Symptoms and Effects of H3N2 Virus: মারাত্মক সংক্রামক এইচ3এন2 ভাইরাস, কী উপসর্গ ? কী প্রতিকার ?

author img

By

Published : Mar 10, 2023, 7:03 PM IST

Symptoms and Effects of H3N2 Virus ETV Bharat

হরিয়ানা ও কর্ণাটক প্রথম দুই রাজ্য যেখানে এইচ3এন2 ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে (H3N2 Influenza Virus) মৃত্যু হল দু জনের (Know everything about H3N2 influenza virus)৷ এই ভাইরাসের উপসর্গ কী ? এটি কতটা সংক্রামক ? এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কী করা উচিত (Symptoms and Effects of H3N2 Virus)?

হায়দরাবাদ, 10 মার্চ: দেশে শুক্রবার এইচ3এন2 ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের (H3N2 Influenza Virus) কারণে প্রথম দু জনের মৃত্যুর খবরের সঙ্গে সঙ্গেই নতুন এক ভয় গ্রাস করেছে দেশবাসীকে । এই ভাইরাসের প্রথম নিশানা হরিয়ানা এবং কর্ণাটক হলেও উদীয়মান এই মারাত্মক ভাইরাস যাতে আরও ছড়িয়ে না পড়ে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে চায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ৷ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জোরদার করতে বলা হয়েছে । এই ভাইরাসটি কী এবং এটি কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ (Know everything about H3N2 influenza virus) দেখে নিন একনজরে...

এইচ3এন2 ভাইরাস কী ? এইচ3এন2 হল এক ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস যা শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ঘটাতে পারে । এটি পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীকে সংক্রামিত করতে পারে এবং এই প্রাণীদের শরীরে বিভিন্ন স্ট্রেইনে রূপান্তরিত হয় । সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাস মানব ইনফ্লুয়েঞ্জার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ Symptoms and Effects of H3N2 Virus)।

এর লক্ষণ এবং প্রভাব কী? এইচ3এন2 ভাইরাসের উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর ও কাশি এবং উপরের শ্বাসযন্ত্রে হালকা সংক্রমণ ৷ এটি গুরুতর আকার ধারণ করে নিউমোনিয়া পর্যন্ত হতে পারে । এই ভাইরাস থেকে তীব্র শ্বাসকষ্ট, শক, এমনকী কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে । এইচথ্রিএনটু ভাইরাসের সাধারণ উপসর্গ হল ঠান্ডা লাগা, কাশি, জ্বর, বমি বমি ভাব, বমি, গলা ব্যথা, শরীরে ব্যথা এবং কিছু ক্ষেত্রে ডায়েরিয়া এবং নাক দিয়ে জল পড়া । খাবার গিলতে গিয়ে যদি কোনও ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, ক্রমাগত জ্বর এবং গলায় ব্যথা অনুভূত হয়, তাহলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি ।

এইচ3এন2 কি সংক্রামক ? এইচ3এন2 ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক এবং সংক্রামিত ব্যক্তির কাশি, হাঁচি বা কথা বলার সময় নির্গত থুতুর মাধ্যমে তা অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে । ভাইরাস লেগে রয়েছে এমন কোনও জায়গায় যদি কারও মুখ বা নাক স্পর্শ করে, তবে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে । গর্ভবতী মহিলা, ছোট শিশু, বয়স্ক এবং যাঁদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে তাঁদের এই ফ্লু-এর সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি ।

আরও পড়ুন: ভয় ধরাচ্ছে এইচ3এন2 ইনফ্লুয়েঞ্জা, দেশে প্রাণ গেল 2 জনের

কীভাবে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধ করা যায় ? ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে নিয়মিত জল ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা, ভিড়ের জায়গা এড়িয়ে চলা, নাক-মুখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলা, কাশি ও হাঁচি দেওয়ার সময় নাক ও মুখ ঢেকে রাখা, প্রচুর তরল সেবন করা জরুরি । জনসাধারণের জায়গায় থুতু ফেলাও উচিত নয় ৷ এ ছাড়াও করমর্দনের মতো অভিবাদন, নিজে নিজেই ওষুধ খাওয়া এবং ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য কোনও ওষুধ সেবন করা এড়িয়ে চলা উচিত ।

আক্রান্ত হলে কী করা উচিত ? যদি কোনও ব্যক্তি এইচ3এন2 ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে সংক্রামিত হন, তবে তাঁদের যথাযথ বিশ্রাম নেওয়া উচিত, প্রচুর তরল পান করা উচিত এবং জ্বর কমাতে অ্যাসিটামিনোফেন বা আইবুপ্রোফেনের মতো ওভার-দ্য-কাউন্টার পেইন কিলার ব্যবহার করা উচিত । উপসর্গগুলি গুরুতর হলে বা রোগীর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা থাকলে একজন ডাক্তার ওসেলটামিভির এবং জ্যানামিভিরের মতো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধও লিখে দিতে পারেন । থেরাপিউটিক সুবিধাগুলি সর্বাধিক করার জন্য সন্দেহভাজন এবং নিশ্চিত রোগীর ক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিউরামিনিডেস ইনহিবিটারগুলি দেওয়া উচিত ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.