পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

Railway Board on Odisha Tragedy: সিগনালিং-এ সমস্যা ছিল, জানাল রেল বোর্ড; দেওয়া হল হেল্পলাইন নম্বর

By

Published : Jun 4, 2023, 2:28 PM IST

Railway Board on Odisha Tragedy

সিগনালিং-এ কিছু সমস্যা ছিল ৷ ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনার প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর এ কথা জানাল রেলওয়ে বোর্ড ৷ তারা হেল্পলাইন নম্বর দিয়ে সেখানে ফোন করার জন্য হতাহতের পরিবারের কাছে আবেদন জানিয়েছে ৷

নয়াদিল্লি, 4 জুন: সিগন্যালিং-এর ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা ছিল । ওড়িশার ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর এমনটাই মনে করছে রেলওয়ে বোর্ড ৷ কীভাবে সে দিন তিনটি ট্রেন এত বড় দুর্ঘটনার কবলে পড়ল, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বোর্ড জানিয়েছে, কোনও ট্রেনেরই গতিবেগ বেশি ছিল না ৷ তবে রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনের বিস্তারিত রিপোর্টের জন্য রেলওয়ে বোর্ড অপেক্ষা করছে বলে জানানো হয়েছে ৷

রেলওয়ে বোর্ডের অপারেশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভলপমেন্টের সদস্য জয়া ভার্মা সিনহা রবিবার ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানানোর জন্য সাংবাদিক সম্মেলন করেন ৷ তখনই তিনি বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধান অনুযায়ী, সিগন্যালিং-এর কিছু সমস্যা ছিল । তবে এখনও রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনারের বিশদ রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে ।

তিনি জানান, শুধুমাত্র করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল । ট্রেনটি প্রায় 128 কিমি/ঘণ্টা গতিতে ছিল ৷ তবে মালবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়নি । যেহেতু পণ্যবাহী ট্রেনটি লোহার আকরিক বহন করছিল, তাই তার সঙ্গে ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের । সে জন্যই এই বিপুল সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে ৷ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত বগিগুলি ডাউন লাইনে এসেছিল এবং যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের শেষ দুটি বগিকে আঘাত করেছিল, যেটি ডাউন লাইন দিয়ে 126 কিমি/ঘণ্টা বেগে অতিক্রম করছিল ৷

আরও পড়ুন:নবীনকে ফোন করে খোঁজ নিলেন মোদি, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা ওড়িশা সরকারের

জয়া ভার্মা এ দিন জানান, "আমাদের হেল্পলাইন নম্বর 139 । এটি কল সেন্টার নম্বর নয়, আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কলগুলির উত্তর দিচ্ছেন এবং আমরা যতটা সম্ভব লোককে সংযুক্ত করার চেষ্টা করছি । আহত বা নিহতদের পরিবারের সদস্যরা আমাদের কল করতে পারেন এবং আমরা নিশ্চিত করব যে, তাঁরা পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন । আমরা তাঁদের যাতায়াত এবং অন্যান্য খরচের দায়িত্ব নেব ৷"

এ দিকে, ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনা স্পষ্ট করেন যে, মৃতের সংখ্যা 275 ৷ সংখ্যাটা 288 নয় ৷ দেখা গিয়েছে যে, কিছু মৃতদেহ দুবার গণনা করা হয়েছে । তিনি জানান, "মৃত্যুর সংখ্যা 275, 288 নয় । ডিএম ডেটা পরীক্ষা করেছেন এবং দেখা গিয়েছে যে, কিছু মৃতদেহ দুবার গণনা করা হয়েছে, তাই মৃতের সংখ্যা সংশোধন করে বলা হয়েছে 275 । 275 টির মধ্যে 88টি মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে ৷"

ABOUT THE AUTHOR

...view details