশাও দেখে আসতে হয়েছে ৷ যেসব পীঠে যাওয়া সম্ভব হয়নি, সেসব জায়গার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সাহায্য নিতে হয়েছে ৷ এখনও পর্যন্ত মানুষের ভালো সাড়া পেয়েছি ৷ আশা করছি, আগামী কয়েকদিন মানুষের আরও সাড়া পাব ৷”
