Manik Bhattacharya : স্বস্তি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির, আপাতত দিতে হবে না জরিমানার টাকা

author img

By

Published : Sep 17, 2021, 3:13 PM IST

Calcutta High Court division bench gave stay order on single bench verdict on Manik Bhattacharya case

আপাতত কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ৷ মামলাকারীদের জরিমানা বাবদ 3 লক্ষ 80 হাজার টাকা এখনই দিতে হবে না তাঁকে ৷ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে আগামী 4 অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ ৷

কলকাতা, 17 সেপ্টেম্বর : প্রশ্ন ভুল মামলায় আপাতত স্বস্তি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board Of Primary Education) সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) ৷ এখনই জরিমানার 3 লক্ষ 80 হাজার টাকা দিতে হবে না তাঁকে ৷ কথা ছিল, সংশ্লিষ্ট মামলাকারীদের নিজের পকেট থেকে এই টাকা দেবেন মানিক ৷ সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশের উপর আগামী 4 অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ৷ শুক্রবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার (Justice Subrata Talukdar) ও বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার (Justice Kesang Doma Bhutia) ডিভিশন বেঞ্চে সংশ্লিষ্ট মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে ৷ বিচারপতিদের প্রশ্ন, আদালতে কোনও মামলার শুনানি হতে দেরি হলে পর্ষদ সভাপতি কেন তার জন্য দায়ী হবেন ? কেনই বা তাঁকে এর জন্য মামলাকারীদের জরিমানা দিতে হবে ! আগামী 4 অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ৷

আরও পড়ুন : সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ পেয়ে টেট পরীক্ষায় বসা প্রার্থীদের পরীক্ষা বাতিল ডিভিশন বেঞ্চের

প্রসঙ্গত, আদালত অবমাননার দায়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে 3 লক্ষ 80 হাজার টাকা জরিমানা করে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ ৷ গত 3 সেপ্টেম্বর এই নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) ৷ তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, জরিমানার টাকা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তহবিল থেকে দেওয়া হবে না ৷ সভাপতি নিজেই মামলাকারী 19 জন পরীক্ষার্থীর প্রত্যেককে 20 হাজার টাকা করে দেবেন ৷ একইসঙ্গে, মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদের সাতদিনের মধ্যে ভুল প্রশ্নগুলিতে পূর্ণ নম্বর দিয়ে তাঁদের টেট-এর শংসাপত্র দিতে হবে ৷ মামলাকারীদের ইন্টারভিউয়ে বসারও সুযোগ করে দিতে হবে ৷

শুক্রবার মামলার শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী রাতুল বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার জন্য সর্বদাই সক্রিয় ৷ কিন্তু এক শ্রেণির চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে বারবার মামলা করায় নিয়োগ প্রক্রিয়া মামলার জটে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে ৷ যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি আটকে দেওয়ার মতো কোনও উদ্দেশ্য পর্ষদ সভাপতির নেই ৷’’ এরপরই ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, পর্ষদ সভাপতিকে ব্যক্তিগতভাবে জরিমানা দিতে হবে না ৷

আরও পড়ুন : ফের নেওয়া হোক টেট পরীক্ষা, মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

উল্লেখ্য, 2014 সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় ছ’টি প্রশ্ন ভুল ছিল ৷ তারই প্রেক্ষিতে 2018 সালে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, যে চাকরিপ্রার্থীরা এই প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তাঁদের সকলকেই সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলির জন্য পূর্ণ নম্বর দিতে হবে ৷ কিন্তু সেই নির্দেশ অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কোনও পদক্ষেপ করেনি ৷ বিষয়টি সামনে এনে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন 19 জন পরীক্ষার্থী ৷ তাঁদের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বিষয়টিকে আমল দেননি মানিক ৷ এই কারণেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.